Saturday 10 April 2010

মৌলভীবাজারে ধলাই বাঁধ মেরামতে ভারতের বাধা

মৌলভীবাজার ও কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
ভারত সরকারের রহস্যজনক নীরবতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে মৌলভীবাজারের কুরমা সীমান্তের মখাবিল ধলাই নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ ঝুলে আছে। বর্ষার আগে প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামত করতে না পারলে কমলগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ঘরবাড়ি ও ব্যাপক ফসল বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এতে করে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৮৪ লাখ টাকার কাজ আটকে আছে।
জানা গেছে, ধলাই নদীর কুরমা সীমান্তে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের ৫০০ ফুট পরিমাণ ভাঙন দেখা দেয়। এই ভাঙন মেরামতের জন্য মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৮৪ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের কাজ পায় শহীদ ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮ সালের শেষের দিকে ধলাই নদীর বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বাঁধ মেরামত কাজে হাত দিলে বিএসএফ এতে বাধা দেয়।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে উন্নয়নমূলক কাজ করতে হলে দু’দেশের যৌথ নদী কমিশনের সিদ্ধান্তমতে তা করতে হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়মমত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন পাঠায়। কিন্তু দীর্ঘ দু’বছরেও ভারত সরকার এতে কোনো সাড়া দেয়নি।
এ অবস্থায় প্রায় দু’বছর ধরে ধলাই নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ করা যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঠিকাদারি সংস্থাটি আবারও বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নিলে বিএসএফ এতে বাধা দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, বর্ষার আগে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামত করতে না পারলে এবছর বন্যা দেখা দেবে। এ বন্যায় ইসলামপুর, আদমপুর, আলীনগর, কমলগঞ্জ এবং শমশেরনগর ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকার ফসলি জমি ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানা যায়, ১৯০৯ ও ১৯১০ নং সীমান্ত খুঁটির মধ্যবর্তী ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের ৫০০ ফুট পরিমাণ বাঁধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের তোড়ে এ বাঁধটি পুরোটাই ভেঙে যেতে পারে।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/04/10/26700

No comments:

Post a Comment