স্টাফ রিপোর্টার
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান হিউগেট লাবেল বলেছেন, দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশের কারণে একমাত্র বাংলাদেশেই ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে না দিলে এটি কার্যকারিতা হারাবে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি কর্মকর্তাসহ কোনো বিশেষ শ্রেণী বা গোষ্ঠীকে আলাদা মাপকাঠিতে বিচার করা যাবে না। এটি করলে কমিশন কার্যকারিতা হারাবে।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সফররত চেয়ারম্যান। কোনো একটি শ্রেণীকে বিশেষ সুবিধা দেয়া উচিত নয় বলে মনে করেন টিআই চেয়ারম্যান লাবেল। তিনি বলেন, অন্যদের তুলনায় কোনো একটি শ্রেণীকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে দেখতে পেলে মানুষ সরকার ও সংস্থার ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।
বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেন টিআই চেয়ারম্যান।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১১ বিল আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়। বিচারক, বিচার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি এবং সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করার আগে সরকারের অনুমতি নেয়ার বিধান বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বিলে। সংসদে অনুমোদন হলে এটি আইনে পরিণত হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কেউ মিথ্যা অভিযোগ করলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এই বিলে। আইনটি পাস হলে দুদকের নিম্নপর্যায়ের কর্মকর্তারা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না।
জলবায়ু ফান্ডের দিকে টিআই’র নজরদারি থাকবে জানিয়ে এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে ওয়াচডগ হিসেবে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনগত সংস্কার নিয়ে যে খেলা চলছে তা সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের পরিপন্থী।
দেশে দুর্নীতির মাত্রা কমিয়ে আনতে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন এবং তা জনগণের সামনে তুলে ধরার দাবি জানান তিনি
।
No comments:
Post a Comment