Wednesday, 21 September 2011

রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ১০ ব্যাংক : ক্ষমতাসীনদের ভাগবাটোয়ারা



সৈয়দ মিজানুর রহমান
ব্যাংকিং খাতে চলমান তীব্র তারল্য সঙ্কট, দেশের নাজুক অর্থনীতি এবং বর্তমানে ১৭টি ব্যাংক ঝুঁকিতে থাকার পরও মহাজোট সরকার নতুন করে আরও অন্তত ১০টি ব্যাংকের লাইসেন্স দিতে যাচ্ছে। লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে শুরুতেই বড় ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা, সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনের অনেকেই পাচ্ছেন নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অনুমোদন। আবার লাইসেন্স পাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে চলছে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যও।
এদিকে নতুন ব্যাংকের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে নতুন ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান জানান, বাস্তবেই আমাদের অর্থনীতি এতো বড় না, তাই বেশিসংখ্যক ব্যাংক দেয়ার সুযোগও এখন নেই। এ দিকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোরভাবে দেখছে। তবে সরকার যতগুলো ব্যাংক চাচ্ছে আমাদের সেই চাহিদা পূরণের সুযোগ নেই। নতুন ব্যাংক বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি সরকারের একটি রাজনৈতিক ইচ্ছা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আরও নতুন ১০টি ব্যাংকের অনুমোদন দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৪টি ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। তবে বাকি ৬টির বিষয়ে আরও বিশদ আলোচনার কথা বলা হয়েছে পর্ষদ বৈঠকে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত পর্ষদ বৈঠকে বলা হয়, নতুন ব্যাংক পেতে ৮২টি আবেদন জমা আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। বর্তমান সরকারের আমলে ২০টি আবেদন জমা পড়েছে। মূলত বর্তমান সরকারের আমলে করা আবেদনের মধ্য থেকেই বাছাই হবে, কারা পাবেন নতুন ব্যাংক। তবে এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় তালিকা পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছে তাদের পছন্দের নতুন ব্যাংকগুলোর নাম। আর এর মধ্যে আছে ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয়স্বজন।
এদিকে নতুন ব্যাংক অনুমোদনের গাইডলাইন বদলে ফেলা হচ্ছে। ব্যাংক প্রতিষ্ঠার শর্ত শিথিল করতেই এই খসড়া বদলে ফেলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আগের গাইডলাইনে এমন শর্ত ছিল যে, ‘ঋণখেলাপি এবং করখেলাপি এমনকি গত ৫ বছরের মধ্যে খেলাপি ছিলেন এমন কেউ নতুন ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না’।
জানা গেছে, নতুন ব্যাংক স্থাপনের বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক একটি তালিকা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকা অনুযায়ী বর্তমান সরকারের আমলে নতুন ব্যাংকের জন্য আবেদন করা রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস ও শেখ সালাহ উদ্দিন। তাদের ব্যাংকের নাম দেয়া হয়েছে মধুমতি ব্যাংক। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং সরকারি হিসাব সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর একাই চেয়েছেন দু’টি ব্যাংক। এর একটির নাম দেয়া হয়েছে ফারমার্স ব্যাংক ও অন্যটির নাম এসএমই ব্যাংক। দি ফারমার্স ব্যাংক গুলশানে অফিস খুলে এরই মধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ‘রূপায়ণ ব্যাংক’ নামে নতুন ব্যাংকের আবেদন করেছেন।
শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীদের নামেও কয়েকটি ব্যাংকের আবেদন করা হয়েছে। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নামে সেলফ এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক নামে একটি ব্যাংকের আবেদন এসেছে। ড. এসএম শওকত আলী ‘ক্যাপিটাল ব্যাংক’, এনজিও ব্যক্তিত্ব অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম ‘টিএমএসএস ক্ষুদ্র পুঁজি ব্যাংক’, ড. মো. শামসুল হক ভূঁইয়া ‘অ্যাপোলো ব্যাংক’ নামে নতুন ব্যাংক চেয়েছেন। প্রবাসী কমার্শিয়াল ব্যাংক নামে নতুন ব্যাংক চেয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা ফরাসত আলী। তার সঙ্গে আছেন ব্যবসায়ী নেতা কুতুবউদ্দিন। দি ব্যাংক অব এনআরবি’র আবেদন করেছেন মোল্লা ফজলুর রহমান, নিজাম চৌধুরী ও আরিফুর রহমান। আরবান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আবেদনে নাম আছে সাজ্জাদুল ইসলাম, মো. হেলাল মিয়া ও বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহসীন উদ্দিনের। ডাইনামিক ইসলামী ব্যাংকের আবেদনকারীরা হলেন বারেকুর রহমান, মো. হেলাল মিয়া ও তাজুল ইসলাম। রয়েল ব্যাংকের প্রস্তাবক হচ্ছেন নুরুল কাইয়ুম খান, জাহাঙ্গীর আলম খান ও আজিজুল খান চৌধুরী। কে টি আহমেদ আবেদন করেছেন বন্ড অ্যান্ড মর্টগেজ ব্যাংক (বিএমবি) প্রতিষ্ঠার। এক্সপ্রেস নামে ব্যাংক পেতে আবেদন করেছেন নাসিম আহমেদ, শাহরিয়ার আলম ও এবাদুল করিম।
দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বিদেশি ব্যাংক আছে ১৮টি। এর বাইরে বেসরকারি ব্যাংক ৩০টি। মোট ৪৮টি ব্যাংক রয়েছে দেশে। এর বাইরে ৬০টি বীমা কোম্পানি আছে। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে এরশাদের আমলে (১৯৮২-১৯৯০) অনুমোদন দেয়া হয় ৯টি ব্যাংকের। বিএনপি আমলে (১৯৯১-১৯৯৬) ৮টি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের আমলে (১৯৯৬-২০০১) দেয়া হয় ১৩টি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন। তবে (২০০১-২০০৬) পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে বিএনপির আমলে এবং সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশে আর কোনো ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়নি।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি অথবা তার পরিবারের কোনো সদস্য কোনো ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণখেলাপি হলে এবং সরকারের কাছে করখেলাপি হলে তিনি প্রস্তাবিত ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। এমনকি কেউ গত ৫ বছরের মধ্যে ঋণ বা করখেলাপি থাকলে এবং এ বিষয়ক কোনো মামলা অনিষ্পন্ন থাকলে তিনি নতুন ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। নতুন ব্যাংকের মূলধনের পরিমাণ হবে কমপক্ষে ৪০০ কোটি টাকা এবং শুধু সাধারণ শেয়ারের মাধ্যমে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন গঠিত হবে। ব্যবসা শুরুর তারিখ থেকে ৩ বছরের মধ্যে বাজারে শেয়ার ছেড়ে পরিশোধিত মূলধনের সমপরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। ৫ শতাংশ অথবা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ শেয়ারধারী উদ্যোক্তার মূলধন সংরক্ষণ চুক্তি সই করতে হবে এবং চুক্তির মাধ্যমে তারা অঙ্গীকার করবেন, ভবিষ্যতে নতুন ব্যাংকটি যদি কখনও মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয় তাহলে উদ্যোক্তারা ঘাটতি মূলধন সরবরাহ করবেন। একজন উদ্যোক্তা সর্বনিম্ন এক কোটি টাকার শেয়ার এবং সর্বোচ্চ মোট মূলধনের ১০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারবেন। কোনো ব্যক্তি, কোম্পানি বা কোনো পরিবারের সদস্যরা একক, যৌথ বা উভয়ভাবে প্রস্তাবিত ব্যাংকের মোট মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারবেন না। উদ্যোক্তাদের তাদের আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত নিট সম্পদ থেকে প্রস্তাবিত ব্যাংকের মূলধন সরবরাহ করতে হবে। তবে এসব শর্ত থাকলে ক্ষমতাসীনদের অনেকেই ব্যাংক পাবেন না। ফলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে তাদের নতুন ব্যাংকের গাইডলাইন বা খসড়া পরিবর্তনের।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার কার্যক্রম শুরুর তাগিদ আসে গত জুনে। এর পরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি জরিপ কার্যক্রম শুরু করে, যা পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করে নতুন ব্যাংকের প্রয়োজনীতা বিষয়ে এই প্রতিবেদনে সরাসরি নতুন ব্যাংকের বিরোধিতা করা না হলেও, তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বুঝানো হয়, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নতুন আর কোনো ব্যাংকের দরকার নেই। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের অর্থনীতির আকার বাংলাদেশের মতো। শ্রীলঙ্কায় ব্যাংকের সংখ্যা ৩৭টি এবং পাকিস্তানে ৪৫টি। বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৪৮টি। তুলনামূলকভাবে বড় অর্থনীতির দেশ মালয়েশিয়ায় ব্যাংকের সংখ্যা ৩১টি এবং ভারতে ১৬৩টি। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আমাদের দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় ব্যাংক বেশি। এর আগে ২০০৫ সালের ১২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২৭২তম সভায় বেসরকারি খাতে নতুন ব্যাংক স্থাপন সংক্রান্ত একটি নীতিমালা উপস্থাপন করা হলে পর্ষদ তা অনুমোদন করে। তবে তার অর্থ এই ছিল না যে, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। বরং দেশের অর্থনীতি ও অর্থবাজারের আকার, সঞ্চয় সৃষ্টি ও মূলধন গঠনের হার, আর্থিক খাতের গভীরতা, বিদ্যমান ব্যাংকিং অবকাঠামো ও ব্যাংকিং সেবার চাহিদা এবং ব্যাংকগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান প্রভৃতি বিবেচনায় নতুন কোনো ব্যাংক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ যুক্তিসঙ্গত হবে না মর্মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ ওই সময় মতামত দেয়।
এদিকে আইএমএফ’র তরফ থেকেও বাংলাদেশে এ মুহূর্তে নতুন ব্যাংকের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়। সম্প্রতি সংস্থাটির প্রধান ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন ব্যাংকের বিরোধিতা করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত অনুমোদন না দিলেও এর আগেই নতুন ব্যাংকের নামে অনেকেই অফিস চালু করেছেন বলে জানা গেছে। গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারে খোলা হয়েছে প্রস্তাবিত ফারমার্স ব্যাংকের অফিস। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মহীউদ্দীন খান আলমগীর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ফারমার্স ব্যাংকের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, এভাবে কার্যালয় খুলে কার্যক্রম চালানো নজিরবিহীন।
নতুন ব্যাংক বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বেসরকারি খাতে নতুন ব্যাংক স্থাপনের বিষয়টি সরকারের একটি রাজনৈতিক ইচ্ছা। তিনি বলেন, সরকার বেসরকারি খাতে আরও কিছু নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার পক্ষে। তবে ঠিক কয়টি ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংককে এ ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার নতুন ব্যাংক স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এর আগে অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইআরএফ আয়োজিত এক সেমিনারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি সরকারের একটি রাজনৈতিক ইচ্ছা। দলীয় লোকজনকে সুবিধা দেয়ার জন্যই নতুন ব্যাংক কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। অন্যদিকে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান জানিয়েছেন, ‘আমরা যখন দেখলাম সরকার নতুন ব্যাংক করবেই তখন একটি সমীক্ষাকে সামনে রেখে নতুন কিছু শর্ত দিয়ে একটি খসড়া বা গাইডলাইন তৈরি করেছি। এতে কঠিন অনেক শর্তই আছে। প্রকৃত উদ্যোক্তা ছাড়া অন্যরা হয়তো নতুন ব্যাংক পাবেন না। তবে নতুন ব্যাংক সংখ্যায় খুবই সীমিত হবে। হয়ত ২/৪টি অনুমোদনের বিষয় ভাবছে বোর্ড।’ আপনার ওপর রাজনৈতিক চাপ আছে কিনা? থাকলে কারা দিচ্ছে? জানতে চাইলে ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে আমি হয়ত কোনো মতের বা আদর্শের হতে পারি, তবে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারে বসি তখন আমার কাছে সেটি ক্ষীণ। আমি বিশ্বাস করি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেয়া যায় না। তবে সরকার চাইছে কিছু ব্যাংকের অনুমোদন আমরা দেই।’ কাউকে সুযোগ দিতে ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের শর্ত শিথিল করবেন কিনা—প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। শর্ত মেনে কউ পারলে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করবে।

No comments:

Post a Comment