Saturday, 10 April 2010
রাজশাহীতে মাদ্রাসার নামে গোরস্তানের জায়গা দখল করল আ’লীগ সমর্থকরা
রাজশাহী অফিস
মাদ্রাসা তৈরির নামে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর দড়িখরবোনা গোরস্থানের জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা গোরস্থানের পশ্চিমপ্রান্তের প্রায় ১০ বছরের পুরনো প্রাচীর ভেঙে ২০ কাঠা জমিতে নতুন প্রাচীর তুলে দখলে নিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সোবহান আলী লিটন বলেন, এ ব্যাপারে আমি বেশি কিছু জানি না। তবে শুনেছি জমির মালিক মহসিন আলী মাদ্রাসা তৈরির জন্য এ জমি দান করেছেন। জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আবদুল মমিন বলেন, আমরা অবৈধ দখলের জন্য প্রাচীর ভাঙিনি। মুসল্লিদের মসজিদে যাতায়াতের রাস্তা করে দেয়ার জন্য এ প্রাচীর ভাঙা হয়েছে।
তবে এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন থেকে ওই জমিতে গোরস্থান ছিল। হঠাত্ এলাকার কিছু আওয়ামী সমর্থক মাদ্রাসা নির্মাণের নামে ওই জমি দখলের উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে ২ এপ্রিল গোরস্থানের পুরনো প্রাচীর ভেঙে নতুন প্রাচীর নির্মাণ করে তারা। এ সময় তারা বলে, এটি সিটি কর্পোরেশন তাদের মাদ্রাসা তৈরির জন্য দিয়েছে। তবে জমিটি হস্তান্তরের কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি।
এদিকে গোরস্থানের জায়গা দখল করে মাদ্রাসা নির্মাণের বিরোধিতা করে এলাকার ৬৫ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ সিটি মেয়র, রাজশাহী জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার (পূর্ব-পশ্চিম) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া মডেল থানাকে দিয়েছেন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের এস্টেট অফিসার গোলাম রাব্বানী রিপন কিছু জানেন না। দড়িখরবোনা মাদ্রাসার আবেদনটিও তিনি পাননি বলে জানান।
এ ব্যাপারে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, দড়িখরবোনা গোরস্থানের সীমানাপ্রাচীর ভাঙার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং রাসিকের ১৫ ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে পাঠানো হয়েছিল তদন্ত করতে। নির্মাণ কাজ থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তানোর : তানোরে জেলা পরিষদের টাকায় আ’লীগ নেতার ব্যক্তিগত গোরস্থানের প্রাচীর তৈরি করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে তানোর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি মসজিদ, মাদ্রাসা ও গোরস্থান উন্নয়নমূলক কাজের জন্য রাজশাহী জেলা পরিষদ অর্থ বরাদ্দ করে। এর মধ্যে তানোর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের সরকারি গোরস্থান প্রাচীর তৈরির জন্য জেলা পরিষদ থেকে ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলে আ’লীগ নেতা আলাউদ্দিন আলী গ্রামবাসীকে না জানিয়ে তার ভাই নজির উদ্দিনকে প্রকল্প সভাপতি আরেক ভাই সেলিম উদ্দিনকে প্রকল্প সেক্রেটারি করে রেজুলেশন তৈরি করে, কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক তানোর শাখায় হিসাব খোলে। এ ব্যাপারে আ’লীগ নেতা নারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, আমার পারিবারিক গোরস্থানটির প্রাচীর তৈরির জন্য রাজশাহী জেলা পরিষদ থেকে ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। ২/১ দিনের মধ্যেই প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু করব।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/04/10/26845
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment