ইলিয়াস খান
বাংলাদেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে। ১৯৫২ সাল থেকে ঝুলে থাকা এ চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে শুধু রাজনৈতিক কারণে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময় না হওয়ায় প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়ে এখন চুক্তি স্বাক্ষর করা হচ্ছে। পানি বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সচিব প্রকৌশলী আ.ন.হ. আখতার হোসেন আমার দেশকে বলেছেন, প্রস্তাবিত চুক্তি দিয়ে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না। কারণ, এরই মধ্যে তিস্তার উজানে গজলডোবায় বাঁধ দেয়া হয়েছে। আরও তিনটি বাঁধ দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পয়েন্টে। এসব বাঁধ দিয়ে বিপুল পরিমাণ পানি প্রত্যাহার করা হবে। যেমনটি হচ্ছে গঙ্গাচুক্তির ক্ষেত্রে। সর্বোপরি গঙ্গা চুক্তির মতোই এ চুক্তিতেও কোনো গ্যারান্টি ক্লোজ থাকছে না।
চলতি মাসের ১৭ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লিতে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) পানিসম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকেই চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। কমপক্ষে ২০ বছর মেয়াদি এই পানি বণ্টন চুক্তিতে পানি ভাগাভাগিসহ অন্যান্য বিষয়েও গঙ্গা চুক্তির মডেল অনুসরণ করা হবে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও জেআরসি সূত্র জানিয়েছে, ভারত ২০ বছর মেয়াদি চুক্তির বিষয়ে মৌখিক সম্মতি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের লক্ষ্য চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়িয়ে নেয়া। চুক্তির ধরন নিয়ে পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি হবে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে স্থায়ী চুক্তির উদ্যোগ নেয়া হবে।
১৯৯৬ সালে দুই দেশের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাাক্ষর হয়। তাতে শুষ্ক মৌসুমে প্রাপ্যতা অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে পানির ভাগাভাগি করা হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু চুক্তির পর আজ পর্যন্তও বাংলাদেশ হিস্যা অনুযায়ী পানি পায়নি। এই চুক্তি এখন শুধু কাগজে আছে, বাস্তবে নেই। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উজানের ভারত ভাটির বাংলাদেশকে প্রায় ৬০ হাজার কিউসেক পানি কম দিয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী এ সময় বাংলাদেশের এক লাখ ৭৫ হাজার ৩৪৩ কিউসেক পানি পাওয়ার কথা। কিন্তু পেয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৯৭২ কিউসেক। অর্থাত্ চুক্তির ইন্ডিকেটিভ সিডিউল অনুযায়ী জানুয়ারি মাসে তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ৫৬ হাজার ৩৭১ কিউসেক পানি কম পেয়েছে। যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আসন্ন জেআরসি বৈঠকে কম পানি প্রাপ্তির বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে। ১৯৯৬ সালে সম্পাদিত গঙ্গা পানিচুক্তি অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম ১০ দিন বাংলাদেশের পানির হিস্যা হচ্ছে ৬৭ হাজার ৫১৬ কিউসেক, দ্বিতীয় ১০ দিন ৫৭ হাজার ৬৭৩ কিউসেক এবং শেষ ১০ দিন ৫০ হাজার ১৫৪ কিউসেক। কিন্তু এই সময়ে বাংলাদেশ পেয়েছে যথাক্রমে ৪৬ হাজার ৭২০ কিউসেক, ৩৭ হাজার ২০৪ এবং ৩৫ হাজার ৪৮ ্কিউসেক।
সূত্র জানায়, ভারত চুক্তির সংলগ্নি-১ মেনে চললেও ইন্ডিকেটিভ সিডিউল বা সংলগ্নি-২ মেনে না চলার কারণে বাংলাদেশ পানি কম পাচ্ছে। চুক্তিতে সংলগ্নি-২ অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনে ফারাক্কা পয়েন্টে এক লাখ সাত হাজার ৫১৬ কিউসেক, দ্বিতীয় ১০ দিনে ৯৭ হাজার ৬৭৩ কিউসেক এবং তৃতীয় ১০ দিনে ৯০ হাজার ১৫৪ কিউসেক পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে ভারতকে সব ধরনের প্রচেষ্টা নিতে হবে। ফারাক্কা পয়েন্টে ১৯৪৯ থেকে ১৯৮৮ সালের গড় প্রবাহের ওপর ভিত্তি করে এটা নির্ধারণ করা হয় এবং বলা হয়, ভারত এ পরিমাণ প্রবাহ রক্ষা করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা নেবে। কিন্তু জানুয়ারিতে ফারাক্কায় প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়নি।