Wednesday, 23 February 2011

টাঙ্গাইলে আ’লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার টেন্ডার ভাগাভাগির অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার টেন্ডার ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগসাজশে নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণকাজসহ বিভিন্ন হাট-বাজার উন্নয়নের আটটি কাজ ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিভিন্ন সময়ে টেন্ডারে অনিয়মসহ নানা কারণে নাখোশ হয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে বদলি করে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ভূয়াপুর প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদের হাট-বাজার উন্নয়ন তহবিলের ৮৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকার আটটি কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। একই দিন পৃথক দরপত্রে ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ভূয়াপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণকাজের দরপত্র আহ্বান করেন উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদ আল ফারুক। গত ১৫ ডিসেম্বর দরপত্র বিক্রি ও দরপত্র খোলার শেষদিন ছিল।
দরপত্রের শর্তানুযায়ী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা ৫ শতাংশ কম দরে দরপত্র দাখিল করেন। সব ঠিকাদার সমদরে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করলে লটারির মাধ্যমেই টেন্ডার প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি করার নিয়ম। দরপত্র খোলার পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কার্যাদেশসহ নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে বলে জানান টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি আরও বলেন, এ সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে টেন্ডার বাতিল বলে গণ্য হবে। এসবের কোনো তোয়াক্কা না করে গত দেড় মাসে লটারির উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদ আল ফারুক বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পৌর নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে কাজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়নি।

No comments:

Post a Comment