স্টাফ রিপোর্টার
বর্তমান জাতীয় সংসদের ৫২ শতাংশ সংসদ সদস্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় বেসরকারি খাতে দিন দিন দুর্নীতি বাড়ছে। রাজনীতিকরা প্রভাব খাটিয়ে বেসরকারি খাতকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে ফেলছেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দুর্নীতির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মোট দুর্নীতির ১৯ শতাংশ হয় বেসরকারি খাতে। দুর্নীতির হারের দিক থেকে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এরপর রয়েছে রাজনীতি। তবে ব্যবসা খাতের দুর্নীতির সঙ্গে রাজনীতির একটি যোগসূত্র রয়েছে।গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) মিলনায়তনে ‘ইউনাইটেড নেশন গ্লোবাল কম্পেক্ট প্রিন্সিপাল অন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড এন্টিকরাপশন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি। টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন,
বেসরকারি খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরীক্ষা অবশ্যই প্রয়োজন। দুর্নীতি দমন কমিশন, কর কর্তৃপক্ষ ও অর্থ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে বেসরকারি খাতকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
বিইআই সভাপতি ফারুক সোবহানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বিশিষ্ট পানিবিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল আহমেদ আতাউল হাকিম, প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ড্যানিশ রাষ্ট্রদূত সেন্ট ওলিং।
No comments:
Post a Comment