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রথমে ১৭ মার্চ দুই দেশের পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ে বৈঠক হবে। ১৮, ১৯ ও ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে অংশগ্রহণের বিষয়টি এর মধ্যে সরকার অনুমোদন করেছে। বৈঠকে তিস্তা চুক্তি ছাড়াও অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, সীমান্ত নদীর ভাঙনরোধসহ নদীর পানি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা হবে। উভয় দেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী আছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত শুধু গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি হয়েছে। সর্বশেষ জেআরসির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালে। ২০০৬ সালেই পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আর কোনো বৈঠক হয়নি। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ তিস্তার পানির সমান ভাগাভাগির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে জেআরসির কারিগরি ও সচিব কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ চুক্তির একটি খসড়া ভারতকে হস্তান্তর করে। এতে নদীর জন্য ২০ ভাগ পানি রেখে বাকি পানির সমান ভাগাভাগির প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু এর আগের জেআরসির বৈঠকে ১০ ভাগ পানি নদীর নাব্যতার জন্য রেখে অবশিষ্ট পানি দুই দেশ ভাগ করে নেয়ার প্রস্তাব বাংলাদেশ দিলেও ভারত তাতেও রাজি হয়নি। এ বিষয়ে আ.ন.হ. আখতার হোসেন বলেন, আসলে ভারত যেভাবে বলবে সেভাবেই চুক্তি করতে হবে। ভারতের কথার বাইরে কিছুই করা যাবে না। সরকার এখন সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য এই চুক্তি করতে যাচ্ছে।
১৯৭২ সালের ১১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) তৃতীয় সভায় তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়। ভারতের অসহযোগিতার কারণে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। ১৯৮৩ সালের জুলাই মাসে দু’দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু এর পরও হিস্যা অনুযায়ী পানি পায়নি বাংলাদেশ। এরপর ২৭ বছর অপেক্ষা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে বহুবার আবেদন, নিবেদন, অনুরোধ করা হয়। কিন্তু নয়াদিল্লির মন গলেনি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালেও বহুল প্রতীক্ষিত এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। এই বাস্তবতায় আগামী ১৭ মার্চ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে জেআরসি বৈঠক। চুক্তি না থাকায় ভারত আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে বাঁধ নির্মাণ করে একতরফাভাবে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও বগুড়ার জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়ছে। ওইসব এলাকার সেচ কার্যক্রমের জন্য বহু অর্থ ও শ্রমের বিনিময়ে গড়ে তোলা তিস্তা সেচ প্রকল্প এখন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই চিত্র ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
ভারতের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব এবং বাংলাদেশের প্রতি অবজ্ঞা আর অনীহার কারণেই তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি হচ্ছে না বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক পরিবেশবিদ ও পানি বিশেষজ্ঞরা। গত ২৭ বছর ধরে এ চুক্তি ঝুলে রয়েছে বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, আন্তর্জাতিক নদী তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির জন্য সবার আগে দুই দেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। বাংলাদেশ বহুবার আবেদন, নিবেদন ও অনুরোধ করেও ভারতের কাছ থেকে কোনো সময়ই সাড়া পায়নি। গত বছরের শেষ দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিত যৌথ নদী কমিশনের সচিব পর্যায়ের বৈঠকও ফলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি শীর্ষ বৈঠকের এজেন্ডার বাইরে রাখতে হয়। ১৯৯৬ সালে সম্পাদিত গঙ্গাচুক্তির সময়ও একই ঘটনা ঘটেছিল। ওই চুক্তিতেও ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ব্যাপারে বাংলাদেশের আপত্তির সুযোগ রাখা হয়নি। অর্থাত্ কোনো গ্যারান্টি ক্লোজ রাখা হয়নি। ফলে ফারাক্কা ব্যারেজ দিয়ে গঙ্গা নদীর সব পানি প্রত্যাহার করে নিলেও বাংলাদেশ কোনো প্রতিবাদ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
পানি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিস্তা চুক্তি হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া টেকনিক্যাল পার্সনদের দ্বারা এর সমাধান সম্ভব নয়। সচিব কিংবা টেকনিক্যাল পার্সন সবাই সরকারের চাকরি করেন। তাদের সবারই হাত-পা বাঁধা। তাদের পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া আদৌ সম্ভব নয়। এটা সবাই বোঝে। তিস্তা নদীর ব্যাপারে একটি চুক্তি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই নদীর ওপরে ভারতের গজলডোবা নামক স্থানে বাঁধ দিয়ে তারা একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ফলে বর্তমানে তিস্তাতে তিন থেকে চারশ’ কিউসেকের বেশি পানি নেই। এটার অর্থ হচ্ছে, পুরো পানিই ভারত তুলে নিচ্ছে। ভারতের ভেতরে এ নদীর ডান দিকে যে ক্যানেল রয়েছে তার ধারণক্ষমতা হচ্ছে ১৬ হাজার কিউসেক। তিস্তা নদীর পানির ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশ তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প গড়ে তুলেছে। শুকনো মৌসুমে যখন বৃষ্টিপাত থাকে না, তখন ওই প্রকল্পের পানি দিয়ে গোটা উত্তরাঞ্চলে ধান উত্পাদন হয়। ভারত একতরফা তিস্তা নদীর পানি প্রত্যাহার করায় ওই প্রকল্প এখন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এ কারণেই পানি বণ্টন চুক্তির মাধ্যমে ন্যায্য হিস্যা অনুযায়ী পানি পাওয়া দরকার। আর এটা বাংলাদেশের জন্য এখন একটা জীবন-মরণ সমস্যা। বিশ্বের সর্বত্র এমনকি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশেও বলা হচ্ছে যে, অববাহিকাভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রয়োজন। তিস্তা নদীর পানি প্রাপ্তির ব্যাপারে ভারতের কাছ থেকে একটি নিশ্চয়তা প্রয়োজন। যার ওপর ভিত্তি করে একটি কর্মপরিকল্পনা করা যায়। আর এ জন্যই দরকার একটি চুক্তির।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পানি বিশেষজ্ঞ বলেন, ১৯৫২ সাল থেকে তিস্তার পানি বণ্টনের ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে। এখনও এই আলোচনা চলছে। ১৯৫২ সালে যে ধারায় আলোচনা হয়েছে, সাম্প্রতিক বৈঠকেও সেই ধারায় আলোচনা হয়েছে। এতে কোনো পরিবর্তন আমার কাছে মনে হয়নি। একটি চুক্তি করার জন্য যদি ৫০/৬০ বছর ধরে আলোচনাই হয়, তাহলে এর সফলতা নিয়ে প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। দু’পক্ষের মধ্যে চুক্তির জন্য উভয়পক্ষকেই সম্মত হতে হবে। একপক্ষ সম্মত হলে তো আর হচ্ছে না। অপর পক্ষকেও সম্মত হতে হবে। ১৯৫২ সাল থেকে আলোচনার পর যেহেতু এখনও চুক্তিটি হয়নি, তাই স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, এতে ভারতের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। সম্প্রতি যৌথ নদী কমিশনের যে বৈঠক হলো, সেটা যদি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পরে হতো তাহলেও কিছুটা আশাবাদী হওয়া যেত।
আরেক পানি প্রকৌশলী বলেন, তিস্তা প্রকল্পই হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, যার মাধ্যমে রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়ায় তিন লাখ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়। এ প্রকল্পের জন্য শুষ্ক মৌসুমে ৮ হাজার কিউসেক পানির প্রয়োজন হয়। তিস্তা ব্যারেজ দিয়ে এ পানি আসত। বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, ভারত তিস্তা ব্যারাজের একশ’ কিলোমিটার উত্তরে গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে সব পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ফলে বর্তমানে ওই প্রকল্প এলাকায় তীব্র পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে এবং গোটা প্রকল্পই হুমকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে বহু বছর ধরে চেষ্টা করেও ভারতকে পানি বণ্টন চুক্তিতে রাজি করাতে ব্যর্থ হচ্ছে। গত ৮ বছরে জেআরসির কোনো বৈঠকেই তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যুটি এজেন্ডাভুক্ত করতে ভারত রাজি হয়নি। আমি মনে করি, ভারতের অনীহার কারণেই চুক্তি হচ্ছে না। আর যদি চুক্তি হয়, তাহলেও বাংলাদেশের স্বার্থে হবে না। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করে আসছি, ভারত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার করে তাদের দক্ষিণাঞ্চলে নেয়ার যে পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশের জন্য এটিও মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/03/11/22218
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment