tag:blogger.com,1999:blog-77185886936160157372024-02-19T07:20:31.662-08:00Awami Brutality - Corruption & ConspiracyAnonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.comBlogger122125tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-88112296798906319772012-01-01T00:41:00.000-08:002012-01-01T00:42:10.135-08:00বছরের আলোচিত উক্তি<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgx-ju60Q_C50lGN6MFJ8xycssIwHUfGY8_Ftw7xtUrMT8OpM7hBQtI4K_2BATSjIoeX9qG31oNvybniZaTVVSrzVZwds5cCh64rr93uXiJw_NTPQi_JdWP3xfTxEswpJG7_u2rpCUy4aL0/s1600/P1_Alachita.jpg"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 381px; height: 400px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgx-ju60Q_C50lGN6MFJ8xycssIwHUfGY8_Ftw7xtUrMT8OpM7hBQtI4K_2BATSjIoeX9qG31oNvybniZaTVVSrzVZwds5cCh64rr93uXiJw_NTPQi_JdWP3xfTxEswpJG7_u2rpCUy4aL0/s400/P1_Alachita.jpg" border="0" alt=""id="BLOGGER_PHOTO_ID_5692581102771957170" /></a><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br />এমরান হোসাইন<br /><br />সদ্য বিদায় নেয়া বছরে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের কয়েকটি উক্তি বছরজুড়েই ছিল আলোচিত। এসব উক্তি ছিল মানুষের মুখে মুখে, টক অব দ্য কান্ট্রি। গণমাধ্যম এসব আলোচিত উক্তি নিয়ে আকর্ষণীয় কার্টুনও প্রকাশ করেছে।<br />টাকা থাকলে ঢাকাকে চার ভাগ করতাম : প্রধানমন্ত্রী<br />সরকার সম্প্রতি চারশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী শহর ঢাকাকে দুটি সিটি করপোরেশনে বিভক্ত করেছে। গত ৩০ নভেম্বর মাত্র চার মিনিটে এ সংক্রান্ত বিল বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে পাস হয়। ঢাকা সিটিকে দুই ভাগ করার বিল পাসের আগে-পরে সংসদের বাইরে বিরোধী দলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিল পাসের পরদিন ৩০ নভেম্বর সংসদের সমাপনী ভাষণে এসব সমালোচনার জবাব দেন। ওইদিন তিনি বলেন, সরকার নগরবাসীর দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ঢাকা সিটিকে দুই ভাগ করেছে। ডিসিসি ভাগের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি দেয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আরেক ধাপ এগিয়ে বলেন, ঢাকা সিটিকে দু’ভাগ করেছি। আমাদের যথেষ্ট টাকা থাকলে চার ভাগ করতাম।<br />বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে, শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না : সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত <br />গত বছরের বহুল আলোচিত উক্তি ছিল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বর্তমানে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের। বাঘে ধরে কাউকে ছাড়লেও শেখ হাসিনা কাউকে ধরলে ছাড়েন না বলে তিনি মন্তব্য করেন। সরকার নোবেল শান্তি বিজয়ী ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের পর সুরঞ্জিত এ ধরনের উক্তি করেন। গত ২৪ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রজন্ম একাত্তরের এক আলোচনা সভায় বিরোধী দল বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন—বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে কিন্তু শেখ হাসিনা ধরলে কাউকে ছাড়ে না। ছাড়ছে? ছাড়ছে? ছাড়ছে ইউনূস মিয়াকে?’<br />আমি হিন্দু নই মুসলমানও নই : আশরাফ<br />গত ১৩ জুলাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বের সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ওই অনুষ্ঠানে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীসহ সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান সৈয়দ আশরাফ। এ সময় তিনি স্বীকার করেন, সংশোধিত সংবিধানে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। এ সময় জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নিজের ধর্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমি মুসলমানও নই, হিন্দুও নই।’ মুসলিম পরিবারের ছেলে ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্য দলের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক ঝড় তোলে।<br />কম খান : ফারুক খান<br />সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বর্তমানে বেসরকারি বিমান চলাচলমন্ত্রী কর্নেল ফারুক খানের কম খাওয়ার পরামর্শ বিষয়ের উক্তিটিও কম উপভোগ্য ছিল না। গত ৪ আগস্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকালে মন্ত্রী বলেন, আমি বললে তো আপনারা রাগ করবেন। কম খান। একবেলা কম খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে আর ব্যবসায়ীদের মুনাফা কমে যাবে। ফলে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াবে না। মন্ত্রী নিজেও কম খান বলে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।<br />সিপিডির বক্তব্য টোটালি রাবিশ : অর্থমন্ত্রী<br />গত ৫ জুন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বক্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, সিপিডির বক্তব্য অত্যন্ত অন্যায়, দুষ্ট এবং ‘টোটালি রাবিশ, বোগাস’।<br />এর আগেরদিন ৫ জুন এক অনুষ্ঠানে সরকারের ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির হারের প্রাক্কলন ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশকে সিপিডি প্রশ্নসাপেক্ষ উল্লেখ করেন। অর্থমন্ত্রী অপর এক অনুষ্ঠানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধ করতে সপ্তাহে একদিন বাজারে কম যাওয়ার পরামর্শ দেন।<br />ভারতকে ট্রানজিট দিয়ে ফি চাওয়া হবে অসভ্যতা : ড. মসিউর রহমান<br />ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার মাধ্যমে ফি আদায়ের প্রসঙ্গ এলে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বিনা ফি’তে ট্রানজিট দেয়ার কথা জানান। ট্রানজিটের বিনিময়ে ফি আদায় নাকি অসভ্যতা (!) বলে মন্তব্য করেন এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রানজিট দেয়ার বিনিময়ে ভারতের কাছ থেকে কোনো ফি দাবি করতে পারি না। ট্রানজিট চুক্তি বিষয়ে আমার বক্তব্য সবসময় একটাই। আমরা এখন সিভিলাইজড (সভ্য) কান্ট্রিগুলোর অন্তর্ভুক্ত। সেই হিসেবে ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার বিনিময়ে আমরা কোনো ফি দাবি করতে পারি না। এটা করলে আমরা আনসিভিলাইজড (অসভ্য) কান্ট্রিগুলোর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। বাংলাদেশ যদি অসভ্য ও অশিক্ষিত দেশ হতো, বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা যদি অসভ্য ও অশিক্ষিত হতেন, তাহলে ট্রানজিটের জন্য ফি চাওয়া যেত।’ পরে ১২ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে এই উপদেষ্টা বলেন, আমাদের লোকজন অভিজ্ঞ না হওয়া পর্যন্ত ভারত থেকে ফি নেয়া হবে না। এর আগে গত বছরের প্রথমদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রভাবশালী উপদেষ্টা শেয়ারবাজার বিপর্যয় নিয়ে মন্তব্য করেন। গত বছর ২০ জানুয়ারি খুলনার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে ধসের জন্য সরকারের মাথা ঘামানোর কোনো কারণ নেই; কারণ কতকগুলো লোক (শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারী) যদি অর্থনীতিতে অবদান না রেখে লাভবান হতে চায়, তাদের কষ্টে আমার হৃদয় কাঁদে না।<br />টিপাইমুখ বাঁধে আমাদের বরং ভালোই হবে : গওহর রিজভী<br />টিপাইমুখে ভারত বাঁধ ও জলবিদ্যুত্ প্রকল্প নির্মাণে চুক্তি করার খবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও ড. গওহর রিজভীকে দিল্লি পাঠান বাস্তব পরিস্থিতি জানতে। দিল্লি সফর শেষে গত ৩ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন এই দুই উপদেষ্টা। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে সফরের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। প্রতিক্রিয়াকালে ড. গওহর রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘টিপাইমুখ বাঁধে আমাদের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না; বরং ভালোই হবে। আমরা একেবারেই সেটিসফাইড হয়ে এসেছি। এ নিয়ে ভারত যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’<br />গরু-ছাগল চিনলেই লাইসেন্স দেয়া যায় : নৌপরিহনমন্ত্রী<br />গত বছর একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে দেশবাসী যখন সোচ্চার, পরীক্ষা ছাড়া (অশিক্ষিত ব্যক্তিদের) ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার বিরুদ্ধে যখন সামাজিক সংগঠনগুলোর আন্দোলন তুঙ্গে, তখনই নৌপরিবহনমন্ত্রী ও পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান খান পরীক্ষা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার পক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরেন। গত ২৮ আগস্ট সচিবালয়ে তার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, দেশে চালকের সঙ্কট আছে। এজন্য অশিক্ষিত চালকদেরও লাইসেন্স দেয়া দরকার। আর চালকরা সিগন্যাল চেনে, গরু-ছাগল চেনে, ভেড়া-মহিষ-মানুষ চেনে। সুতরাং তাদের লাইসেন্স দেয়া যায়।’ এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর নিজ নির্বাচনী এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত চালকদের পক্ষ নিয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ড্রাইভারও ফাইভ পাস। সে-ও ভালো গাড়ি চালায়।’<br />আমি গণক নই যে বলব, কবে তিস্তা চুক্তি হবে : দীপু মনি<br />সরকারের দৃঢ়বিশ্বাস থাকলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমতাসীন সরকার। গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের। গত ৪ অক্টোবর এ ধরনের একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ওইদিন তার মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘কবে তিস্তা চুক্তি হবে’ সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বেশ ক্ষুব্ধ হন দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘আপনারা কেন হতাশ হচ্ছেন, আমি বুঝতে পারছি না। আমি গণক নই যে বলতে পারব, তিস্তা চুক্তি কবে হবে।’ এ ব্যাপারে উভয় দেশের সম্মতি আছে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সমুন্নত রেখেই চুক্তিটি হবে। ভবিষ্যতে কবে তিস্তা চুক্তি হবে, এমন সুনির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ বলতে পারছি না। গত ৪০ বছর এটা নিয়ে কেউ কিছু করেনি। আমরা এখন করছি। আওয়ামী লীগ সরকার এ চুক্তি করবে।<br />সন্তু লারমার শান্তিতে নোবেল পাওয়া উচিত ছিল : অ্যাটর্নি জেনারেল<br />নোবেল শান্তি বিজয়ী ড. ইউনূসের রিট আবেদনের ওপর উচ্চ আদালতে শুনানিকালে গত ৮ মার্চ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আপনারা নোবেল প্রাইজটাকে এত বড় করে দেখছেন কেন? বাংলাদেশে যদি শান্তির জন্য নোবেল প্রাইজ পেতে হয় তাহলে আমি বলব, দু’জনের পাওয়া উচিত ছিল— শেখ হাসিনা আর সন্তু লারমার। কারণ একটি বিরাট এলাকা সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত ছিল। যেখানে সেনাবাহিনী ছাড়া আমাদের যাওয়ার অবস্থা ছিল না। সেখানে আজ আমরা স্বাধীনভাবে বিচরণ করছি। শান্তি ফিরে এসেছে। এই শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য দু’জন কাজ করেছেন, শেখ হাসিনা আর সন্তু লারমা। তারা নোবেল প্রাইজ পাননি বলে কি শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তাদের যে কাজ, তা কম হয়ে যাবে?’<br />এদিকে সরকার ও দলের বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের আলোচিত-সমালোচিত মন্তব্য করেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদও সংসদকে মাছের বাজার বলে মন্তব্য করেছিলেন। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শওকত মোমেন গত ১৭ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিখ্যাত কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে (বীর উত্তম) যুদ্ধাপরাধী উল্লেখ করে তার বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ভয়াবহ চুরির পর ৬ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে মন্দিরে চুরি হয়েছে।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-55345087638581769262012-01-01T00:23:00.000-08:002012-01-01T00:24:23.887-08:00অলীক স্বপ্ন মিথ্যাচারে হতাশ জনগণ<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjdQ4kzVC4UmWodF_H03Fkvh256oVBLn5crmPYJxzUy60nzl-7ZaQySeeMMkRp40IGaPTQk0vcWvvHraJ_TGTDA_R3hDnkFQ7ZBo7_hNMWISMRipCUo8brLuvx6ic7owDksebR5cmXpMJJR/s1600/P1_Olik-Shapna_Lead.jpg"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 231px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjdQ4kzVC4UmWodF_H03Fkvh256oVBLn5crmPYJxzUy60nzl-7ZaQySeeMMkRp40IGaPTQk0vcWvvHraJ_TGTDA_R3hDnkFQ7ZBo7_hNMWISMRipCUo8brLuvx6ic7owDksebR5cmXpMJJR/s400/P1_Olik-Shapna_Lead.jpg" border="0" alt=""id="BLOGGER_PHOTO_ID_5692576528242094658" /></a><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br />মাহাবুবুর রহমান<br /><br />তিন বছরের শাসনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার অলীক স্বপ্ন দেখিয়ে ও মিথ্যাচার করে জনগণকে হতাশ করেছে বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। তাদের মতে, পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে ক্ষমতায় এলেও সরকার কোনো ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারেনি। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নাগরিক সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সরকার দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যে ঠেলে দিয়েছে। জিনিসপত্রের দাম কমানোর অঙ্গীকার থাকলেও লাগামহীনভাবে বেড়েছে দ্রব্যমূল্য। দুর্নীতিতে আন্তর্জাতিকভাবে এ সরকার নতুন সার্টিফিকেট এনেছে। বাগাড়ম্বর কূটনীতিতে আন্তর্জাতিক বন্ধু কমেছে। আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে বিশেষ কোনো সাফল্য নেই। জনশক্তি রফতানিতে ধস নেমেছে আশঙ্কাজনক হারে। পদ্মা সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে চাকরি, বিনামূল্যে সার এবং সুশাসন ও মানবাধিকারের আশার আলো দেখা যায়নি। রাস্তাঘাটসহ নতুন কোনো যোগাযোগ অবকাঠামো যোগ হয়নি এ সরকারের আমলে। উপরন্ু্ত আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে গুপ্তহত্যা চলছে, জনমনে চরম নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। অর্থনীতিতে চলমান অস্থিরতা নিরসন এ সরকারের দ্বারা সম্ভব নয়। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা কাটাতে না পারলে রাষ্ট্রব্যবস্থা চরম হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। <br />সরকারের তিন বছরের শাসনের মূল্যায়নে আমার দেশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন বিশিষ্ট চিন্তক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এরা হলেন—বদরুদ্দীন উমর, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলী খান, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান, বিবিসি খ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদ, অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান। <br />বিশিষ্ট চিন্তক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বদরুদ্দীন উমর বলেন, ঢেঁকিকে জিজ্ঞেস করলে বলে—আমরা স্বর্গে যাচ্ছি। সরকারও কেবল বলছে—দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছি। বস্তুতপক্ষে তিন বছরে সবক্ষেত্রেই ভয়াবহ নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। জনগণেরও কিছু করার নেই। কোন দিকে যাবে। বিকল্পও কিছু খুঁজে পাচ্ছে না। আশাপ্রদ কিছু পেলে এভাবে দেশ শাসন করে তিন বছর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পেত না এ সরকার। তিনি বলেন, দেশে একটি অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অপরাধের কোনো শাস্তি হচ্ছে না। সবাই পার পেয়ে যাচ্ছে। এভাবে চললে অরাজকতা ও নৈরাজ্য হবেই। এটাই এখন সবচেয়ে বড় সঙ্কট। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক দিকটিই সবচেয়ে বেশি খারাপ। একদিন বলছে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। আরেক দিন বলছে—হবে না। এভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায় না। <br />তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ পুরোপুরি অকার্যকর। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সরকার পড়ে আছে অন্য দেশের ওপর। সরকার ও বিরোধীদলের নির্ভরতায় ভারত, আমেরিকা ও সৌদি আরব বাংলাদেশকে ব্যবহার করে। বিরোধীদলের যে দায়িত্ব পালন করা দরকার, তাও তারা করে না। সরকারের মতোই জনগণের প্রতি সামান্যতম দায়িত্ববোধ তাদের নেই। <br />রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, তিন বছরে সরকার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের কাছাকাছিও যেতে পারেনি। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিপরীতমুখী কাজ করেছে। ১০ টাকা কেজি চাল দিতে চেয়েছে, বিনা টাকায় সার দিতে চেয়েছে। দ্রব্যমূল্য পাগলা ঘোড়ার মতো বিপরীতমুখী হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি এমন একটি অবস্থায় গেছে অপহরণ গুম-খুন এখন অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। অর্থনৈতিক ব্যর্থতা আকাশ ছুঁয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেনি। বিদেশে ভাবমূর্তি ভয়ঙ্কর ক্ষুণ্ন হয়েছে। দুর্নীতি বেড়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দুর্নীতির নতুন সার্টিফিকেট পেয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগটাও তারা নষ্ট করেছে। তত্ত্বগতভাবে না থাকলেও বাস্তবে তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। তবে একদিকে তারা সফল—সেটা হলো ভারতবান্ধব হয়ে ভারত যা চেয়েছে, তার চেয়েও বেশি তারা দিয়েছে। টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে তাদের কোনো শক্ত বক্তব্য নেই। ভারতের আচরণে মনে হয়, বাংলাদেশ যেন একটি করদরাজ্য।<br />তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলী খান বলেন, সরকারের তিন বছরের মূল্যায়ন করাটা কঠিন। এটা অনেক পরিসংখ্যানের বিষয়। মূল্যায়নে সফলতা-ব্যর্থতার খতিয়ানই তুলে ধরা হয়। এ সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের অনেক কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আবার কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে। আরও হচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো—কোনো সরকারই সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে না। এ সরকারও পারেনি। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য কমানো তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সর্বপ্রধান অঙ্গীকার ছিল। সেটা সম্ভব হয়নি। দ্রব্যমূল্য আরও বেড়ে গেছে। এটা উদ্বেগের। তিনি বলেন, সরকারের শাসনামল মূল্যায়নে এককেন্দ্রিক পর্যালোচনা বা তালিকা তুলে ধরা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। তবে তিন বছরে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকার কাছাকাছিও পৌঁছতে পারেনি। এটা সরকারের জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক। <br />রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান বলেন, উন্নয়নশীল দেশে ৫ বছর মেয়াদি সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রথম তিন বছরই গুরুত্বপূর্ণ। এটিই অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়নের মূল সময়। সার্বিক বিবেচনা করলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এ সময়ে সফলতা দেখাতে পারেনি। নির্বাচনী ইশতেহার বিবেচনায়ও তারা অসফল। পদ্মা সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সারের দাম কমানো, বেকারত্ব নিরসন, গুপ্তহত্যা না হওয়া, সংসদ কার্যকর ও আগামীতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আস্থাজনক পরিস্থিতির সুযোগ রাখলেও সরকারের প্রতি জনগণের অবিশ্বাস এবং অনাস্থা কম থাকত। সাধারণ মানুষ দূরে থাক, মহাজোটের অন্তর্ভুক্ত রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও সরকারকে বিশ্বাস করছে না। পরিবর্তনের স্লোগান কেবল সরকারি দলের নেতাকর্মীদের অর্থ, চাকরি ও বিত্তবৈভবে ঘটেছে। নাগরিকদের জীবনে নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। <br />বিবিসি খ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদ বলেন, ১৯৪৮ থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যে গণতান্ত্রিক দেশের স্বপ্ন দেখে এসেছি এবং ’৯০-এর এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল তার প্রতিফলন হয়নি। কেবল সংসদীয় সরকার ছাড়া দেশের মানুষ কিছুই পায়নি। তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সংসদে গেলেই বা কি, না গেলেই বা কি? কিন্তু বিএনপি প্রথম থেকেই সংসদে যাচ্ছে। সেই বিরোধীদলকে সরকার সংসদে থাকতে দেয়নি। জনগণের মতামত ছাড়াই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে। মানুষ তো সরকারকে বিশ্বাস করছে না। কোনো কিছুই গুরুত্বের সঙ্গে নেয় না। দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। দুর্নীতির জন্য প্রায়ই আমরা সারাবিশ্বে আলোচিত। প্রত্যেক দিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। অন্যদিকে, উত্পাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কৃষক। অর্থনীতি নিয়ে কথা বলারও সুযোগ নেই। সমস্যাগুলো এত স্পষ্ট যে, সেগুলো নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুর্দশার জন্য নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে। এ সরকারের দ্বারা বিরাজমান পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। তিন বছরে সরকার চলেছে অলীক স্বপ্ন ও মিথ্যা কথার ওপর। কূটনীতিও চলছে বাগাড়ম্বের ওপর। সামগ্রিকভাবে সরকারি কর্মকাণ্ডই দেশকে সঙ্কটে ফেলেছে।<br />অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। মূল্যস্ফীতি ও বাজেট অর্থায়নে সঙ্কট, ব্যাংকে তারল্য সঙ্কট, ব্যাংক থেকে ব্যাপক ঋণ গ্রহণ, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে আমদানি ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে সঙ্কট, বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, গুপ্তহত্যা-গুম-খুন, নির্যাতন, মামলা, সংসদ কার্যকর রাখতে ব্যর্থতা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ, সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল এবং এর ফলে চরম রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি, গণতান্ত্রিক মূল্যাবোধের অবক্ষয়, ভারত সরকারের কাছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থের বিসর্জনসহ প্রায় সবক্ষেত্রেই সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বৈদেশিক সাহায্য না থাকায় পদ্মা সেতু করতে পারবে বলে জনগণ মনে করছে না। তিনি বলেন, খাদ্যশস্য উত্পাদনে সফলতা ছিল। তাও এ বছর ভুল শস্যনীতির কারণে কৃষকরা দাম পাচ্ছেন না। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারের একটি সফলতা আছে। সেটি হলো—অসংখ্য ব্যর্থতার মাঝেও ক্ষমতায় থেকে যে কোনো উপায়ে বিরোধীদলকে ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে সরকার।<br />সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতির এক বিশাল বহর নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। নির্বাচনে জয়লাভের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে প্রশ্নাতীত না হলেও তারা এ বিজয়কে জনগণের রায় হিসেবে দাবি করে। সে বিতর্কে গিয়ে লাভ নেই। জরুরি হলো—তিন বছরের মূল্যায়ন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যতটুকু সাফল্য তা উল্লেখযোগ্য নয়। যেহেতু সরকার ভালো কিছু করতেই ক্ষমতায় আসে। কিন্তু তিন বছরে বিরোধীদল ও মতের দমন, দুষ্টের লালন, গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি, নিজের দুষ্কর্ম ঢাকতে গুম-খুন, দলীয় কর্মীদের দ্বারা শিক্ষকদের নির্যাতন ও টেন্ডারবাজি, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনে দলীয়করণ, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষেত্র বিশেষে বন্ধ, বিনা কারণে আমার দেশ সম্পাদককে ৬ মাস কারাদণ্ড, রাজনৈতিক বিতর্ককে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে রায় নেয়া, জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা না জানিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, আন্তর্জাতিক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া এবং মন্ত্রিসভার দক্ষতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, সে প্রশ্ন গত তিন বছরে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া রাজধানী ও বাইরে যানজট, দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় অত্যাচার মানুষকে বিব্রত এবং ব্যথিত করেছে। দু’টি, তিনটি বা চারটি ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকলেও তা খারাপ কাজের অন্ধকারের কাছে নিষ্প্রভ হয়ে গেছে।<br />মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, তিন বছরে সরকার নানা চ্যালেঞ্জে ছিল। গত দু’বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সমানে আছে, চলছে। অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আর্থিক সঙ্কট চরমে। কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে সফলতা দেখাতে পারেনি। উপরন্তু বেশ কিছু বিষয়ে আমাদের স্বার্থ নষ্ট হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক শীতল হয়েছে। ড. ইউনূস প্রসঙ্গে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে বিশেষ কোনো সাফল্য নেই। জনশক্তি রফতানিতে চরমভাবে ব্যর্থতা দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা রাজনীতিকে অস্থির করেছে। যে কারণে অন্য ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে চাকরি, মানবাধিকার রক্ষা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। মানবাধিকার কমিশন গঠন হলেও ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে যা যা কিছু করা যায় সবই তারা করেছে। খুন-খারাবি গুপ্তহত্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়নি। দুর্নীতি বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের সফলতা আছে। খাদ্যে স্থিতিশীল অবস্থা। জঙ্গিবাদ দমনে মোটামুটি সফলতার দিকে রয়েছে। <br />দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, প্রথম কথা হলো সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি যেটা ছিল ‘পরিবর্তন’। রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন করবে। পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতিতে প্রচুর মানুষ আপ্লুত হয়েছিল। আমরা এক-এগারোর তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে পরিবর্তন জরুরি মনে করেছিলাম। এক-এগারোর কারণে রাষ্ট্র কাঠামো, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এ জায়গাতেই মূলত হতাশা। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। বিদ্যুতের ঘাটতি, ঢাকায় পানি সরবরাহ, ট্রেনের সিস্টেম, যোগাযোগের ঘাটতি, বড় ও ছোট রাস্তার স্বল্পতা, জাতীয় অর্থনীতির লাইফ লাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন করার ঘাটতি এবং পদ্মা সেতু করা দূরে থাক এ সরকারের সময়ে কাজ শুরু হওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা জনগণের জন্য ভালো খবর নয়। তিনি বলেন, ক্ষমতার শুরুতে বিদ্যুত্ উত্পাদনে উদ্যোগ না নিয়ে সময়ক্ষেপণের পর তড়িঘড়ি করে কুইক পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন, আবার তাতে ইনডেমনিটি আইন করা হলো। শুরু থেকে করলে সবকিছু করা সম্ভব ছিল। অনেকেই এটা ভালো চোখে দেখছেন না। অনেকেই বলছেন, এতে দুর্নীতির উত্সাহ ছিল কি না, তাদের এ বলার পেছনে যুক্তি আছে। <br />নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সবচেয়ে বড় বিষয়। গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তনের অনিশ্চয়তা তৈরি করা হয়েছে। এটা করতে জনগণের মতামত তো নেয়া হয়-ই-নি, বরং মহাজোটও এতে একমত হয়নি। আওয়ামী লীগের সবাইও একমত ছিল না, আওয়ামী লীগের একক সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হলো। সবকিছু মিলে সরকারের তিন বছরে যা কিছু পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল তার কিছুই দেখছি না। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ, পিএসসি, পুলিশ, চিকিত্সক, সিভিল অ্যান্ড মিলিটারি প্রশাসনে পরিবর্তনের প্রত্যাশা ছিল। এটা হয়নি। তিন বছরে ব্যর্থতার জায়গাটায় এগুলোই বেশি। <br />সরকারের সফলতা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের মতো মারাত্মক ঘটনার পরও গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল রাখাটা বিশাল সফলতা। তাছাড়া তিস্তার পানি না দিলে ট্রানজিটের আনুষ্ঠানিক চুক্তি না করার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। নতুন করে চুক্তি কিন্তু সরকার এভয়েড করেছে। মানুষের সম্মিলিত চাপে বা তাদের সদিচ্ছায় তারা কিছু পজেটিভ ধারণা সৃষ্টি করেছে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও গণতান্ত্রিক সমাজে আলোচনার উদ্যোগ তারা নিয়েছে। মৌলিক না হলেও কিছু ইতিবাচক উদ্যোগ আছে। যেমন—সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দলকেও পদ দেয়া হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন কার্যকর না হলেও তারা পাশ করেছে। সাংবাদিকদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না করে সমন করতে হবে। এসব অগ্রগতি হিসেবে দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা বললেও নির্বাচিতদের দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার ফাঁক রেখেছেন। অসংখ্য হতাশার মধ্যেও এসবকে আশা হিসেবে দেখা যেতে পারে।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-1181733810274069422011-12-09T22:55:00.000-08:002011-12-09T22:56:52.700-08:00প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে দশ হাজার কোটি টাকা লুটপাট<div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">জাহিদুল ইসলাম</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">গত অর্থবছরে (২০১০-১১) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় সমাপ্ত প্রকল্পগুলোতে প্রাথমিক বরাদ্দের চেয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করা হয়েছে। সময়মত কাজ শেষ না করে দফায় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ ও বরাদ্দ বাড়িয়ে এ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। এ সময়ে শেষ হওয়া ২৩৯টি প্রকল্পের মধ্যে ১৫৭টিরই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ২০১০-১১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।</div><div style="text-align: justify;">পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, পরিকল্পিতভাবে এসব প্রকল্পের কাজ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পরে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি, ভূমি অধিগ্রহণে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে প্রকল্পের জন্য বাড়তি অর্থ নেয়া হয়েছে। আর প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও প্রকল্প অনুমোদনে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে লুটপাটের অর্থ ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পের প্রতিটিতে নির্ধারিত সীমার চেয়ে গড়ে ৮৩ শতাংশ সময় বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিরিক্ত লেগেছে ১৩ থেকে ১৪ বছর। এসব প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে ১২ হতে ১৩ গুণ পর্যন্ত।</div><div style="text-align: justify;">বাছবিচার না করে লাগামহীনভাবে প্রকল্প অনুমোদন দেয়ায় এসব প্রকল্প সময়মত </div><div style="text-align: justify;">বাস্তবায়ন হয়নি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাদের মতে এর ফলে সরকারি প্রকল্প থেকে সেবা পেতে বিলম্ব হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য প্রকল্পও বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থার নিরসনে রাজনৈতিক বিবেচনায় অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প না নেয়ার পরামর্শ দেন তারা।</div><div style="text-align: justify;">প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, সঠিক সময়ে অর্থ ছাড় না হওয়া, বরাদ্দের অতিরিক্ত খরচ, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়া, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) দুর্বলতা, কারিগরি দক্ষতার অভাব, রাজনৈতিক কারণে প্রকল্প হাতে নেয়ার কারণে দেশে সরকারি বিনিয়োগের সুফল আসছে না।</div><div style="text-align: justify;">প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০১০-১১ অর্থবছরে মূল এডিপিতে ৯১৬টি প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল ১ হাজার ১৯৩টি প্রকল্প। এর বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২৬৮টি প্রকল্প সমাপ্ত ঘোষণার জন্য নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে ৩০টি প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় আবার মেয়াদকাল বাড়ানো হয়েছে। তবে এর বাইরে অন্য একটি প্রকল্প সমাপ্ত ঘোষণা করায় গতবছর মোট ২৩৯টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">সমাপ্ত প্রকল্পের মধ্যে বাস্তবায়নকাল বেড়েছে ১৫৭টির এবং ব্যয় বেড়েছে ৭৫টি প্রকল্পের। শুধু প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে এমন প্রকল্পের সংখ্যা ১২। আর ব্যয় না বাড়িয়ে শুধু বাস্তবায়নকাল বেড়েছে ৯৪টি প্রকল্পের, যা মোট সমাপ্ত প্রকল্পের ৩৯ শতাংশ। ব্যয় ও বাস্তবায়নকাল উভয়ই বেড়েছে এমন প্রকল্প ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়েছে মাত্র ২৯ শতাংশ প্রকল্পের।</div><div style="text-align: justify;">তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে শেষ হওয়া ২৩৯ প্রকল্পের মেয়াদকাল ছিল গড়ে ৩ দশমিক ৫২ বছর। কিন্তু প্রকল্পগুলো শেষ হতে সময় লেগেছে গড়ে ৬ দশমিক ৪৪ বছর। এ হিসেবে প্রতিটি প্রকল্পে অতিরিক্ত সময় লেগেছে ২ দশমিক ৯২ বছর যা, মোট বরাদ্দ সময়ের চেয়ে ৮৩ শতাংশ বেশি।</div><div style="text-align: justify;">অন্যদিকে প্রতিটি প্রকল্পের গড় প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ১২৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। কিন্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে লেগেছে গড়ে ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। প্রতিটি প্রকল্পে গড়ে অতিরিক্ত ব্যয় ৪০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ হিসেবে ২৩৯টি প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় দাঁড়ায় ৯ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা।</div><div style="text-align: justify;">সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের পল্লী সড়কে হালকা যানবাহন চলাচলযোগ্য সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পটি সংশোধন করে কয়েক দফায় মেয়াদ ও বরাদ্দ বাড়ানো হয়। ৯ বছর পর প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে গত জুলাইয়ে। তবে এ প্রকল্পটিতে এরই মধ্যে ব্যয় হয়ে গেছে ৩৮৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এ হিসেবে প্রকল্পটিতে ব্যয় বেড়েছে প্রায় ১৩ গুণ।</div><div style="text-align: justify;">একই বিভাগের অধীনে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি ১৯৯৮ সালে শুরু হয়। দুই দফায় সংশোধন করে ১৪ বছর পর এটি শেষ হয় গত জুনে। এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪৮৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। পরে সংশোধন করে বরাদ্দ দেয়া হয় ৭৫৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৫০০ কোটি টাকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পল্লী অঞ্চলে সড়ক, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, ৪০০ কোটি টাকার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে ৪৪৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ৮২৭ কোটি টাকার বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন বৃহত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও সিলেট জেলা প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৯৯৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।</div><div style="text-align: justify;">জানা যায়, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোতে সবচেয়ে বেশি দীর্ঘসূত্রতা অবলম্বন করা হয়েছে। ২০০২ সালে নেয়া ঘোড়াশাল তাপবিদ্যেকন্দ্রের ১ ও ২ নম্বর ইউনিট পুনর্বাসন ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০০৭ সালে। কিন্তু প্রকল্পটির ব্যয় ও সময় বাড়িয়ে সংশোধন করা হয়। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর প্রকল্পটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় গত অর্থবছরে। ফলে ১১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার প্রকল্পে ব্যয় হয় ২৫২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।</div><div style="text-align: justify;">একই মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে আশুগঞ্জ বিদ্যুত্ কেন্দ্র কমপ্লেক্সের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিটের পুনর্বাসন ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের জন্য ২০০০ সালে বরাদ্দ ছিল ৮৪৮ কোটি টাকা। কাজ শেষ না হওয়ায় সংশোধন করে এ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয় ১ হাজার ২৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। একইভাবে ১৯৯৮ সালে শুরু করা সিলেট ৯০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড বিদ্যেকন্দ্র দুই দফায় সংশোধন করে ৫০৫ কোটি ৯২ লাখ টাকার প্রকল্প বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয় ৭১৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা।</div><div style="text-align: justify;">এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি মাথায় না রেখে লাগামহীনভাবে প্রকল্প অনুমোদন দেয়ায় এসব প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলেছিল এসব প্রকল্প। আর এ সময়ে বড় অঙ্কের মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে গেছে। এ অবস্থা নিরসনে রাজনৈতিক বিবেচনায় অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প না নিয়ে চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন তিনি।</div><div style="text-align: justify;">এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব মোজাম্মেল হক খান বৃহস্পতিবার আমার দেশ- কে বলেন, কোনো কারণে সময়মত কাজ শেষ না হলে প্রকল্পের মেয়াদকাল বাড়াতে হয়। নতুন করে প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরির সময় নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য, শ্রমিকদের বেতন, জমি অধিগ্রহণের ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়। এ অবস্থায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়। গত বছরে সমাপ্ত ঘোষিত কোনো প্রকল্পে অসঙ্গতি থাকলে তা দূর করার পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে বলে জানান আইএমইডি সচিব।</div><div style="text-align: justify;">উল্লেখ্য, চরম অর্থ সঙ্কটেও একটার পর একটা উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছে সরকার। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকায় ৬৪টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া বিতর্কিত প্রকল্পগুলোতে। অর্থবছরের শুরুতেই সারা বছরের বরাদ্দের তিনগুণের বেশি প্রকল্প অনুমোদন দেয়ায় অন্যান্য প্রকল্পের অর্থায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে চলতি বছরের উন্নয়ন বাজেটের বাস্তবায়ন আশঙ্কায় পড়েছে। এ অবস্থায় অসময়ে এডিপি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)</div></div></div><div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/12/10/121548">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/12/10/121548</a></div></li></ul></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-33031053592010662862011-11-23T07:58:00.000-08:002011-11-23T07:59:29.861-08:00একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে জনবল নিয়োগে জালিয়াতি : লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে ১৪শ’ কোটি টাকার এ প্রকল্প<div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">এম এ নোমান</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীন ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পে জনবল নিয়োগে বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। দলীয় বিবেচনায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়া, এমনকি কোনো ধরনের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বাছবিচার না করে পাইকারি হারে শত শত লোক নিয়োগের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে। গ্রামের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত ১৪শ’ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি এখন লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ প্রকল্পে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়োগবিধি অনুসরণ করা হয়নি। নিয়োগের জন্য আবেদন করেননি এমন ব্যক্তিকেও প্রকল্পের কর্মকর্তা হিসেবে শুধু দলীয় যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা দেশের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি বলে জানান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নিয়োগ জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধানে এরই মধ্যে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি বাড়িকে অর্থনৈতিক কার্যাবলির কেন্দ্রবিন্দু এবং প্রতিটি গ্রামকে একটি স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলে ২০০১ সালের ২ জানুয়ারি ২৪৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের কার্যক্রম শুরুর আগেই মাঠপর্যায়ে দলীয়করণ, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাপক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ফলে বিগত বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় এসে দুর্নীতির অভিযোগে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এসে বন্ধ হওয়া এ প্রকল্পটি আবার চালু করে। চার বছর মেয়াদের এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে ৬৪ জেলার ৪৮২ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রকল্পের জন্য ৫ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে। একইসঙ্গে এই প্রকল্পের জন্য ৭ হাজার ৩৫৫ জনের জনবল নিয়োগেরও প্রস্তাব করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের আগেই সারা দেশে গণহারে লোক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়া হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">জনবল নিয়োগে জালিয়াতি : প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারা দেশে উপজেলা সমন্বয়কারী, মাঠসংগঠক ও কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী পদসহ অন্য পদগুলোতে কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই লোকবল নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেননি, আবেদন করলেও লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেননি এমন ব্যক্তিরাও শুধু দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পান। জেলা পর্যায় থেকে এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ আসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগে। এসব নিয়োগের সঙ্গে সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকায় নিয়োগ অনুমোদনকারী পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের কর্মকর্তারা নিজ উদ্যোগে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের নিয়োগ প্রক্রিয়া বিষয়ে তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। গত ৩ অক্টোবর এ কমিটি প্রকল্পের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একটি প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠায়। </div><div style="text-align: justify;">তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত : তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্বনির্দেশনা অনুযায়ী একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত উপজেলা সমন্বয়কারী, মাঠসংগঠক ও কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীদের সংরক্ষিত জীবনবৃত্তান্ত, নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষার খাতাপত্র, মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে চূড়ান্ত নিয়োগ তালিকার তুলনা ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব কাজ করতে গিয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্ত কয়েকজনের বিষয়ে খতিয়ে দেখা গেছে যে, তাদের আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট জেলা থেকে ডকেট হয়ে আসেনি। প্রকল্পের প্রধান কার্যালয়ের রেকর্ডেও তাদের তালিকাভুক্তির কোনো তথ্য নেই। কারও কারও আবেদনের সঙ্গে ফর্ম ক্রয়ের রসিদ সংযুক্ত নেই। লিখিত পরীক্ষার হাজিরায় তাদের স্বাক্ষর নেই। নিয়োগপ্রাপ্তদের কয়েকজনের নাম লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকায় নেই। মৌখিক পরীক্ষার হাজিরায়ও তাদের নাম নেই। মৌখিক পরীক্ষার মূল রেজাল্ট শিটে তাদের নাম নেই। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পটি যেহেতু স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন, সেহেতু প্রকল্পের জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে এত বড় জালিয়াতির বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা দ্বারা তদন্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মহোদয়কে অনুরোধ করা হলো। </div><div style="text-align: justify;">স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমার দেশকে বলেন, শুরু থেকেই এ প্রকল্পটি নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রকল্পের পুরো টাকায় সরকারের নিজস্ব ফান্ড থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে এতে দাতা গোষ্ঠী বা সংস্থাগুলোরও কোনো হস্তক্ষেপ বা তদারকি নেই। এ সুযোগেই পুরো প্রকল্পটি ঘিরে দুর্নীতির আখড়া তৈরি হয়েছে।</div></div></div><div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="text-align: justify;margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/11/06/116213">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/11/06/116213</a></div></li></ul></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-25398568279733531292011-11-23T07:01:00.000-08:002011-11-23T07:02:43.992-08:00ডাক্তারদের পদোন্নতিতে নগ্ন দলীয়করণ : শত শত মেধাবী চিকিত্সক পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ<div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">স্টাফ রিপোর্টার</span></h1></div><div>স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডাক্তারদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এবার নগ্ন দলীয়করণ হয়েছে। সোমবার রাত দুইটায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রায় দু’হাজার ডাক্তারের পদোন্নতির তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। পদোন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তাদের একদিনের সময় দিয়ে গতকালের মধ্যেই মন্ত্রণালয়ে যোগদানের কথা বলা হয়। সে মোতাবেক পদোন্নতিপ্রাপ্ত দলীয় ক্যাডার চিকিত্সকরা গতকালই মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। বঞ্চিত চিকিত্সকের কেউ যাতে আদালতে যাওয়ার সুযোগ না পান সেজন্য তড়িঘড়ি যোগদানের কথা বলা হয়।<br />এ পদোন্নতি নিয়ে চিকিত্সকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে পিএসসি’র মাধ্যমে সরকারি ডাক্তারদের পদোন্নতি হতো। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগ সমর্থক ডাক্তারদের সংগঠন স্বাচিপের সভাপতি মন্ত্রী হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, পিএসসি নয়, ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটির (ডিপিসি) মাধ্যমে পদোন্নতি হবে। সে অনুযায়ী এ পদোন্নতি হয়েছে। চিকিত্সকদের মধ্যে যারা শিক্ষকতার জন্য উপযুক্ত তাদের আলাদা পরীক্ষা নেয়া হতো। এছাড়া পাবলিকেশন, জ্যেষ্ঠতা, অভিজ্ঞতা দেখে পদোন্নতি দেয়া হতো। এবার এগুলো লঙ্ঘন করে শুধু দলীয় এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। ফলে শত শত মেধাবী চিকিত্সক পদোন্নতি থেকে বাদ পড়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় পদোন্নতির এ নগ্ন দলীয়করণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ড্যাব। ড্যাব বলেছে, ডিপিসি’র মাধ্যমে যে প্রহসনের পদোন্নতি হয়েছে তা বাতিল করতে হবে।<br />স্বাস্থ্য বিভাগকে দলীয়করণের উদ্দেশে স্বাচিপ নেতা বা সমর্থকদের প্রাধান্য রয়েছে পদোন্নতির তালিকায়। দেড় বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্বাচিপ নেতারা পদোন্নতি পেলেও ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিত্সক পদোন্নতি পাননি। নিয়মবহির্ভূত এ পদোন্নতিতে দেশজুড়ে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মশৃঙ্খলায় অবনতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছ থেকে ক্ষমতা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিলেকশন কমিটির এ পদোন্নতি সংক্রান্ত আদেশের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথাও উল্লেখ করেন কেউ কেউ। একই সঙ্গে পদোন্নতি সংক্রান্ত আদেশে চাকরি ছেড়ে দেয়া বরিশালের এক গাইনি চিকিত্সকের নাম থাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।<br />ওয়েবসাইটে প্রদত্ত স্বাস্থ্য বিভাগের এ আদেশ এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সোমবার দেশজুড়ে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রায় দু’হাজার পদোন্নতিপ্রাপ্ত চিকিত্সকের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ৫ জন রয়েছেন। এর মধ্যে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. যোগেশ চন্দ্র রায়কে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক পদে, ভোলার চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আতোয়ার রহমান এবং বরগুনার চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন এএইচএম জহিরুল ইসলামকে একই পদে নিয়মিত করা হয়েছে। ভান্ডারিয়া থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল করিম শেখকে ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদফতরে সহকারী পরিচালক (অর্থ) এবং বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগে সহকারী পরিচালক চলতি দায়িত্বে থাকা ডা. খান মোস্তাক আল মেহেদীকে সহকারী পরিচালক পদে নিয়মিত করে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এ আদেশে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৫ চিকিত্সকই স্বাচিপ নেতা ও সমর্থক। অভিযোগ উঠেছে, বিভাগজুড়ে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হতে অনেক যোগ্য এবং সিনিয়র চিকিত্সককে বঞ্চিত করা হয়েছে।<br />স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অপর এক আদেশে দেশজুড়ে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ৪৮৩ জন শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের ১৫ জন চিকিত্সক রয়েছেন, যার ১১ জনই স্বাচিপ নেতা ও সমর্থক। বরিশালে গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (চলতি দায়িত্ব) চিকিত্সক ডা. সেলিনা পারভিনকে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি ১৪ জনকে সহকারী অধ্যাপক চলতি দায়িত্ব থেকে পূর্ণাঙ্গ সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।<br />সহকারী অধ্যাপক চলতি দায়িত্ব থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত চিকিত্সকরা হলেন কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির, ডা. রনজিত্ খান, মেডিসিন বিভাগের ডা. ভাস্কর সাহা, ডা. আনোয়ার হোসেন, ফার্মাকোলজির ডা. অধীর কুমার সাহা, অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের ডা. কামরুজ্জামান খান, ফরেনসিক বিভাগের ডা. আখতারুজ্জামান তালুকদার, গ্যাস্ট্রোলজির ডা. স্বপন কুমার সরকার, শিশু বিভাগের অসীম কুমার সাহা, এনাটমির ডা. গোলাম রহমান, প্যাথলজির ডা. ফায়জুল বাসার, নিউনেটোলজির ডা. তাহাসুনুল আমিন, হেপাটোলজির ডা. মো. জমসেদ আলম এবং মাইক্রো বায়লোজি বিভাগের ডা. শহিদুল ইসলাম।<br />এ আদেশে সহকারী অধ্যাপকের চলতি দায়িত্ব থেকে পূর্ণ সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন নগরীর প্রতিষ্ঠিত গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. জি কে চক্রবর্তী। অথচ অনেক আগেই তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এ অবস্থায় তার পদোন্নতি নিয়ে হাস্যরসসহ নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে নগরজুড়ে। আর আদেশের তালিকায় তার নাম থাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিলেকশন কমিটির দায়িত্ব পালনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।<br />এদিকে পদোন্নতির তালিকা প্রকাশের পর পর সারাদেশে চিকিত্সক অঙ্গনে শুরু হয়েছে ক্ষোভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিত্সক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ পদোন্নতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট অনিয়ম করা হয়েছে। অনেক যোগ্য ও সিনিয়র চিকিত্সককে বঞ্চিত করে অযোগ্য ও জুনিয়র চিকিত্সককে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে স্বাচিপ নেতাদের লম্বা তালিকা দলীয়করণের প্রমাণ দেয়। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবি করা সরকারের অধীনে পদোন্নতির তালিকায় মুক্তিযুদ্ধের কোটাও রাখা হয়নি বলে দাবি করেন অনেকেই। উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, পদোন্নতির তালিকায় শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে দেড় বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৬ চিকিত্সক পদোন্নতি পেয়েছেন। অথচ ৫ বছর, ৮ বছর, ৯ বছর, ১০ বছর, ১২ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৪-১৫ বছর পর্যন্ত শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকার পরও পদোন্নতি হয়নি প্রায় ৩০ শিক্ষকের। অভিযোগকারীদের মতে, যোগ্যতা এবং সিনিয়র-জুনিয়রের বিষয়টি না মেনে নিয়মবহির্ভূত এ পদোন্নতির ফলে স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়মশৃঙ্খলায় অস্থিরতা দেখা দেবে। পদোন্নতির এ আদেশের বিরুদ্ধে অনেকেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তা করছেন বলেও জানান। শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের এক সাবেক অধ্যক্ষ পদোন্নতির ক্ষেত্রে একই অভিযোগ করে বলেন, এর আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে পরীক্ষার মাধ্যমে এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে পদোন্নতি দেয়া হতো। কিন্তু এ সরকারের আমলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে এ পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে এ কমিটি প্রণীত নীতিমালাও মানা হয়নি।<br />পদোন্নতিতে নগ্ন দলীয়করণে ড্যাবের তীব্র প্রতিবাদ : ডিপিসির মাধ্যমে পদোন্নতির প্রকাশিত ফলাফলে ড্যাব কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হক ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এক যুক্ত বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও নগ্ন দলীয়করণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।<br />বিবৃতিতে তারা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে স্বাচিপের সভাপতি মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে স্বাস্থ্য খাতে দলীয়করণের মহোত্সব শুরু হয়। স্বাচিপ প্রভাবিত প্রশাসন শুধু বিরোধীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, বদলি এবং নানাভাবে হয়রানি করেই ক্ষান্ত হয়নি; সর্বশেষ ডিপিসি’র মাধ্যমে শুধু দলীয় আনুগত্যকেই বিবেচনায় নিয়ে যে পদোন্নতির ফল প্রকাশিত হয়েছে তাতে ভবিষ্যতে মেডিকেল শিক্ষা ও চিকিত্সা ব্যবস্থায় ধ্বংসের আলামত দেখা যাচ্ছে। এই ডিপিসি’তে শুধু জ্যেষ্ঠতাই লঙ্ঘন করা হয়নি, পদোন্নতির জন্য যে যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, প্রকাশনার প্রয়োজন তা বিবেচনায় আনা হয়নি। যেভাবে যোগ্য, অভিজ্ঞ ও দলনিরপেক্ষ শিক্ষকদের বঞ্চিত করে অযোগ্য-অনভিজ্ঞদের এ ডিপিসি’র মাধ্যমে দলীয় আনুগত্যের পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হলো তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই।<br />ড্যাব নেতারা এই অবৈধ ডিপিসি’র মাধ্যমে পদোন্নতির নামে যে প্রহসনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিল এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি মেডিকেল শিক্ষা ও চিকিত্সা ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে দলনিরপেক্ষ প্রশাসনের মাধ্যমে জ্যেষ্ঠতা, মেধা ও যোগ্যতার নিরিখে পদোন্নতির ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানাচ্ছি।</div></div><div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/11/02/115462">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/11/02/115462</a></div></li></ul></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-67323811749589001832011-10-31T09:07:00.001-07:002011-10-31T09:08:18.586-07:00শেয়ারবাজারে পতন অব্যাহত অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgEt4XNaVk0nyuTGh2ZRA4-Uf0kst2VCmLwBD8B1pkhhI7T_THDmI3s4DcmpT6Ajf85qb86XOExwS4t7Rjuj_jg1G3xg6BUKfPdgTqLcGCktDNqjZUlFM3av6OYlhiT2EmtZy2B9RpNd8Mi/s1600/P1_sharebajare-poton-obbaho.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 231px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgEt4XNaVk0nyuTGh2ZRA4-Uf0kst2VCmLwBD8B1pkhhI7T_THDmI3s4DcmpT6Ajf85qb86XOExwS4t7Rjuj_jg1G3xg6BUKfPdgTqLcGCktDNqjZUlFM3av6OYlhiT2EmtZy2B9RpNd8Mi/s400/P1_sharebajare-poton-obbaho.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5669688764847609298" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); ">অর্থনৈতিক রিপোর্টার</div><div>কোনো উদ্যোগেই যখন পতন ঠেকানো যাচ্ছে না, তখন অর্থমন্ত্রীর ‘শেয়ারবাজার কীভাবে ঠিক হবে জানি না’—এমন মন্তব্যে আগুনে ঘি ঢালার মতো পরিস্থিতি এখন শেয়ারবাজারে। অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্যের জের ধরে গতকাল লেনদেনের শুরুতেই বাজারে বড় ধরনের ধস নামে। প্রথম এক ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচকের পতন ঘটে প্রায় ১৯০ পয়েন্টের মতো। এ সময় ডিএসই সাধারণ সূচক ৫ হাজার ১১৮ পয়েন্টে নেমে আসে। মাত্র ৩টি ছাড়া সব কোম্পানির শেয়ারের দর কমে যায়। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা দরপতনের জন্য অর্থমন্ত্রীকে দায়ী করে অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন।<br />বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকশ’ বিনিয়োগকারী ডিএসই চত্বরে বিক্ষোভ সামবেশ করে। এরপর সোয়া দুইটার দিকে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এক হাজারের বেশি বিনিয়োগকারী অংশ নেন। এর পর সূচক ‘রহস্যজনক’ভাবে বাড়তে শুরু করে। কিন্তু তা কিছু সময়ের জন্য। এরপর সূচকের পতন ঠেকানো যায়নি। আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট কমে দিনশেষে ডিএসই সাধারণ সূচক ৫ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে এসে দাঁড়ায়। মঙ্গলবার ‘শেয়ারবাবাজার কীভাবে ঠিক হবে জানি না’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার পর পদে থাকার সব যোগ্যতা অর্থমন্ত্রী হারিয়ে ফেলেছেন বলে বিনিয়োগকারীরা মন্তব্য করেছেন। তারা বলেন, যে দেশের অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো কিছু করতে পারেন না, তাকে আর ওই পদে রাখার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনকে ‘রাজনীতিকীকরণ’ করা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তারও তীব্র সমালোচনা করেন ভুক্তভোগীরা। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তারা বলেন, আমরা পুঁজি হারিয়ে গত ১০ মাস আন্দোলন করছি। বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানিয়ে আসছি।<br />বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি সেলিম চৌধুরী বলেন, অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজার নিয়ে বক্তব্যে তার অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার পর তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল। বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনকে রাজনীতিকীকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কাউকে ডেকে আনিনি। তারা নিজেরাই এসেছিলেন। যে কেউ আমাদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করলে আমরা তাদের স্বাগত জানাতেই পারি। অর্থমন্ত্রী নিজেও যদি আসতেন আমরা স্বাগত জানাতাম।<br />প্রসঙ্গত, গত রোববার থেকে বিনিয়োগকারীরা ডিএসই চত্বরে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করে। কর্মসূচির প্রথম দিনেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, জেএসডির চেয়ারম্যান আ স ম আবদুর রবসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা সংহতি প্রকাশ করেন। এ কারণে এরপর থেকে বিনিয়োগকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের হয়রানিতে কোথাও বসতে না পেরে মঙ্গলবার কর্মসূচি স্থগিত করে বিনিয়োগকারীরা।<br />ইবিএল সিকিউরিটিজ হাউসে লেনদেনকারী ইকবাল খান রিপন নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, আমাদের এখানে কোনো রাজনীতি নেই। আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলন করছি। গত ৯ থেকে ১০ মাস পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা আন্দোলন করে আসছে। তখন কোনো রাজনৈতিক নেতা আসেননি। কিন্তু এ সময় আপনি (অর্থমন্ত্রী) শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতার জন্য কী করেছেন। এখন বলছেন, শেয়ারবাজার কীভাবে ঠিক হবে জানি না। শেয়ারবাজার থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুট হয়ে যাওয়ার পর এ বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, কারসাজির সঙ্গে অর্থমন্ত্রী জড়িত।<br />আরপি সিকিউরিটিজ হাউসে লেনদেন করে থাকেন আসলাম ওয়াহিদ নামের এক বিনিয়োগকারী বলেন, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যারা সংহতি প্রকাশ করেছিলেন তারা তো ব্যবসায়ী নয়, রাজনৈতিক নেতা। আর রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিনিয়োগকারীদের পাশে দাঁড়ানো তো দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এর মধ্যে আন্দোলনকে রাজনীতিকীকরণ মন্তব্যের অর্থই হচ্ছে, তিনি রাজনৈতিক কালচার সম্পর্কে জানেন না।<br />ফারইস্ট সিকিউরিটিজে লেনদেনকারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, শেয়ারবাজারের জন্য আগামীতে ৩ কোটি ভোটার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যাবে। আমরা আওয়ামী লীগ করতাম। কিন্তু এখন আমরা আর এ দলকে সমর্থন জানাতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হলে বিনিয়োগকারীরা মহাসমাবেশের ডাক দিতে বাধ্য হবেন। তিনি আরও বলেন, আমরা রাজনীতি করতে আসিনি, নেতা হতে আসিনি। বিভিন্ন উত্স থেকে আমরা অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছি। মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। এখন আমাদের ইক্যুয়িটি নেগেটিভ হয়ে গেছে। মার্কেট ঠিক হলে আমরা আন্দোলন করব না, আমরা চলে যাব।<br />ডিএসইতে আগুন আতঙ্ক : দুপুর ১২টার দিকে ডিএসইর এনেক্স ভবনের ৭ তলায় আনোয়ার সিকিউরিটিজ হাউসের সামনে ঝোলানো ইন্টারনেটের তারে আগুন দেখতে পায় বিনিয়োগকারীরা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন হাউস থেকে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। অবশ্য আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগে চন্দন নামে ডিএসইর একজন কর্মী অগ্নিনির্বাপণ গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এর ফলে কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি। ওই জায়গায় একটি দিয়াশলাইয়ের বাক্স পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।<br />বিক্ষোভ ও মানববন্ধন : শেয়াবাজারে সূচকের বড় ধরনের পতনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এতে হাজারখানেক বিনিয়োগকারী অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীদের সব ক্ষোভের লক্ষ্যবস্তুতে ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিনিয়োগকারীরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ বা অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরেরও পদত্যাগ দাবি করেন তারা। বেলা সোয়া দুইটার দিকে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ইত্তেফাক মোড় থেকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর পর্যন্ত এ মানববন্ধন বিস্তৃত হয়। কর্মসূচি চলাকালে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ ছিল।<br />পুঁজি হারিয়ে অসুস্থ এক বিনিয়োগকারী : শেয়ারবাজারে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলেও এখন তা মাত্র ৫৩ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। অর্থাত্ পুঁজিবাজারে লাভের আশায় বিনিয়োগ করলেও তার বিনিয়োগের ৭৭ লাখ টাকাই হাওয়া হয়ে গেছে। লোকশানের এ ধকল সইতে না পেরে গতকাল আনোয়ার হোসেন নামে এ বিনিয়োগকারী কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি শেষ হয়ে গেছি। আমাকে গুলি করুন। এক সময় তিনি অসুস্থ হয়ে যান। জানা গেছে, শেয়ারবাজারে পুঁজি হারানোর কারণে তিনমাস ধরে বাসায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। স্ত্রী-সন্তানদেরও খবর নিতে পারছেন না। বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে টাকা ধার করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি।<br />বাজার পরিস্থিতি : গতকাল দিনের শুরুতে সূচকের বড় ধরনের দরপতন হলেও দিনশেষে ৪৮ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসই সাধারণ সূচক ৫ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৫টি কোম্পানির মধ্যে ১০০টির দর বাড়লেও কমেছে ১৪২টির। অপরিবর্তিত ছিল ১৩টির দর। দিন শেষে সূচকের পতন হলেও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। আগের দিনের তুলনায় ৬৭ কোটি ২০ লাখ টাকা বেড়ে দিন শেষে ২৭৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।<br />মার্জিন ঋণের শর্ত শিথিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ : পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের পথ সুগম করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মার্জিন ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল করার ইঙ্গিত দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কোনো ব্যাংক মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ করলে তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো আপত্তি নেই। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।<br />বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিলের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক আবেদন করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিবাচকভাবে তা বিবেচনা করবে। তাছাড়া ব্যাংক বা তাদের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলো মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ করলেও এতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।<br />বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকগুলো বা তাদের সহযোগী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (সাবসিডিয়ারি) যে মার্জিন ঋণ দেয়, এর সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো বিধিনিষেধ নেই। ব্যাংকগুলো নিজস্ব বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদ মওকুফ করতে পারে। পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগকৃত অতিরিক্ত অর্থ নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনার সময়সীমা ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইনে বর্ণিত নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে।<br />অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংকাররা বৈঠক করে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানা গেছে।<br />নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্যাংক তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। তবে গত বছর ব্যাংকগুলো নিয়ম ভেঙে দুই/তিন গুণ বেশি বিনিয়োগ করে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর গড় বিনিয়োগ তাদের দায়ের ৪ শতাংশের মতো।</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/10/20/112965">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/10/20/112965</a></div></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-61753857845513318352011-10-02T15:50:00.000-07:002011-10-02T15:54:12.168-07:00এমপি অধ্যক্ষ মতিউরের সপরিবারে দখলবাজিযাঁরা ভোট দিয়ে অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে সংসদে পাঠিয়েছেন অভিযোগ তুলছেন তাঁরাও। এলাকাবাসী বলছে, এমপি ও তাঁর পরিবারের দুই সদস্যের অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার রহস্য হচ্ছে অনিয়ম-দু<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgApi-IWN3ZbKIWEGtoPK7aWGi01zz6Ierz_dZR70nVliE6LjuHfq-m5APJ2DYadpTyo0yP2Xha2bTlGFdTyPzoBu5NQ99j2w1ylr1o971qVJpHRy-hPjKXP3_O4LFLk7QNkTAqQAWk-UYF/s1600/image_660_192762.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 210px; height: 230px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgApi-IWN3ZbKIWEGtoPK7aWGi01zz6Ierz_dZR70nVliE6LjuHfq-m5APJ2DYadpTyo0yP2Xha2bTlGFdTyPzoBu5NQ99j2w1ylr1o971qVJpHRy-hPjKXP3_O4LFLk7QNkTAqQAWk-UYF/s400/image_660_192762.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5659031474379550162" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi; font-size: 14px; "><span style="display: block; text-align: left; font-size: 26px; color: rgb(205, 0, 0); "><br /></span><span style="display: block; text-align: left; font-size: 16px; color: rgb(102, 123, 123); "><div style="text-align: justify;"><br /></div></span><span style="text-align: justify;display: block; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><br /></span><span style="text-align: justify;display: block; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><br /></span><span style="text-align: justify;display: block; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><br /></span><span style="text-align: justify;display: block; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><br /></span><span style="text-align: justify;display: block; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><br /></span><span style="text-align: justify;display: block; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><br /></span><span style="text-align: justify;display: block; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><br /></span><span style="text-align: justify;display: block; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><br /></span><span style="text-align: justify;display: block; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><br /></span><span style="text-align: justify;display: block; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><br /></span><span style="text-align: justify;display: block; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><br /></span><span style="text-align: justify;display: block; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><img src="http://www.kalerkantho.com/images/box.jpg" border="0" /> শফিকুল ইসলাম জুয়েল, ময়মনসিংহ থেকে ফিরে</span><span style="display: block; text-align: justify; font-size: 14px; color: rgb(26, 26, 26); "><div class="all_ss" style="text-align: justify;border-top-left-radius: 5px 5px; border-top-right-radius: 5px 5px; border-bottom-right-radius: 5px 5px; border-bottom-left-radius: 5px 5px; width: 305px; border-top-width: 1px; border-right-width: 1px; border-bottom-width: 1px; border-left-width: 1px; border-top-style: solid; border-right-style: solid; border-bottom-style: solid; border-left-style: solid; border-top-color: rgb(255, 255, 255); border-right-color: rgb(255, 255, 255); border-bottom-color: rgb(255, 255, 255); border-left-color: rgb(255, 255, 255); float: right; margin-left: 5px; padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 5px; padding-left: 5px; "><ins style="display: inline-table; border-top-style: none; border-right-style: none; border-bottom-style: none; border-left-style: none; border-width: initial; border-color: initial; height: 250px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; position: relative; visibility: visible; width: 300px; "><ins id="aswift_0_anchor" style="display: block; border-top-style: none; border-right-style: none; border-bottom-style: none; border-left-style: none; border-width: initial; border-color: initial; height: 250px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; position: relative; visibility: visible; width: 300px; "><iframe allowtransparency="true" frameborder="0" height="250" hspace="0" marginwidth="0" marginheight="0" scrolling="no" vspace="0" width="300" id="aswift_0" name="aswift_0" style="left: 0px; position: absolute; top: 0px; "></iframe></ins></ins></div><div style="text-align: justify;">নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছিলেন, তাঁর একটি গরুর খামার আছে। এটিই তাঁর আয়ের একমাত্র উৎস, পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। ওই সাক্ষাৎকারে নিজেকে সৎ দাবি করে মতিউর রহমান বলেন, তিনি রিকশা-ভ্যানে চলাফেরায় অভ্যস্ত_এমপি নির্বাচিত হতে পারলে জনগণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবেন। আর আওয়ামী লীগের এমপি হওয়ার পর আড়াই বছরে তিনি এখন বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক। এক কোটি ২২ লাখ টাকায় কিনেছেন একটি প্রাডো, ৩০ লাখ টাকায় একটি ভঙ্ িওয়াগন গাড়ি। বাড়ির প্রতিটি ঘরে লাগিয়েছেন এসি। ঘরে তুলেছেন এলসিডি টিভিসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক আসবাবপত্র।</div><div style="text-align: justify;">তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে মতিউর রহমানের ভাই ও আফাজ উদ্দিনের সম্পদের বিবরণ জানতে চাওয়া হয়। আফাজ তাঁর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান খোকনের মাধ্যমে দেওয়া হিসাবে বলেন, তাঁর দোচালা টিনের ছোট একটি বাড়ি, ১২টি মুরগি, আটটি হাঁস, ছয়টি ছাগল আছে। নগদ অর্থ নেই। ভাই এমপি হওয়ার পর আফাজ নামে-বেনামে কিনছেন লাখ লাখ টাকার জমি। ঢাকার উত্তরায় প্রায় ৮০ লাখ টাকায় কিনেছেন অত্যাধুনিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। তিনি প্রাইভেট গাড়ি ব্যবহার না করলেও প্রায় সময় অন্তত ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেলে মহড়া দিয়ে চলাচল করেন।</div><div style="text-align: justify;">একইভাবে এমপির ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁর ছেলে মুহিতউর রহমান শান্ত এবং পিএস সাঈদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যাঁরা ভোট দিয়ে মতিউর রহমানকে সংসদে পাঠিয়েছেন, অভিযোগ তুলছেন তাঁরাও। এলাকাবাসী বলছেন এমপি ও তাঁর পরিবারের দুই সদস্যের এই অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার রহস্য হচ্ছে অনিয়ম-দুর্নীতি, দখল-চাঁদাবাজি এবং টেস্ট রিলিফ (টিআর), কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির অর্থ লুট।</div><div style="text-align: justify;">কাজ না করেই অর্থ পকেটে : গত সপ্তাহে টানা চার দিন ময়মনসিংহ সদর এলাকায় অনুসন্ধান করে ক্ষমতাসীন দলের এমপির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ পাওয়া যায়। এলাকাবাসী বলছে, এমপি, তাঁর ছেলে শান্ত ও ভাই আকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিন ক্ষমতার ত্রিমুখী অপব্যবহার করছেন। তাঁদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। রাস্তা ও ভবন নির্মাণের অধিকাংশ কাজই বাজার দরের দ্বিগুণেরও বেশি মূল্যে হাতিয়েছেন এবং কাজ না করেই অর্থ তুলে আত্মসাৎ করেছেন এমপির ভাই আফাজ উদ্দিন।</div><div style="text-align: justify;">'দাপুনিয়া-বাড়েরারপাড় কাঁচা-পাকা রাস্তাটিতে গত আড়াই বছরে এক কোদাল মাটিও পড়েনি। মেরামত হয়নি ভেঙে পড়া ব্রিজগুলো। ফলে রাস্তায় এখন উঁচু-নিচু গর্ত, কোথাও কোথাও হাঁটুপানি আর পিচ্ছিল কাদার ছড়াছড়ি। ফলে গাড়ি দূরের কথা, রিকশা-ভ্যানে চলাচল করা দায়। রাস্তাটির কারণে বাড়েরারপাড় গ্রামের প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ হাসপাতাল, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সদরে যেতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়।' কালের কণ্ঠকে বলছিলেন দাপুনিয়া-বাড়েরারপাড় গ্রামের বাসিন্দা ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাবেক ডেপুটি প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কবীর আহমেদ।</div><div style="text-align: justify;">পরে খোঁজ নিয়ে ও এলজিইডির মূল্যায়ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দাপুনিয়ার এ রাস্তাটি সংস্কারের লক্ষ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছরে এলজিইডি ২৮ লাখ ৭৮ হাজার ১৫ টাকা বরাদ্দ দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমইঅ্যান্ডএমইকে। নির্দেশনা ছিল, ২০০৯ সালে ৯ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ২০১০ সালে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাত্র ১৫ শতাংশ কাজ করেই পুরো বিল তুলে নিয়েছে। জানা যায়, ঠিকাদারি ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন। তবে মতিনের ওই প্রতিষ্ঠানের নামে কাজটি নিয়েছিলেন এমপির ভাই আফাজ উদ্দিন।</div><div style="text-align: justify;">ময়মনসিংহের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও পরপর তিন বছর জেলার সর্বোচ্চ করদাতার পুরস্কার পাওয়া ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, 'সরকার ক্ষমতা নেওয়ার প্রথম দিকে কিছু দরপত্রে অংশ নিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়া সত্ত্বেও কাজ পায়নি আমার প্রতিষ্ঠান। প্রতিবাদ করায় এমপির ভাই ও ছেলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। বিচারের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মামলা করতে পারিনি, এমনকি জিডিও নেয়নি পুলিশ। সর্বশেষ নিরুপায় হয়ে ময়মনসিংহের কাজে অংশ নেওয়া ছেড়ে এখন কিশোরগঞ্জ-জামালপুরে প্রতিযোগিতায় সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ করছি।'</div><div style="text-align: justify;">গত ২৩ আগস্টের এলজিইডির কাজের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস প্রাইম ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এইড আজামতপুর পূর্বপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের কাজ পায়। কাজটি ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও মাত্র ২৫ শতাংশ কাজ করেই ১৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বারিরা উজানপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের কাজ সমপরিমাণ অর্থে ও একই সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা ছিল, কাজ না করেই পুরো টাকা তোলা হয়। একই প্রতিষ্ঠান আকুয়া ফিরোজ লাইব্রেরি মোড় থেকে মাসকান্দা পাড়াইল রাস্তা উন্নয়নের জন্য ১৮ লাখ ১৯ হাজার ৮৩৮ টাকা তুলে নিলেও কাজ করেছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। এ কাজটি ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর শুরু করে গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর শেষ করার নির্দেশনা ছিল। প্রতিষ্ঠানটি আকুয়া নাজির ব্যাপারীর রাস্তার কাজ পেলেও মাত্র ৩৫ শতাংশ শেষ করেই ৩১ লাখ ৯২ হাজার ২৩৩ টাকা তুলে নিয়েছে। এ কাজটি ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর শুরু করে গত বছরের ৮ আগস্ট শেষ করার নির্দেশনা ছিল। এসব কাজ এমপির ভাগ্নে বুলবুলের প্রতিষ্ঠানের নামে হলেও তা নিয়ন্ত্রণ করেছেন এমপির ভাই আফাজ উদ্দিন। </div><div style="text-align: justify;">পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিনের মালিকানাধীন এমইঅ্যান্ডএমই প্রতিষ্ঠান সদর উপজেলাধীন দাপুনিয়া বাড়েরারপাড় রাস্তা উন্নয়নের জন্য ২৮ লাখ ৭৮ হাজার ১৫ টাকা তুলে নিলেও কাজ করেছে মাত্র ১৫ শতাংশ। এ কাজটি ২০০৯ সালের ৯ ডিসেম্বর শুরু করে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর শেষ করার নির্দেশনা ছিল। একই প্রতিষ্ঠান চোরখাই ভাবখালী পুরাতন বাজার হয়ে ভাবখালী ইউপি সড়ক মেরামতের কাজ নিয়ে মাত্র ৬০ শতাংশ শেষ করেই পুরো বিলের ৩৬ লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিও নিয়ন্ত্রণ করেন আফাজ উদ্দিন।</div><div style="text-align: justify;">আফাজ উদ্দিনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সব্যসাচী এন্টারপ্রাইজ এলজিইডির আওতাধীন আইআরআইডিপি প্রজেক্টে ফুলবাড়িয়া রোড থেকে খলপা (আর্মি বাইপাস) পর্যন্ত কার্পেটিংয়ের জন্য কাজ পেয়ে মাত্র ৪০ শতাংশ শেষ করেই ৩৫ লাখ ১৭ হাজার ২১৭ টাকা তুলে নিয়েছে। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর দেওয়া কাজটি চলতি বছরের ২০ জুলাই শেষ করার নির্দেশনা ছিল। একই প্রতিষ্ঠান একই সময়ে কাজ শেষ করার নির্দেশনা নিয়ে মোড়লপাড়া থেকে চারপাড়া সড়ক সংস্কারের কাজ পায়। কিন্তু মাত্র ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ করেই পুরো বিলের ২৪ লাখ ২৫৭ টাকা তুলে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এলজিইডির মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এসব প্রকল্পের কাজ বাকি না থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">সরকারি জমি দখল : ১ দশমিক ১৫ একর খাসজমির দখল নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমী (স্কুল অ্যান্ড কলেজ) এই নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এমপি নিজের নামেই প্রতিষ্ঠানটি করেছেন। পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধিত) আইন, ২০১০ লঙ্ঘন করে জলাশয় ভরাটের পর ভবন নির্মাণ করা হয়। এরই মধ্যে জমি বরাদ্দ নেওয়ার প্রায় সাড়ে তিন মাস পার হলেও মূল্য বাবদ ১২ কোটি ৫২ লাখ ৬৬ হাজার চার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেননি এমপি। অথচ এরই মধ্যে চালু করা হয়েছে স্কুল-কলেজ। ২০০৬ সালে এই জমি শহীদ জিয়াউর রহমান টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের নামে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তৌফিকুল আজিম ১৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় বরাদ্দ নেন। সেই জমি এখন বর্তমান এমপি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশসহ বিশেষ তদবিরের মাধ্যমে নিজের নামের প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ নেন।</div><div style="text-align: justify;">আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ অধ্যক্ষের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের ১৫ শতাংশ জমির ওপর স্থাপিত বাড়িটিতে ১৯৬৯ সাল থেকেই বসবাস করে আসছেন কলেজটির প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। অথচ ২০০২ সালের ৩০ জুন তিনি কলেজ থেকে অবসর নেন এবং শহরে এমপির নিজস্ব বাড়িও আছে। এদিকে কলেজ ক্যাম্পাসের বাড়ি বরাদ্দ না পেয়ে বর্তমান অধ্যক্ষ এ কে এম আজহারুল ইসলাম এখন থাকেন অন্য স্থানে।</div><div style="text-align: justify;">এমপি মতিউর রহমান ও স্ত্রী নুরুন্নাহার শেফালীর নামে আকুয়া মৌজায় ৬৫ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি অবৈধ দখলদারের কাছ থেকে পানির দরে কিনে টিনের বাউন্ডারি দেওয়া হয়েছে। এখন খারিজের চেষ্টা চলছে। কিন্তু অর্পিত সম্পত্তি ব্যক্তি নামে খারিজ করতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তা। ফলে বিষয়টি ঝুলে আছে।</div><div style="text-align: justify;">দাপুনিয়া জেলা পরিষদের মালিকানাধীন প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের তিন একর খাসজমি (দাপুনিয়া বাজারসংলগ্ন ফুলবাড়িয়া সড়কঘেঁষা) দখল করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে দখলে রেখেছেন এমপির ছোট ভাই আফাজ উদ্দিন।</div><div style="text-align: justify;">এমপিপুত্র শান্ত নির্বাচনের আগে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এখন চলেন রাজকীয় ভঙ্গিতে। জানা যায়, ডেঙ্গু ব্যাপারী রোডের প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ৭ শতাংশ অর্পিত সম্পতি দখলে নিয়ে নিজের নামে দলিল করে নিয়েছেন এমপিপুত্র শান্ত। রামকৃষ্ণ মিশন রোডে জাতীয় পার্টির নেতা এম এ হান্নানের মালিকানাধীন প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ৮ শতাংশ জমি বিজ্ঞান কলেজের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দখল করে নিয়েছেন শান্ত। </div><div style="text-align: justify;">ময়মনসিংহ পৌরসভার কয়লাওয়ালাপাড়ার মোড়ে বাদল ভৌমিকের মালিকানাধীন প্রায় ছয় কোটি টাকা মূল্যের ২০ শতাংশ জমি দখলে নিয়েছেন এমপিপুত্র। ময়মনসিংহ সদরের ছোট বাজারের ৬৩ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তিও দখল করেছেন শান্ত। ব্যক্তিমালিকানাধীন হিসেবে শান্তর নামে রেজিস্ট্রি করা এ জমির দলিলে দুই কোটি টাকার সম্পত্তির দাম ধরা হয়েছে মাত্র ১৫ লাখ টাকা। এটি জেলা প্রশাসন এক বছর ধরে তদন্ত করে যাচ্ছে। গত বছরে বাসাবাড়ি এলাকায় হকার্স মার্কেটের ১৫ শতাংশ জমি দখল করে ১২টি ঘর নির্মাণের পর দোকান হিসেবে প্রতিটি পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকায় বিক্রি করেন এমপিপুত্র শান্ত। পরে জেলা প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ স্থাপনা হিসেবে সেসব দোকান ভেঙে দেওয়া হয়; যদিও দোকানের মালিকদের কেউই এখনো টাকা ফেরত পাননি, যাঁদের অনেকেই এখন নিঃস্ব। </div><div style="text-align: justify;">অভিযোগ উঠেছে, শান্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেও জমির দখল নিয়েছেন। এমপির আকুয়া এলাকার বাড়ি যাওয়ার পথে জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের ৫ শতাংশ জমি দখল করে তিনটি বড় ঘর নির্মাণসহ 'প্রতিশ্রুতি ক্রীড়াচক্র' ক্লাবের সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছেন তিনি। এর প্রায় ১০০ গজ দূরে দুই কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ১০ শতাংশ জমি দখল করে ঝোলানো হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা একাডেমীর সাইনবোর্ড। মুক্তিযোদ্ধা একাডেমীর ওই অফিসে পর পর তিন দিন ঘুরেও তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। </div><div style="text-align: justify;">এ ছাড়া সরকারি জমি দখলের চেষ্টায় দলীয় ব্যক্তিদের দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে বাসাবাড়ি এলাকার ২৫ শতাংশ খাসজমি উত্তরণ বহুমুখী সমিতির নামে এবং আরো ২৫ শতাংশ খাসজমি ডিজিটাল বহুমুখী সমবায় সমিতির নামে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">শান্তর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সারিন্দা রেস্টুরেন্টের মালিক সুরুজ্জামানের ছেলে মাকসুদ তাঁদের মালিকানাধীন ব্রিকফিল্ডের পাশের জেলা প্রশাসনের (আকুয়া মৌজা) প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ৬৬ শতাংশ খাসজমি দখল করে টিনের বাউন্ডারি দিয়ে এখন নিজ নামে রেজিস্ট্রির চেষ্টা করছেন। </div><div style="text-align: justify;">দুস্থদের অর্থ লুট : ময়মনসিংহ সদর আসনের নামে গত আড়াই বছরে টিআর, কাবিখা, কাবিটার জন্য বরাদ্দ করা অর্থের বেশির ভাগই আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি কাবিটার ৯০ লাখ টাকা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে 'ভুয়া প্রতিষ্ঠান' ও 'ম্যানেজড' ব্যক্তির নাম ব্যবহৃত হয়। শোনা যায়, বেশির ভাগ কাজে ৫০ হাজার টাকার চেক দিয়ে ৪০ হাজার টাকা ফেরত নিয়েছেন এমপিপুত্র। </div><div style="text-align: justify;">জানা যায়, এমপির নিজের নামে করা কলেজের মাটি ভরাট, স্থাপনা নির্মাণ ও আসবাবপত্র_সবই করা হয়েছে সরকারি টাকায়। এ ক্ষেত্রে অর্থায়ন করা হয়েছে এডিপির বরাদ্দের ৪০ লাখ টাকা এবং এমপির নামে বরাদ্দের টিআরের ২৫ টন চাল ও কাবিখার ৩০ লাখ টাকা। </div><div style="text-align: justify;">দাপুনিয়া ইউনিয়নের ডিকে উচ্চ বিদ্যালয়কে কাবিটার বরাদ্দ থেকে দুই দফায় সাড়ে তিন লাখ টাকা দিলেও তা আত্মসাৎ করা হয়। টেলিফোনে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান বলেন, 'প্রথম দফায় ৫০ হাজার টাকা পেয়ে কিছু কাজ করেছি। পরের তিন লাখ টাকার খবর আমার জানা নেই।' </div><div style="text-align: justify;">কাওয়ালতী নামাপাড়া ফকিরবাড়ী হাফেজিয়া মাদ্রাসার নামে কাবিটার ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পান আওয়ামী লীগ নেতা হারুনূর রশিদ। এর ৪০ হাজার টাকা ফেরত দিতে হয় এমপিপুত্রের কাছে। বরাদ্দ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাওয়ালতী নামাপাড়া ফকিরবাড়ী ফোরকানিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শিবলী টেলিফোনে বলেন, 'শুনেছি টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তবে আমার মাদ্রাসা তা পায়নি। আর বাস্তবে এ গ্রামে কোনো হাফেজিয়া নয়, রয়েছে ফোরকানিয়া মাদ্রাসা।' </div><div style="text-align: justify;">এমপিপুত্র শান্তর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ঘাগরা ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মামুনের নামে আড়াই লাখ টাকার পাঁচটি প্রকল্প দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হয়। তবে কোনো প্রকল্প ও টাকা পাননি বলে দাবি করেন মামুন। একই ইউনিয়নের সুহিলা গ্রামের বেলালও পেয়েছেন ছয়টি প্রকল্প। এসব প্রকল্পের নামে বরাদ্দ হওয়া তিন লাখ টাকার মধ্যে আড়াই লাখ টাকাই শান্তকে দিতে হয়েছে। বেলালের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি একটি প্রকল্প পেয়েছেন এবং এর মাস্টাররোল সম্প্রতি জমা দিয়েছেন। শান্তকে টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি নিরুত্তর থাকেন।</div><div style="text-align: justify;">টিআর, কাবিটা, কাবিখা বাস্তবায়ন নীতিমালায় বলা আছে, অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রজেক্ট কমিটির সভাপতিকে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি/চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠানপ্রধান কিংবা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হতে হবে, যার কোনো কিছুই মানা হয়নি।</div><div style="text-align: justify;">ক্ষমতার অপব্যবহার : স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে নিযোগপ্রক্রিয়ায় এমপির স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বোর্ডের সদস্য নন, এমনকি আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। অথচ নিয়োগ বোর্ডে হারহামেশাই হাজির হন এমপি। পরে নিজস্ব প্রার্থীদের নিয়োগ করতে চাপ দেন। অভিযোগ আছে, বিভিন্ন পদে নিয়োগে এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে থাকেন এমপি ও তাঁর পুত্র। এ ছাড়া ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট, সিএমএমইউ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, গৃহায়ণ ও গণপূর্তসহ সব প্রতিষ্ঠানের টেন্ডারে এমপিপুত্র শান্তকে ১০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত চাঁদা না দিয়ে কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে পারে না। </div><div style="text-align: justify;">২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ঠিকাদার সেলিম অভিযোগ করেন, 'পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সুনামগঞ্জ ভবন তৈরির এক কোটি ৬২ লাখ টাকার দরপত্রে অংশগ্রহণের জন্য গত ৬ সেপ্টেম্বর দরপত্র ফেলতে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এমপিপুত্র শান্তর নির্দেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা শাহজাদ ও তাঁর ক্যাডার বাহিনী হুমকি দিয়ে আমাকে তাড়িয়ে দেয়। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ পারমাণবিক কেন্দ্রের ভবন নির্মাণের দরপত্রে পাঁচ কোটি টাকার কাজের প্রায় দুই কোটি টাকার কাজই নিজস্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে দিয়েছেন শান্ত।'</div><div style="text-align: justify;">হাইকোর্টের নির্দেশনার কারণে ২০০১ সাল থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের কাচারিঘাট বালুমহালের ইজারা বন্ধ থাকলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইজারা ছাড়াই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এখান থেকে প্রতিদিন অন্তত ৩০ হাজার টাকা আয় করছে এমপির পরিবারের লোকজন। এ বালুমহাল দখল নিয়ে খুনের ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে।</div><div style="text-align: justify;">আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এমপির ভাই মমতাজ মোটর মালিক সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে নেন। অথচ ২০১০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মোটর মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ ফারুকীর নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ ছিল। এমপির ভাগ্নে বুলবুল খাগদহর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হওয়ার পর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন।</div><div style="text-align: justify;">একইভাবে এমপির পিএস সাঈদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ময়মনসিংহের শহরতলি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে ও সানকিপাড়ায় জমি কিনে দুটি বাড়ি নির্মাণ করেছেন বলে জানা যায়।</div><div style="text-align: justify;">অভিযোগ অস্বীকার : সার্বিক অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মতিউর রহমান এমপি টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমার প্রতিপক্ষরা অসত্য অভিযোগ করে আসছে। আমরা দলকে ভালোবাসি। কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার করি না।' কলেজের নামে জেলা প্রশাসনের বরাদ্দ করা জমির টাকা পরিশোধ প্রসঙ্গে বলেন, দ্রুতই এর সমাধান হবে। নিজের কলেজে সরকারি অর্থ বরাদ্দ নেওয়া প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য মতিউর রহমান বলেন, 'আমি শিক্ষক মানুষ। শিক্ষা সম্প্রসারণে সব সময়ই কাজ করেছি। সাম্প্রতিক বরাদ্দও এরই অংশ।' </div><div style="text-align: justify;">এমপিপুত্র মুহিতউর রহমান শান্তও অভিযোগ অস্বীকার করে টেলিফোনে বলেন, 'আমি সরকারি জমি দখল করিনি। আর ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে টিআর, কাবিখা, কাবিটার অর্থ বরাদ্দ হলে তা খতিয়ে দেখা হবে।' বিজ্ঞান কলেজের নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দখল প্রসঙ্গে বলেন, 'জমিটি কলেজের নামে ভাড়া নেওয়া হয়েছে।' টেন্ডারবাজি প্রসঙ্গে বলেন, 'আমার অগোচরে ছাত্রলীগের ছেলেরা কিছু করলেও তা আমার জানা নেই।' </div><div style="text-align: justify;">এমপির ভাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিন সরকার বলেন, 'আমি উপজেলা পরিষদের জমি এক বছরের জন্য লিজ নিয়েছি।' লিজ নেওয়া জমিতে সাইনবোর্ড টাঙানো প্রসঙ্গে কোনো উত্তর দেননি। আর পুরো কাজ না করেই বিল তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি ঢাকা থেকে কাজের সময় বাড়িয়ে নিয়ে রানিং বিল তুলেছি।' এত অর্থ আয় প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি ব্যবসা করে টাকা কামাই।' অভিযোগ প্রসঙ্গে এমপির পিএস সাঈদ বলেন, 'আমার কোনো বাড়ি-সম্পদ নেই। আমি আগেও জিরো ছিলাম, এখনো জিরো।' </div><div style="text-align: justify;">প্রশাসনের বক্তব্য : সরকারি জমিতে আফাজ উদ্দিনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড প্রসঙ্গে দাপুনিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসানুল ইসলাম বলেন, 'বিষয়টি সঠিকভাবে আমার জানা নেই। তবে ওই এলাকায় পৌরসভার বেশ কিছু জমি আছে, যার অধিকাংশই লিজ দেওয়া রয়েছে।' </div><div style="text-align: justify;">ময়মনসিংহ সদর উপজেলার টিআর, কাবিটা, কাবিখার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুল হুদার মোবাইলে বারবার রিং করলেও তিনি ধরেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই অফিসের অন্য এক কর্মকর্তার দাবি, 'সরকারি অনুদানের ২০ ভাগ কাজও মাঠপর্যায়ে হয়নি। বরাদ্দ করা অর্থ শুধু লুটই হয়েছে।' </div><div style="text-align: justify;">এলজিইডির ময়মনসিংহ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, কাজগুলোর বিল উপজেলা পরিষদ থেকে ইউএনওর তত্ত্বাবধানে হয়। তবে কাজ না করে টাকা তোলা হলে সেটা অবশ্যই অনিয়ম। </div><div style="text-align: justify;">ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক লোকমান হোসেন মিয়া টেলিফোনে বলেন, কলেজের জমির টাকা লিখিতভাবে চাওয়া হয়েছে। আর জেলা প্রশাসনের কিছু জমি অবৈধ দখলে থাকতে পারে। তবে তা দখলমুক্ত করে পুনরুদ্ধার করা হবে।</div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Entertainment&pub_no=660&cat_id=1&menu_id=1">http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Entertainment&pub_no=660&cat_id=1&menu_id=1</a></div></span></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-70266750630797202142011-10-01T08:39:00.001-07:002011-10-01T08:39:46.941-07:00সব টাকা যাচ্ছে সরকারের পেটে : বিনিয়োগের জন্য ব্যাংক ঋণের আকাল<span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">সৈয়দ মিজানুর রহমান</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div>মাত্র কয়েক বছর আগেও দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক ছিল বেসরকারি খাতে বৃহত্ ঋণের বড় জোগানদাতা। দেশের মুদ্রাবাজারেও অর্থের জোগানদাতা হিসেবে এসব ব্যাংকই বড় ভূমিকা রাখত। তবে দিনবদলের পাল্লায় পড়ে এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা এখন খুবই নাজুক।<br />সরকারি ব্যাংকে গিয়ে বেসরকারি উদ্যোক্তারা টাকা পাচ্ছেন না। আর সরকারি ব্যাংকের বেহাল দশার মধ্যেই বেসরকারি ব্যাংকগুলোও এখন দৈন্য দশায়। সরকারি-বেসরকারি গোটা ব্যাংকিং খাতেই ঋণের আকাল শুরু হয়েছে। শিল্পে তো নয়ই, ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের স্বল্পমেয়াদে দৈনন্দিন কাজেও অর্থের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো। বছরজুড়েই এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন ব্যাংকগুলোর জন্য সামনে আরও বিপদ আসছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, সরকার ব্যাংকগুলোর সব টাকাই নিয়ে নিচ্ছে। সরকারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে ব্যাংকগুলোর অবস্থা নাকাল। এমন পরিস্থিতির মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্য হয়েছে ব্যাংকে নগদ জমার হার শিথিল করতে।<br />জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে গড়ে প্রতিদিন ৪৮৬ কোটি, রূপালী ব্যাংক ৪৫৬ কোটি, জনতা ব্যাংক এক হাজার ২৪৬ কোটি ও অগ্রণী ব্যাংক ১ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা ধার করছে। মূলত সরকারের ঋণের চাহিদা মেটাতে গিয়েই মুদ্রাবাজার থেকে টাকা ধার করতে হচ্ছে এসব ব্যাংককে।<br />বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে ৬ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা এবং তফসিলি ব্যাংকগুলো থেকে নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ২২২ কোটি টাকা।<br />এর আগে চলতি অর্থবছরের ২১ আগস্ট পর্যন্ত সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে মোট ঋণ নেয় ৫ হাজার ২২৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এ সময়ে আগে নেয়া ঋণের এক টাকাও পরিশোধ করতে পারেনি সরকার। অথচ গত বছরও একই সময়ে পরিশোধ হয়েছিল ৫৫৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ।<br />ব্যাংকিং খাত থেকে বেপরোয়া ঋণ গ্রহণ সরকারের অর্থব্যবস্থা ব্যাংক ঋণনির্ভর হওয়ার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। পরিচালনা ব্যয় মেটাতে সরকার ব্যাংকিং খাতের ওপর এত বেশি নির্ভরশীলতার নজির অতীতে আর নেই বলেও মনে করেন তারা। আর সরকারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এরই মধ্যে বেসরকারি খাতে শিল্প বিনিয়োগে বড় আকারের ঋণ দেয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের বাড়তি চাহিদা পূরণে ছাপছে নতুন টাকা।<br />সংশ্লিষ্টরা জানান, তফসিলি ব্যাংক থেকে সরকার বেশি ঋণ করলে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ কমে আসে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ করলে, যদি বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী সময়ে তফসিলি ব্যাংকের কাছ থেকে তা তুলে নিতে না পারে, তবে শেষ পর্যন্ত নতুন টাকা বাজারে বেড়ে যায়। আর এতে বাড়ে দ্রব্যমূল্য।<br />এদিকে, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলও (আইএমএফ) সরকারের অতিমাত্রায় ব্যাংক ঋণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আইএমএফের একটি মিশন সরকারকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংক নগদ অর্থের ঘাটতির মধ্যে রয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলোকে ঋণ দিতে গিয়েই এই চাপ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।<br />কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ৯১ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে সরকার ১ হাজার ৭৫০ কোটি, ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে ১ হাজার ৫০০ কোটি ও ৩৬৪ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।<br />এছাড়া দুই মাসে বিভিন্ন মেয়াদি বন্ড প্রাইমারি ডিলারদের মাধ্যমে নিলাম করে সরকার ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। গত অর্থবছরে বন্ডের মাধ্যমে সরকার ঋণ নিয়েছিল ১৪ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে নগদায়ন হয়েছে মাত্র ৪৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার বন্ড। জানা গেছে, ঋণ গ্রহণের পাশাপাশি রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ প্রদানও ব্যাংকগুলোর তারল্যে চাপ সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক তদবিরের কারণে ব্যাংকগুলোকে তড়িঘড়ি করে বেশকিছু ঋণ দিতে হয়েছে। ফলে সাধারণ উদ্যোক্তারা ঋণ পাচ্ছেন না। সাধারণ উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ঋণ আবেদন গ্রহণ না করতেও মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট শাখাকে।<br />জানা গেছে, সরকারের সামগ্রিক ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ২৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে গত এক বছরে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ২৩ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা। ২০১০-১১ অর্থবছরে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ২০ হাজার ৩৯১ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার কোটি টাকা বেশি। চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে অভ্যন্তরীণ উত্স থেকে ২৭ হাজার ২০৮ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উত্স থেকে ১৩ হাজার ৫৮ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ১৮ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা এবং ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে ৮ হাজার ২৫১ কোটি টাকা নেয়া হবে। বর্তমান হারে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকার ঋণ নিতে থাকলে বছরের অর্ধেক সময়েই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।<br />ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, গত প্রায় দেড় বছর ধরেই সরকারি ব্যাংকগুলো বড় অঙ্কের ঋণ দিচ্ছে না। তবে অতিসম্প্রতি ঋণের আবেদন নেয়াও বন্ধ করে দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। এ বিষয়ে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী গতকাল আমার দেশকে জানান, ‘আমরা ব্যাংক ঋণ পাচ্ছি না। ছোট ঋণ প্রাপ্তিতে আগে সমস্যা ছিল না। গত দুই মাস ধরে ঋণের আবেদনও নেয়া হচ্ছে না সরকারি ব্যাংকে। একই অবস্থা বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতেও।’ কারণ জানতে চাইলে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও ইএবি’র সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘শেয়ারবাজারে ধসের পর অনেক ব্যাংক নিজেরাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এছাড়া গ্যাস-বিদ্যুত্ সঙ্কটের ফলে এতদিন শিল্পে বিনিয়োগ হয়নি, এখন কিছুটা উন্নতির দাবি করা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু এখন আবার সরকার ব্যাংকের সব টাকা নিয়ে নিচ্ছে। ফলে বিনিয়োগে মন্দা স্থায়ী রূপ নিতে পারে।’<br />এদিকে ব্যাংকিং খাতে আর্থিক সঙ্কটের কারণে নগদ অর্থের জমার ক্ষেত্রে শর্ত কিছুটা শিথিল করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সিকিউরিটিজে (ট্রেজারি বিল ও বন্ড) বিনিয়োগ করতে পারবে সংশ্লিষ্ট মাসে রক্ষিতব্য সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদের (এসএলআর) ৭৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে জারিকৃত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। এ নির্দেশনা আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।<br />বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সাময়িকভাবে ব্যাংকের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের পরিমাণ সংশ্লিষ্ট মাসের এসএলআরের ৫০ শতাংশের স্থলে ৭৫ শতাংশ পুনর্নির্ধারণ করা হলো। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর নগদ টাকা জমা রাখার প্রবণতা কমে যাবে। ফলে ব্যাংকগুলোর তহবিল ব্যবস্থাপনা সহজ হবে।<br />সরকার বেপরোয়া ঋণ নিলেও এই ঋণের টাকা কোথায় যাচ্ছে তার কোনো হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে সরকারের ভেতরেই প্রশ্ন উঠছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশে এডিপি বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বেহাল দশা চলছে। ফলে ঋণের টাকায় যে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে তা মানতে নারাজ অর্থনীতিবিদরা। এ বিষয়ে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজ বলেন, সরকারের ঋণের টাকার হিসাব দেয়া দরকার। এভাবে খরচ করতে থাকলে একসময় ব্যাংকিং খাত যেমন সমস্যায় পড়বে, তেমনি গোটা অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়বে।</div><div><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/10/01/108921">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/10/01/108921</a></div></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-61539831994227877042011-09-24T04:25:00.001-07:002011-09-24T04:25:59.130-07:00সাড়ে ৩ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগ করে নিয়েছেন যুবলীগ নেতারা<span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div>সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিআরই) শাখার রাস্তা মেরামত ও সংস্কার কাজের ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার টেন্ডার নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছে স্থানীয় যুবলীগ নেতারা। টেন্ডার দাখিলের আগেই সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা গোপনে বৈঠক করে এ কাজ হাতিয়ে নেয়। সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধের বিএল স্কুল থেকে রানীগ্রাম গ্রোয়েন পর্যন্ত নিচের অংশের রাস্তা মেরামত ও সংস্কার কাজের জন্য দরপত্র (কাজের নাম-আরএসএইচপি, প্যাকেজ নং-১) আহ্বান করে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।<br />বুধবার দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন এবং ওই দিন বিকাল ৩টায় দরপত্র বাক্স খোলা হলেও এর আগে স্থানীয় যুবলীগের একটি গ্রুপ সিন্ডিকেট করে এসব সিডিউল হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে। তারা বৈঠক করে যুবলীগ নেতাদের কাজ দেয়ার বিষয়টি ঠিকাদারদের জানিয়ে দেয়। এ বৈঠক আহ্বানকারী যুবলীগ নেতাদের ওই গ্রুপ। যে কারণে শুধু সিরাজগঞ্জে ৩৮ এবং বগুড়ায় ৩টি সিডিউলসহ ৪১টি বিক্রি হলেও দাখিল হয়েছে মাত্র ৬টি। বৈঠকে সমঝোতা অনুযায়ী পিয়াস কনস্ট্রাকশনকে কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্রে জানা গেছে। টেন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান। সিরাজগঞ্জ জনতা ব্যাংক মাছুমপুর শাখা ও বগুড়া জনতা ব্যাংকে এসব সিডিউল বিক্রি করা হয়। সিরাজগঞ্জ জনতা ব্যাংক মাছুমপুর শাখার<br />সহকারী ম্যানেজার জয়নাল আবেদীন জানান, গত ২১ আগস্ট টেন্ডারের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশের পর গত ১৩, ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর আমাদের কাছে ৩৮টি সিডিউল বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। সবগুলো সিডিউল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়। বুধবার দরপত্র দাখিলের জন্য সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিআরই) শাখায় টেন্ডার বাক্স দেয়া হয়। পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল ১টি এবং বিআরই শাখায় ৬টি দরপত্র দাখিল করা হয়। সমঝোতার কারণে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তার দাখিল করা দরপত্র প্রত্যাহার করে নেয় বলে ঠিকাদার সূত্রে জানা গেছে। বুধবার সকাল থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকায় অবস্থান নেয়। তারা অফিসের ভেতরে না গেলেও বাইরে অবস্থান করতে থাকে। ঠিকাদারদের দরপত্র দাখিল না করার জন্য অনুরোধ করা হয় এবং বিক্রি হওয়া ৪১টি সিডিউল রাতে ঠিকাদারদের কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হয় বলে সূত্রে জানা গেছে। এ কাজের একটি অংশ সিডিউল ক্রয়কারী ঠিকাদারদের মধ্যে বিতরণ করার কথা রয়েছে। গত ৯ দিনের ব্যবধানে একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি টেন্ডার হাতিয়ে নিল যুবলীগ নেতারা। তবে এ যুবলীগ নেতাদের নিজস্ব কোনো ঠিকাদারি লাইসেন্স নেই। অন্য ঠিকাদারের লাইসেন্সে তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাজগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ শক্তিশালী প্রকল্পের ৫ কোটি টাকার টেন্ডার সমঝোতা হয়। সেই টেন্ডারে মাত্র ৩টি সিডিউল দাখিল করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট গত ১৩ সেপ্টেম্বর আমার দেশ-এ প্রকাশিত হওয়ার পর জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। যে কারণে এবার লোক দেখানোর জন্য ৬টি সিডিউল দাখিল করা হয়। এটি সমঝোতার বৈঠকে সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।<br />পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরই শাখার) উচ্চমান সহকারী আবদুস সাত্তার জানান, সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধের নিচের অংশের সড়কে সরকারি বিএল স্কুল থেকে রানীগ্রাম গ্রোয়েন পর্যন্ত এ সড়কে সংস্কার কাজের জন্য সাড়ে ৩ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজে সমঝোতা হয়েছে তা আমরা জানি না। এ ব্যাপারে কোনো ঠিকাদার আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি।<br />টেন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিআরই) শাখার এসডি আনোয়ার সাদাদ বলেন, টেন্ডার বাক্স থেকে দরপত্র খোলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাজের বিষয়টি ঠিক হয়নি। কোন প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে জানতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/09/24/107391">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/09/24/107391</a></div></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-17041150274968478642011-09-21T08:23:00.000-07:002011-09-21T08:25:02.918-07:00রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ১০ ব্যাংক : ক্ষমতাসীনদের ভাগবাটোয়ারা<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj9hEAyg49Yrx0AIfV9jrfMPikZYyZlvVhEXuZbxJ2fQyRix4nf6ohwzIeUeLXJl2yqYgHqh91nG4dgVtXLQ_ouGTzhMPYTh0Ps5vgstezdL5WkJVaxt3RrJ129SbVliYzHnqAcqkLKRHJ8/s1600/P1_rajnoitik-bibechonae-ban.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 201px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj9hEAyg49Yrx0AIfV9jrfMPikZYyZlvVhEXuZbxJ2fQyRix4nf6ohwzIeUeLXJl2yqYgHqh91nG4dgVtXLQ_ouGTzhMPYTh0Ps5vgstezdL5WkJVaxt3RrJ129SbVliYzHnqAcqkLKRHJ8/s400/P1_rajnoitik-bibechonae-ban.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5654834216413762722" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); ">সৈয়দ মিজানুর রহমান</div><div>ব্যাংকিং খাতে চলমান তীব্র তারল্য সঙ্কট, দেশের নাজুক অর্থনীতি এবং বর্তমানে ১৭টি ব্যাংক ঝুঁকিতে থাকার পরও মহাজোট সরকার নতুন করে আরও অন্তত ১০টি ব্যাংকের লাইসেন্স দিতে যাচ্ছে। লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে শুরুতেই বড় ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা, সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনের অনেকেই পাচ্ছেন নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অনুমোদন। আবার লাইসেন্স পাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে চলছে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যও।<br />এদিকে নতুন ব্যাংকের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে নতুন ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান জানান, বাস্তবেই আমাদের অর্থনীতি এতো বড় না, তাই বেশিসংখ্যক ব্যাংক দেয়ার সুযোগও এখন নেই। এ দিকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোরভাবে দেখছে। তবে সরকার যতগুলো ব্যাংক চাচ্ছে আমাদের সেই চাহিদা পূরণের সুযোগ নেই। নতুন ব্যাংক বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি সরকারের একটি রাজনৈতিক ইচ্ছা।<br />বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আরও নতুন ১০টি ব্যাংকের অনুমোদন দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৪টি ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। তবে বাকি ৬টির বিষয়ে আরও বিশদ আলোচনার কথা বলা হয়েছে পর্ষদ বৈঠকে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত পর্ষদ বৈঠকে বলা হয়, নতুন ব্যাংক পেতে ৮২টি আবেদন জমা আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। বর্তমান সরকারের আমলে ২০টি আবেদন জমা পড়েছে। মূলত বর্তমান সরকারের আমলে করা আবেদনের মধ্য থেকেই বাছাই হবে, কারা পাবেন নতুন ব্যাংক। তবে এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় তালিকা পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছে তাদের পছন্দের নতুন ব্যাংকগুলোর নাম। আর এর মধ্যে আছে ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয়স্বজন।<br />এদিকে নতুন ব্যাংক অনুমোদনের গাইডলাইন বদলে ফেলা হচ্ছে। ব্যাংক প্রতিষ্ঠার শর্ত শিথিল করতেই এই খসড়া বদলে ফেলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আগের গাইডলাইনে এমন শর্ত ছিল যে, ‘ঋণখেলাপি এবং করখেলাপি এমনকি গত ৫ বছরের মধ্যে খেলাপি ছিলেন এমন কেউ নতুন ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না’।<br />জানা গেছে, নতুন ব্যাংক স্থাপনের বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক একটি তালিকা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকা অনুযায়ী বর্তমান সরকারের আমলে নতুন ব্যাংকের জন্য আবেদন করা রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস ও শেখ সালাহ উদ্দিন। তাদের ব্যাংকের নাম দেয়া হয়েছে মধুমতি ব্যাংক। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং সরকারি হিসাব সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর একাই চেয়েছেন দু’টি ব্যাংক। এর একটির নাম দেয়া হয়েছে ফারমার্স ব্যাংক ও অন্যটির নাম এসএমই ব্যাংক। দি ফারমার্স ব্যাংক গুলশানে অফিস খুলে এরই মধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ‘রূপায়ণ ব্যাংক’ নামে নতুন ব্যাংকের আবেদন করেছেন।<br />শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীদের নামেও কয়েকটি ব্যাংকের আবেদন করা হয়েছে। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নামে সেলফ এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক নামে একটি ব্যাংকের আবেদন এসেছে। ড. এসএম শওকত আলী ‘ক্যাপিটাল ব্যাংক’, এনজিও ব্যক্তিত্ব অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম ‘টিএমএসএস ক্ষুদ্র পুঁজি ব্যাংক’, ড. মো. শামসুল হক ভূঁইয়া ‘অ্যাপোলো ব্যাংক’ নামে নতুন ব্যাংক চেয়েছেন। প্রবাসী কমার্শিয়াল ব্যাংক নামে নতুন ব্যাংক চেয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা ফরাসত আলী। তার সঙ্গে আছেন ব্যবসায়ী নেতা কুতুবউদ্দিন। দি ব্যাংক অব এনআরবি’র আবেদন করেছেন মোল্লা ফজলুর রহমান, নিজাম চৌধুরী ও আরিফুর রহমান। আরবান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আবেদনে নাম আছে সাজ্জাদুল ইসলাম, মো. হেলাল মিয়া ও বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহসীন উদ্দিনের। ডাইনামিক ইসলামী ব্যাংকের আবেদনকারীরা হলেন বারেকুর রহমান, মো. হেলাল মিয়া ও তাজুল ইসলাম। রয়েল ব্যাংকের প্রস্তাবক হচ্ছেন নুরুল কাইয়ুম খান, জাহাঙ্গীর আলম খান ও আজিজুল খান চৌধুরী। কে টি আহমেদ আবেদন করেছেন বন্ড অ্যান্ড মর্টগেজ ব্যাংক (বিএমবি) প্রতিষ্ঠার। এক্সপ্রেস নামে ব্যাংক পেতে আবেদন করেছেন নাসিম আহমেদ, শাহরিয়ার আলম ও এবাদুল করিম।<br />দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বিদেশি ব্যাংক আছে ১৮টি। এর বাইরে বেসরকারি ব্যাংক ৩০টি। মোট ৪৮টি ব্যাংক রয়েছে দেশে। এর বাইরে ৬০টি বীমা কোম্পানি আছে। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে এরশাদের আমলে (১৯৮২-১৯৯০) অনুমোদন দেয়া হয় ৯টি ব্যাংকের। বিএনপি আমলে (১৯৯১-১৯৯৬) ৮টি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের আমলে (১৯৯৬-২০০১) দেয়া হয় ১৩টি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন। তবে (২০০১-২০০৬) পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে বিএনপির আমলে এবং সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশে আর কোনো ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়নি।<br />বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি অথবা তার পরিবারের কোনো সদস্য কোনো ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণখেলাপি হলে এবং সরকারের কাছে করখেলাপি হলে তিনি প্রস্তাবিত ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। এমনকি কেউ গত ৫ বছরের মধ্যে ঋণ বা করখেলাপি থাকলে এবং এ বিষয়ক কোনো মামলা অনিষ্পন্ন থাকলে তিনি নতুন ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। নতুন ব্যাংকের মূলধনের পরিমাণ হবে কমপক্ষে ৪০০ কোটি টাকা এবং শুধু সাধারণ শেয়ারের মাধ্যমে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন গঠিত হবে। ব্যবসা শুরুর তারিখ থেকে ৩ বছরের মধ্যে বাজারে শেয়ার ছেড়ে পরিশোধিত মূলধনের সমপরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। ৫ শতাংশ অথবা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ শেয়ারধারী উদ্যোক্তার মূলধন সংরক্ষণ চুক্তি সই করতে হবে এবং চুক্তির মাধ্যমে তারা অঙ্গীকার করবেন, ভবিষ্যতে নতুন ব্যাংকটি যদি কখনও মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয় তাহলে উদ্যোক্তারা ঘাটতি মূলধন সরবরাহ করবেন। একজন উদ্যোক্তা সর্বনিম্ন এক কোটি টাকার শেয়ার এবং সর্বোচ্চ মোট মূলধনের ১০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারবেন। কোনো ব্যক্তি, কোম্পানি বা কোনো পরিবারের সদস্যরা একক, যৌথ বা উভয়ভাবে প্রস্তাবিত ব্যাংকের মোট মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারবেন না। উদ্যোক্তাদের তাদের আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত নিট সম্পদ থেকে প্রস্তাবিত ব্যাংকের মূলধন সরবরাহ করতে হবে। তবে এসব শর্ত থাকলে ক্ষমতাসীনদের অনেকেই ব্যাংক পাবেন না। ফলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে তাদের নতুন ব্যাংকের গাইডলাইন বা খসড়া পরিবর্তনের।<br />অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার কার্যক্রম শুরুর তাগিদ আসে গত জুনে। এর পরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি জরিপ কার্যক্রম শুরু করে, যা পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করে নতুন ব্যাংকের প্রয়োজনীতা বিষয়ে এই প্রতিবেদনে সরাসরি নতুন ব্যাংকের বিরোধিতা করা না হলেও, তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বুঝানো হয়, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নতুন আর কোনো ব্যাংকের দরকার নেই। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের অর্থনীতির আকার বাংলাদেশের মতো। শ্রীলঙ্কায় ব্যাংকের সংখ্যা ৩৭টি এবং পাকিস্তানে ৪৫টি। বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৪৮টি। তুলনামূলকভাবে বড় অর্থনীতির দেশ মালয়েশিয়ায় ব্যাংকের সংখ্যা ৩১টি এবং ভারতে ১৬৩টি। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আমাদের দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় ব্যাংক বেশি। এর আগে ২০০৫ সালের ১২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২৭২তম সভায় বেসরকারি খাতে নতুন ব্যাংক স্থাপন সংক্রান্ত একটি নীতিমালা উপস্থাপন করা হলে পর্ষদ তা অনুমোদন করে। তবে তার অর্থ এই ছিল না যে, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। বরং দেশের অর্থনীতি ও অর্থবাজারের আকার, সঞ্চয় সৃষ্টি ও মূলধন গঠনের হার, আর্থিক খাতের গভীরতা, বিদ্যমান ব্যাংকিং অবকাঠামো ও ব্যাংকিং সেবার চাহিদা এবং ব্যাংকগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান প্রভৃতি বিবেচনায় নতুন কোনো ব্যাংক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ যুক্তিসঙ্গত হবে না মর্মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ ওই সময় মতামত দেয়।<br />এদিকে আইএমএফ’র তরফ থেকেও বাংলাদেশে এ মুহূর্তে নতুন ব্যাংকের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়। সম্প্রতি সংস্থাটির প্রধান ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন ব্যাংকের বিরোধিতা করেন।<br />বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত অনুমোদন না দিলেও এর আগেই নতুন ব্যাংকের নামে অনেকেই অফিস চালু করেছেন বলে জানা গেছে। গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারে খোলা হয়েছে প্রস্তাবিত ফারমার্স ব্যাংকের অফিস। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মহীউদ্দীন খান আলমগীর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ফারমার্স ব্যাংকের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, এভাবে কার্যালয় খুলে কার্যক্রম চালানো নজিরবিহীন।<br />নতুন ব্যাংক বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বেসরকারি খাতে নতুন ব্যাংক স্থাপনের বিষয়টি সরকারের একটি রাজনৈতিক ইচ্ছা। তিনি বলেন, সরকার বেসরকারি খাতে আরও কিছু নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার পক্ষে। তবে ঠিক কয়টি ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংককে এ ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার নতুন ব্যাংক স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এর আগে অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইআরএফ আয়োজিত এক সেমিনারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি সরকারের একটি রাজনৈতিক ইচ্ছা। দলীয় লোকজনকে সুবিধা দেয়ার জন্যই নতুন ব্যাংক কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। অন্যদিকে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।<br />এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান জানিয়েছেন, ‘আমরা যখন দেখলাম সরকার নতুন ব্যাংক করবেই তখন একটি সমীক্ষাকে সামনে রেখে নতুন কিছু শর্ত দিয়ে একটি খসড়া বা গাইডলাইন তৈরি করেছি। এতে কঠিন অনেক শর্তই আছে। প্রকৃত উদ্যোক্তা ছাড়া অন্যরা হয়তো নতুন ব্যাংক পাবেন না। তবে নতুন ব্যাংক সংখ্যায় খুবই সীমিত হবে। হয়ত ২/৪টি অনুমোদনের বিষয় ভাবছে বোর্ড।’ আপনার ওপর রাজনৈতিক চাপ আছে কিনা? থাকলে কারা দিচ্ছে? জানতে চাইলে ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে আমি হয়ত কোনো মতের বা আদর্শের হতে পারি, তবে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারে বসি তখন আমার কাছে সেটি ক্ষীণ। আমি বিশ্বাস করি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেয়া যায় না। তবে সরকার চাইছে কিছু ব্যাংকের অনুমোদন আমরা দেই।’ কাউকে সুযোগ দিতে ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের শর্ত শিথিল করবেন কিনা—প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। শর্ত মেনে কউ পারলে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করবে।<br />’</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/09/21/106725">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/09/21/106725</a></div></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-30459278701303481572011-08-16T13:56:00.000-07:002011-08-16T14:01:50.528-07:00নোয়াখালীতে সরকারি দলের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জমি দখলের হিড়িক<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh1P-FWbNHKMWXbFnTeMa6EwkhyeInNKEfolMQhfZwv3EEMGcKnVhCKkFv590IrcY75Uz6ZiHEPkKIjeaSLts9nXrTITP4ixW3qj0Ie6xj8_3IK5qXqAPgKkzE7_RygiPHy6VBYQA9V5Els/s1600/AB_Nowakhali_2.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 360px; height: 287px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh1P-FWbNHKMWXbFnTeMa6EwkhyeInNKEfolMQhfZwv3EEMGcKnVhCKkFv590IrcY75Uz6ZiHEPkKIjeaSLts9nXrTITP4ixW3qj0Ie6xj8_3IK5qXqAPgKkzE7_RygiPHy6VBYQA9V5Els/s400/AB_Nowakhali_2.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5641561056563599010" /></a><div style="text-align: justify;">
<br /></div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div></span><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">ইয়াকুব নবী ইমন, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী)</span><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">নোয়াখালীতে ক্ষমতাসীন দলের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে সরকারি জাগয়া দখলের হিড়িক পড়েছে। প্রকাশ্যে সরকারি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দখল হলেও স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে একেবারে নীরব। প্রতিবাদ করলে চাকরি হারানোর ভয় থাকে। ফলে সরকারি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী দখলদারদের সঙ্গে ফায়দা লুটে নিচ্ছে। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">জানা গেছে, বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলের নাম ভাঙিয়ে একটি দখলদার চক্র নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় দলীয় সাইনবোর্ড টাঙিয়ে সরকারি জায়গা দখল করছে। তারা আ’লীগ, শ্রকিম লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদসহ দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ভূইফোঁড় সংগঠনের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সরকারি জায়গা দখল করছে। তাদের দখল তালিকায় রয়েছে সরকারি খাস জমি, সড়ক ও জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদের ও সম্পত্তি। এসব সরকারি জায়গায় প্রথমে খুঁটি দিয়ে দলের বা সংগঠনের জেলা, উপজেলা, শহর নগর ও কলেজ শাখার অফিসের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়। পরে তা দখল করে ঘর নির্মাণ করে অন্যের কাছে পজিশন বিক্রি করা হয়।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সরকারি জায়গা সবচেয়ে বেশি দখল হচ্ছে জেলার সোনাইমুড়ী, বেগমগঞ্জ ও সেনবাগে। এরপরই রয়েছে নোয়াখালী সদর, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, হাতিয়া, চাটখিল ও কবিরহাট উপজেলা।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে জয়াগ বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করে। বিষয়টি এলাকাবাসী সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা বেগম ও এসিল্যান্ডকে জানালেও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেননি। চৌমুহনীর চৌরাস্তায় বেগমগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মামুনুর রশিদ কিরণের নাম ভাঙিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কয়েক কোটি টাকার জায়গা দখল করে রাতারাতি মার্কেট নির্মাণ করছে দখলদার চক্র। বেগমগঞ্জ থানার মাত্র কয়েকশ গজ দূরে প্রকাশ্যে সরকারি জায়গা দখলের ঘটনা ঘটলেও দখল ঠেকানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এক সময়ের জেএসডি নেতা আবুল খায়ের চৌমুহনীর দক্ষিণ বাজারে সরকারি খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। সাধারণ ব্যবসায়ীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালেও আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বেগমগঞ্জের কাজিরহাটে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েক নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধু পরিষদ কাজিরহাট আঞ্চলিক অফিস সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ব্যবসায়ী মফিজের বন্দোবস্তের জায়গাটি দখল করে নিয়ে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। চৌমুহনী রেলওয়ে কোয়ার্টারসংলগ্ন সরকারি জলাশয়ের পাড়ে বেগমগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগ প্রধান কার্যালয় ও বেগমগঞ্জ থানা, চৌমুহনী পৌর এবং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেনবাগের শ্রমিরমুন্সি বাজারে জেলা আ’লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মানিক দলীয় সাইনবোর্ডে সংখ্যালঘুদের জায়গা দখল করে নেয়। এ সময় সেনবাগ থানা পুলিশ টহলে থাকলেও তারা সংখ্যালঘুদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। এর আগে বেগমগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ কিরণ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জেলা জাপা সভাপতি সালাহ উদ্দিন আহম্মদের চৌমুহনী-মাইজদী সড়কের পাশের বিপুল পরিমাণ জায়গা দখল করে নেয়। এ নিয়ে বর্তমানে আদালতে মামলা চলছে। নোয়াখালীতে একের পর সরকারি খাল, ডোবা, নালা দখল হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে জেলাব্যাপী দেখা দেয় কৃত্রিম বন্যা। নোয়াখালী সওজ’র প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল বাবু জানান, অভিযোগ পেলে আমরা অবিশ্যই ব্যবস্থা নেব। তাছাড়া তাত্ক্ষণিক দখল ঠেকাতে আমাদের যে লোকবল দরকার, তা নেই। নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হাবিবুর রহমান জানান, খাল আমাদের হলেও খালের পাশের জায়গা জেলা পরিষদের। কেউ পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি সরকারি সম্পত্তি দখলের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সহসা দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেয়া হবে</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div>।</div><div><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/14/99172">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/14/99172</a></div></span></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-78992588760126691742011-08-10T13:34:00.000-07:002011-08-10T13:38:48.830-07:00সাড়ে তিন হাজার বিঘা জমি ইজারা নিয়েছেন সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা জমি কেরুর, লাভের টাকা দলীয় লোকদের পকেটে<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi_h8uXICdnEYCJnq7P6oW1ZkMQAMFw1w7jSGZsOuQGr6Fz81HiK0WLx1MVCDMi3RYYtA0LTQ3pb5SDuVBj3u7FOz4KoQIonb0JtyIyb7CcJMo5OeSEIpBMuywZHZW8LaqGSu7fdQf6cTR5/s1600/2011-08-10-17-07-56-066661800-6.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 340px; height: 243px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi_h8uXICdnEYCJnq7P6oW1ZkMQAMFw1w7jSGZsOuQGr6Fz81HiK0WLx1MVCDMi3RYYtA0LTQ3pb5SDuVBj3u7FOz4KoQIonb0JtyIyb7CcJMo5OeSEIpBMuywZHZW8LaqGSu7fdQf6cTR5/s400/2011-08-10-17-07-56-066661800-6.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5639329253118913362" /></a>
<br /><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">ছবি: প্রথম আলো</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 15px; line-height: 20px; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div class="threeCol mb20 white" style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; width: 720px; overflow-x: hidden; overflow-y: hidden; background-image: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div class="pr20 white mb20" style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 20px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; background-image: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; background-color: rgb(255, 255, 255); "></div></div></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 15px; line-height: 20px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">কামরুল হাসান ও শাহ আলম | <i style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; ">তারিখ: ১১-০৮-২০১১</i> | ২১৬</span><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 13px; line-height: 15px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 15px; line-height: 20px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">
<br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 15px; line-height: 20px; background-color: rgb(255, 255, 255); ">দলীয় পরিচয়ের সুবাদে চাকরি হয় কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে। চাকরিতে ঢুকেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রথম বছর বেনামে ৩৬০ বিঘা জমি ইজারা নেন। এবার নিয়েছেন আরও ১৪১ বিঘা। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আবদুল কুদ্দুস। এখন হিজলগাড়ি বাণিজ্যিক খামারের কেরানি। তবে নামমাত্র দরে ইজারা নেওয়া এসব জমি তিনি নিজে আবাদ করেন না। সবই ভাড়া দেন প্রান্তিক চাষিদের কাছে। গত ৩০ জুলাই দুপুরে হিজলগাড়ি খামারে কুদ্দুস নিজের মুখেই বললেন এসব কথা। শুধু কুদ্দুসই নন, তাঁর মতো কেরু অ্যান্ড কোম্পানির অনেক কর্মী এই প্রতিষ্ঠানের জমি ইজারা নিয়ে জমজমাট ব্যবসা ফেঁদেছেন। তবে এসবের কলকাঠি রয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হাতে। নামে-বেনামে এই নেতা ও কর্মচারীরা নামমাত্র দরে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির সাড়ে তিন হাজার বিঘা জমি ইজারা নিয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে তা ভাড়া দিচ্ছেন সাধারণ চাষিদের কাছে। এভাবে তাঁরা কামিয়ে নিচ্ছেন বছরে আড়াই কোটি টাকা। কিন্তু ইজারা নেওয়া জমি ভাড়া দেওয়া বা কারও কাছে হস্তান্তর করা যায় না। এদিকে বছরের পর বছর কাঁচামালের অভাবে লোকসান গুনছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এই অবৈধ ব্যবসার কথা স্বীকার করেছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম আবদার হোসেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘কেরু হলো দুর্নীতির আর্কাইভ, অনিয়মের কোনো শেষ নেই। অবশ্য এখন অনিয়ম কিছুটা দূর হয়েছে। কিন্তু এক দিনে সব দূর করা যাবে না।’ কেরু ও এর সম্পদ: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অবস্থিত কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড একটি ঐতিহ্যবাহী সরকারি প্রতিষ্ঠান। চিনি কারখানা, ডিস্টিলারি কারখানা ও ওষুধ কারখানা—এ তিনটি বিভাগ নিয়ে ১৯৩৮ সালে এ কমপ্লেক্সটি স্থাপিত হয়। তিনটি শাখার মধ্যে ওষুধ কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন ভিনেগার ছাড়া আর কিছু নেই। চিনিকলটি অলাভজনক হয়ে আছে অনেক বছর ধরে। কারখানার খামার বিভাগ সূত্র জানায়, এ প্রতিষ্ঠানের মোট জমির পরিমাণ নয় হাজার ১৬৮ বিঘা (তিন হাজার ৫৫ দশমিক ৮৪ একর)। এর মধ্যে চাষযোগ্য জমি সাত হাজার ৯২ বিঘা। এর মধ্যে প্রতিবছর প্রায় অর্ধেক জমি ইজারা এবং অর্ধেক কোম্পানি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চাষ করা হয়। গত বছর ইজারা দেওয়া হয় তিন হাজার ৪৯২ বিঘা। আর এ বছর ইজারা দেওয়া হয়েছে তিন হাজার ৬০০ বিঘা। আগামী বছরের জন্য নতুন করে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ইজারা হয় যে কারণে: বেশি দিন এক জমিতে আখ ভালো হয় না। তাই জমির ভারসাম্য রক্ষায় অন্য ফসল করতে হয়। এ কারণে এসব জমি স্থানীয় চাষিদের কাছে ইজারা দেওয়া হয়। ইজারার মধ্যে যাঁরা ১৮ মাসের জন্য ইজারা নেন, তাঁদের জন্য আখ চাষ বাধ্যতামূলক। আর যাঁরা চার, পাঁচ ও ছয় মাসের জন্য নেন, তাঁরা অন্য ফসল করতে পারেন। শর্তানুসারে মিলের জমিত্রেতামাক, পেঁপে, ভুট্টা ও কলা চাষ করা যায় না। অনিয়ম নেই!: কেরু কোম্পানির জমি ইজারা দেওয়ার আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়। তা ছাপাও হয় স্থানীয় পত্রিকায়। সাধারণ বিবেচনায় কোনো অনিয়মই নেই। তবে এ দরপত্রের ব্যাপারে সাধারণ কৃষকেরা কোনো তথ্যই পান না। অভিযোগ আছে, গোপনে এসব ইজারা হয়ে থাকে। তবে মিল কর্তৃপক্ষ গোপন বিজ্ঞপ্তির কথা অস্বীকার করেছে। অস্বীকার করলেও বাস্তবতা হলো, কয়েকজন ক্ষমতাশালী বছরের পর বছর কেরুর কয়েক হাজার বিঘা জমি ইজারা নিয়ে ভোগ করছেন। বিগত চারদলীয় জোট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ভোগ করতেন মূলত কেরু কোম্পানির সিবিএ নেতারা। বর্তমান সরকারের আমলে সিবিএ নেতাদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। একজন আল মামুন: সদর উপজেলার ছোট শলুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও কেরুর ইক্ষু উন্নয়ন সহকারী (সিডিএ) আবদুল্লাহ আল মামুন এখন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত বছর তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠান এম এ এ এম ট্রেডার্সের নামে নিয়েছেন ৩৪২ বিঘা। এ জমির পুরোটাই তিনি আবার ভাড়া দিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর অবৈধ দখল থেকে ১০০ বিঘা জমি উদ্ধার করা হয়েছে। অবৈধ দখলের বিষয়টি চিনি খাদ্য শিল্প সংস্থার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে বলে সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নজরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেরুর কর্মচারী মামুন ২০০৭ সালে সারাবেলা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রথমে তিন বছর মেয়াদে ২৮৫ বিঘা চাষযোগ্য ও ২১০ বিঘা বাগান করার যোগ্য জমি ইজারা নেন। এ জমি তিনি ভাড়া দেন। আর ইজারার বাইরে অনেক জমি দখল করেন। ২০০৮ সালে তিনি মিম এন্টারপ্রাইজের নামে ২১০ বিঘা জমি ইজারা নেন। এ প্রতিষ্ঠানটি তাঁর শ্যালক শামীম আহমেদের নামে। ওই সময় তিনি ৩৩ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখল করেন। এ ছাড়া সরকারি জমিতে ভুট্টার চাষ নিষিদ্ধ করা হলেও তিনি পুরো জমি ভুট্টার আবাদের জন্য বিঘাপ্রতি ১০ হাজার টাকায় ভাড়া দেন। কেরুর উপমহাব্যবস্থাপক (খামার) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, উচ্চপর্যায়ের একটি দল তদন্ত করে মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মামুন প্রথম আলোকে বলেন, জমি নেওয়ার সময় তিনি কেরুর কর্মচারী ছিলেন না। কর্মচারী হওয়ার পর আর জমি নেননি। জমি অবৈধ দখলে রাখার কথা অস্বীকার করে বলেন, মাপজোকে ভুল হওয়ার কারণে তাঁর শ্যালকের নামে কিছু জমি বেশি ছিল। সে জন্য তিনি বাড়তি টাকাও দিয়েছেন। মূল নিয়ন্ত্রণ কারা করেন: খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেরুর জমি ইজারা নিয়ন্ত্রণ করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ আলি আজগার টগর ও তাঁর লোকজন। সাংসদের অনুপস্থিতিতে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গোলাম ফারুক আরিফ এসব নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর সঙ্গে আছেন সাংসদের নিকটাত্মীয় ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী। তবে সদর আসনের সাংসদ ছোলাইমান হক জোয়ার্দার সেলুনের লোকজনও এটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। সর্বশেষ গত ২৭ জুলাই দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য দর্শনা, দামুড়হুদা ও চুয়াডাঙ্গায় পৃথক বাক্স রাখা হলেও সেখানে কেউ দরপত্র জমা দিতে পারেন না। দুই সাংসদের লোকজন এসব নিয়ন্ত্রণ করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দরপত্র জমা করা হয়। কিন্তু অনেকেই আর দরপত্র জমা দিতে পারেনি। সাংসদের ঘনিষ্ঠ গোলাম ফারুক আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন না। তবে সাংসদের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক আছে। এ ব্যাপারে সাংসদ আলী আজগারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি চীন সফরে আছেন। ইজারা পেয়েছেন যাঁরা খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে মোট ইজারা হয়েছে তিন হাজার ৬০০ বিঘা জমি। প্রভাবশালী ৩৮ জন এ জমি ইজারা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাংসদ আলী আজগারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মানিচেঞ্জার ব্যবসায়ী গোলাম ফারুক আরিফ একাই নিয়েছেন তিনটি খামারে ৩১৮ বিঘা। বিঘাপ্রতি তিন হাজার ৩৪৬ টাকা ৫৬ পয়সা দরে তিনি এ জমি ইজারা নেন। এম এম ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া হয় ১১৫ বিঘা। বিঘাপ্রতি দর মাত্র দুই হাজার ৫০৫ টাকা। জনৈক আবদুর রাজ্জাক নিয়েছেন ৪৬ বিঘা। খালিদ হোসেন নিয়েছেন ১৯ বিঘা। চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবির ঘোলদাড়ি বাণিজ্যিক খামারে ৮১ বিঘা জমি এক ফসলের জন্য ইজারা নেন এক হাজার ৬৮৬ টাকা ৮১ পয়সা দরে। যুবলীগের নেতার নামে ওই জমি বরাদ্দ যথাযথ নিয়ম মেনে না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন একই খামারের অন্য একজন ইজারাদার। বেগমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত ডিহি গ্রামের আবদুল মান্নান ৩২৭ বিঘা জমি ইজারা নেন। ইজারার জমি তিনি ভাড়া দিয়েছেন বছরে নয় হাজার টাকা বিঘায়। কেরু কোম্পানির চুক্তিভিত্তিক ট্রাক্টরের হেলপার ও বড় শলুয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম নিজের নামে নিয়েছেন ২৯১ বিঘা। তাঁর ছেলে আবদুল হালিমের নামে নিয়েছেন ১৮ বিঘা। বোয়ালিয়া ইক্ষু ক্রয়কেন্দ্রের পাহারাদার নেহালপুরের বাসিন্দা মুবারক হোসেন নিয়েছেন ১৯৮ বিঘা। হোগলডাঙ্গার যুবলীগ নেতা শাহীন নিয়েছেন ৯০ বিঘা, তিতুদহের যুবলীগ নেতা আজিজুল হক নিয়েছেন ৬০ বিঘা, সাবেক সিবিএ নেতা ওয়াহিদুর রহমানের ছেলে আলমগীর নিয়েছেন ৫১ বিঘা। আকন্দবাড়ি খামারের কেরানি দর্শনার বাসিন্দা বাবলুর রশিদ ইজারা নিয়েছেন ১১৭ বিঘা। আলমডাঙ্গার আওয়ামী লীগ নেতা বেলু চৌধুরী নিয়েছেন ১৮৯ বিঘা। প্রথম আলোকে তিনি জানান, এ জমি তিনি চাষিদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। কিছু জমি তাঁর ভাইয়েরা আবাদও করেছেন।</span><span class="Apple-style-span" style="background-color: rgb(255, 255, 255); "><div class="threeCol mb20 white" style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; width: 720px; overflow-x: hidden; overflow-y: hidden; background-image: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div class="pr20 white mb20" style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 20px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; background-image: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 15px; line-height: 20px; "><a href="http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-08-11/news/177258">http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-08-11/news/177258</a></div></div></div></span></div></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-42933315171429791372011-08-05T18:16:00.000-07:002011-08-05T18:17:32.512-07:00শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের দুর্নীতিবাজরা বেপরোয়া : ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা : গণধোলাই<span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">রিয়াজ চৌধুরী</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div>শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) দুর্নীতিবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী ঘুষের ৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে রক্ষা পেলেও সংস্থার সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) বিজয় কুমার ঘোষ গণধোলাই থেকে রেহাই পাননি। বেদম মার খেয়ে সোজা হয়ে হাঁটাই এখন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে না পেরে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতেই তিনিই সুখবোধ করছেন বলে জানা গেছে।<br />ইইডি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় নিজ দফতরে ঘুষ নিতে গিয়ে সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তার হাতে ধরা পড়েন বিজয় কুমার ঘোষ। এসময় গণধোলাইয়ের শিকার হন তিনি। পরে সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি সামাল দেন। জানা যায়, সম্প্রতি ৩৬ সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়। তাদের আবার ঢাকায় আনতে জনপ্রতি ৩০ হাজার টাকা (অগ্রিম ১৫ হাজার ছাড়াও কাজ শেষে ১৫ হাজার) ঘুষ দাবি করেন বিজয় কুমার ঘোষ। এদের একজনের কাছ থেকে অগ্রিম ১৫ হাজার টাকা নিতে গিয়ে অন্য কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এর পরই শুরু হয় গণধোলাই। ধোলাই থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি পালানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাতে কোনো ফায়দা হয়নি।<br />এর আগে গত জুন মাসে সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মিজানুল করিম এক ব্যক্তির কাছ থেকে নেয়া ঘুষ ৫ লাখ টাকা ফেরত দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মিজানুল করিম এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেন। পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ পাইয়ে দেয়ার নাম করে তিনি এ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু লোকটি কাজ না পাওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নালিশ করেন। পরে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ওই ব্যক্তিকে ঘুষের ৫ লাখ টাকা ফেরত দেন তিনি।<br />শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ইইডি’র এ দুই কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, টেন্ডারবাজদের সঙ্গে সখ্য এবং দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অসংখ্য অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা বহাল তবিয়বে রয়েছেন। শিক্ষা প্রশাসনের প্রভাবশালী দুই সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়ায় সংস্থায় তাদের দাপটের অন্ত নেই। তারা ইইডিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। যারা বেশি দুর্নীতি করতে পারে তাদেরই যোগ্য বলে ধরা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সংস্থার প্রধান প্রকৌশলীর পদটি আগামী ২২ আগস্ট শূন্য হচ্ছে। সংস্থার বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মিজানুল করিমের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি তৃতীয় বারের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন। এরই মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিতর্কিত চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল হুদা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মিজানুল করিমকে তৃতীয় বারের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। জানা যায়, মিজানুল করিম ২০০৭ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন। পরে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট তিনি প্রধান প্রকৌশলীর পদে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ শেষ হলে কিছুদিন ওই পদ শূন্য থাকে। কিন্তু তিনি ওই পদে কাউকে বসতে দেননি। পরে প্রভাবশালীদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে ২২ আগস্ট আরও একজন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আনেন।<br />সংস্থার সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) বিজয় কুমার ঘোষের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণধোলাইয়ের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, দু’মাস আগে ৩৬ জনকে বদলি করা হয়েছে। তারা বৃহস্পতিবার আমার কাছে এসে দাবি করে, তাদের ঢাকায় আনতে হবে। আমি তাদের বলেছি, প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে। তাদের মধ্যে কয়েকজন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, আমি কারও কাছ থেকে ঘুষ নেইনি। এটা আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র।<br />সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মিজানুল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার দেশকে বলেন, বৃহস্পতিবার আমি অফিসে ছিলাম না। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে মিটিং ছিল। সেখানে গিয়েছিলাম। বিজয় কুমারের বিষয়টি নিয়ে আমি এখনও ক্লিয়ার নই। তাছাড়া শুক্রবার ও শনিবার অফিস বন্ধ। রোববারে অফিসে গেলে বিষয়টি ক্লিয়ার হওয়া যাবে।</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/06/97563">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/06/97563</a></div></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-22751794240773861742011-07-20T08:10:00.000-07:002011-07-20T08:12:03.284-07:00সরকারি প্রকল্পের টাকা যাচ্ছে আ’লীগ নেতাকর্মীদের পকেটে<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiRqa-V_d-8b0HKaOtovhBdUxMsubVTjcZW0X0YOIUC_XkLabB1BZxOp3LRVu6BMrhuh3uBfRwUUz3wLPDm3d9XOQ2M1xd-EepbyObxSa5N8Sy6ZFl_L3NR_DvXV02TBb0oK-m-vV_r8l6f/s1600/ab_sorkari.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 237px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiRqa-V_d-8b0HKaOtovhBdUxMsubVTjcZW0X0YOIUC_XkLabB1BZxOp3LRVu6BMrhuh3uBfRwUUz3wLPDm3d9XOQ2M1xd-EepbyObxSa5N8Sy6ZFl_L3NR_DvXV02TBb0oK-m-vV_r8l6f/s400/ab_sorkari.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5631452492117104898" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); ">ডেস্ক রিপোর্ট</div><div>বিভিন্ন স্থানে সরকারি প্রকল্পের টাকা, গম ও চাল নিয়ে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। কাগজে প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করা হলেও বাস্তবতার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি এসব প্রকল্পের টাকা যাচ্ছে আ’লীগের নেতাকর্মীদের পকেটে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, টিআর প্রকল্প ও কাবিখা প্রকল্পসহ সরকারি সব ধরনের প্রকল্পেই এই দুর্নীতি ও লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিস্তারিত খবর পাঠিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।<br />বাগেরহাট : বাগেরহাট সদর উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ করা গাভী ক্রয়ের টাকার অর্ধেক দামে ক্রয় করা হয়েছে। বাকি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। গত শনিবার এ প্রকল্পের সাড়ে তিন শতাধিক সুফলভোগীর মধ্যে গাভী, টিন, গাছের চারা ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ উপকরণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা। জেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা শান্তিরাম দত্ত জানান, গত ৩০ জুন সদর উপজেলার ৭০ জন সুফলভোগীকে ১৯ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয় গাভী ক্রয়ের জন্য। এর আগে আরও ৩০ জনকে একই পরিমাণ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ১২০ জনকে বীজ, ৯০ জনকে ২১টি করে গাছের চারা, ১৩০ জনকে হাঁস, ১৪ জনকে টিনসহ মোট ৩৮৪ জনকে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়, যা দিয়ে সুফলভোগীরা ক্রমেই স্বাবলম্বী হবেন।<br />সরেজমিন শনিবার গাভী ও টিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সময় টাকাপ্রাপ্তরা যে গাভী এনেছেন তা ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ক্রয় করা গাভী। বরাদ্দকৃত বাকি টাকার কোনো হদিস নেই। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ ২০ হাজার টাকা। এ থেকে ভ্যাট বাদ দিয়ে প্রত্যেককে ১৯ হাজার টাকা করে দিয়ে তাদের গরু কেনার জন্য বলা হয়েছিল। সুফলভোগীরা নিজেদের পছন্দমত গাভী কিনেছেন। এ ক্ষেত্রে কেউ কেউ হয়তো কিছু কম দামে গাভী কিনতে পারেন। বাকি টাকা তারা নিজেদের কাজেই ব্যবহার করেছেন। এ ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা অর্থের কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি বলে তিনি জানান।<br />কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প সচিব ও পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই প্রকল্পের প্রতিটি উপকারভোগী সদস্যের মধ্যে ২০ হাজার টাকার সমমূল্যের গাভী (গরু) ক্রয় এবং উন্নতমানের ঢেউটিন ক্রয় করে বিতরণ করার কথা থাকলেও ওই প্রকল্প কর্মকর্তা তা করেননি। ওই প্রকল্প কর্মকর্তা একটি বাড়ি একটি খামারের বরাদ্দ করা অর্থ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা আত্মসাত্ করেছেন বলে উপকারভোগীরা একাধিক অভিযোগ করেছেন। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপকারভোগী সদস্য ও পল্লী উন্নয়ন অফিস থেকে জানা গেছে, সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল কবীর মুরাদকে আহ্বায়ক ও পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। প্রকল্প সচিব রেজাউল করিমের একক সিদ্ধান্তে নিজের লোকজন দিয়ে গত এপ্রিল মাসে সরকারের বরাদ্দ করা টাকা থেকে প্রতি গাভী (গরু) ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকায় ক্রয় করে ৩০টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। পরে ওই প্রতিটি গাভী (গরু) ১৯ হাজার ২০০ টাকা ভাউচার করে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় মিটিংয়ে পেশ করলে সভার অন্য সদস্যরা প্রতিবাদ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল কবীর মুরাদ জানান, ভ্যাট বাদে ১৯ হাজার ২০০ টাকার নিচে ক্রয়কৃত গরুর মালিককে বাকি অর্থ বিতরণ করার জন্য প্রকল্প সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।<br />নরসিংদী : নরসিংদীর শিবপুরে টিআর প্রকল্পে চলছে লুটপাট। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ১৪৪টি প্রকল্পের বিপরীতে ১৮৭ টন গম ও ২৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ৪৮টি প্রকল্পের বিপরীতে ৮৭ টন গম এবং সংসদ সদস্য বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে ৯৬টি প্রকল্পে ১০০ টন গম ও ২৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিবপুর পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ, সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, সমবায় সমিতি, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়, শ্মশানঘাট, মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের নামে গত অর্থবছর প্রায় ১৬ লাখ টাকা মূল্য মানের ১০০ টন গম গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের (টিআর) জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব বরাদ্দ উত্তোলনের শেষ তারিখ ছিল গত ২৭ জুন, যা এরই মধ্যে দলের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ করা হয়নি বলেও জানা গেছে।<br />শিবপুর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের নামে পাঁচ টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন তো দূরের কথা, বরাদ্দের ব্যাপারে মসজিদ কর্তৃপক্ষ অবগত নন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর মৃধা নামের এক ব্যক্তিকে দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে শিবপুর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন খান সেজু বলেন, এ মসজিদের নামে বরাদ্দ দেয়ার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। আর মসজিদের উন্নয়নের নামে কোনো বরাদ্দ পায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন মসজিদের ইমাম মো. আশরাফ আলী। জাহাঙ্গীর মৃধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঙ্গুর মৃধার ছোট ভাই। তিনি বলেন, ‘আমি মসজিদ কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই, বাজারে ব্যবসা করি। আমি মসজিদের কোনো টিআর উত্তোলন করিনি। দত্তেরগাঁও মধ্যপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ উন্নয়নের নামে দুই মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যার প্রকৃত চেয়ারম্যান হচ্ছেন হান্নান খান, কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ উত্তোলন করা হয়েছে আবদুল হাই নামের এক ব্যক্তির নামে।’ এ ব্যাপারে নরসিংদী-৩ আসনের (শিবপুর) স্থানীয় সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভুঞা মোহন বলেন, এটা তো আসলে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা করেন। হয়তো ভুল হতে পারে। পরে এটা সংশোধনের ব্যবস্থা করব। এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছোট ভাই জোনায়াইদ হোসেন ভুঞা জুনু বলেন, সব সরকারের আমলেই টিআরের কিছু অংশ স্থানীয় নেতাকর্মীদের ঘরে যায়, কিন্তু এবার যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে বিতরণ করা হয়েছে।<br />এ প্রসঙ্গে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবদুস সাত্তার খান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের তালিকা ও প্রকল্প কমিটি মোতাবেক টিআর বিতরণ করা হয়েছে। টিআর ও কাবিখা পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রধানও তিনি। সুতরাং এগুলো দেখার দায়িত্বও তার। জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বাবু সূর্যকান্ত দাস বলেন, টিআর ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মোটাতাজা করার প্রকল্পে রূপান্তরিত হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকর্তারা টিআরে অনিয়মের দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।<br />ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) : ভুরুঙ্গামারীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিন দিনের মধ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ করে তার দফতরকে অবহিত করার নির্দেশ দিলেও অদ্যাবধি অধিকাংশ প্রকল্পের কাজের সিকি ভাগও হয়নি। কিন্তু প্রকল্প কমিটি রেজুলেশন করে জানিয়ে দিয়েছে প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। গত ৩০ জুন টাকা উত্তোলনের আগেই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসাররা সন্তোষজনক কাজ হয়েছে মর্মে মাস্টাররোলে স্বাক্ষর করার পরই পিআইও অফিস থেকে খাদ্যশস্য ও অর্থের চেক প্রদান করা হয় প্রকল্প চেয়ারম্যানদের নামে। ডিও এবং চেকে স্বাক্ষর নিয়ে প্রকল্প চেয়ারম্যানদের পরে টাকা বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান জানিয়ে দেন।<br />জলঢাকা (নীলফামারী) : নীলফামারীর জলঢাকায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চলছে লুটপাট। ১ম পর্যায়ে উপজেলার শিমুলবাড়ী, শৌলমারী, ডাউয়াবাড়ী ও কৈমারী—এই ৪টি ইউনিয়নের প্রতিটি সমিতির ৬০ জন করে সদস্য বিভিন্নভাবে বরাদ্দ পান।<br />এর মধ্যে প্রতি সমিতির ১০ সদস্য ১টি করে গরু, ১০ সদস্য ২ বান্ডিল করে টিন, ১০ সদস্য হাঁস-মুরগির খামার ও বাকি ৩০ জন সদস্য ১ হাজার করে টাকা বৃক্ষ রোপণ ও সবজি বাগানের জন্য বরাদ্দ পাচ্ছেন। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক নিযুক্ত প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বাজার থেকে গরু ও টিন ক্রয় করেন। আর এ সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে অতি কম মূল্যে রুগ্ণ কঙ্কালসার গরু ও কম দামি টিন ক্রয় করে সুবিধাভোগীদের ধোঁকা দেয়া হচ্ছে<br />।</div><div><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/07/20/93866">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/07/20/93866</a></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-19822876383165878732011-07-09T02:34:00.000-07:002011-07-09T02:36:38.576-07:00দুর্নীতি : সড়ক ও রেল খাতে অর্থ দিতে চায় না বিশ্বব্যাংক<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiOQw6oXeUYOqMuzHYscy5Ke_G8KGek4c5mGzXRRHNJinxE6r0QAw_mewRKHKhITZLVfcVtM6u9P2uYd3En2i8RAJ9wi121-F1JDCNS1uIq2bbLlF9oHZ2aUYMluuJIbHqzjaBD1H_n2uos/s1600/P1_durniti-sorok-o-rail.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 200px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiOQw6oXeUYOqMuzHYscy5Ke_G8KGek4c5mGzXRRHNJinxE6r0QAw_mewRKHKhITZLVfcVtM6u9P2uYd3En2i8RAJ9wi121-F1JDCNS1uIq2bbLlF9oHZ2aUYMluuJIbHqzjaBD1H_n2uos/s400/P1_durniti-sorok-o-rail.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5627284109580619682" /></a><br /><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">কাদের গনি চৌধুরী</span></div><div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">দুর্নীতির কারণে সড়ক এবং রেল উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে প্রতিশ্রুত অর্থ দিতে চাইছে না বিশ্বব্যাংক। ফলে ৩০টিরও বেশি প্রকল্প অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বার বার চেষ্টা করেও অর্থছাড় করানো সম্ভব হয়নি। এমন একটি প্রকল্প হচ্ছে রেলওয়ের ‘আখাউড়া- লাকসাম সেকশন ডাবল লাইন নির্মাণ’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে। কিন্তু এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক এ খাতে প্রতিশ্রুত অর্থ দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সড়ক ও রেল বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান এম. এমদাদুল হক সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়াকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে মডার্নাইজেশন’ শীর্ষক আমব্রেলা প্রকল্পের আওতায় ‘আখাউড়া-লাকসাম সেকশন ডাবল লাইন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাংক থেকে ২২ মে ২০১১ তারিখের চিঠিতে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে মডার্নাইজেশন’ প্রকল্পটির জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন সম্ভব হবে না মর্মে অবহিত করে এর যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। এ অবস্থায় ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনটি সম্পূর্ণ ডাবল লাইনে উন্নীত করার গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রকল্পটির জন্য অন্য কোনো আগ্রহী দাতা সংস্থার অর্থায়ন সংগ্রহের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রস্তাব পেশ করেছে। গত ৯ জুন চিঠিটি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিবের হস্তগত হয় বলে সূত্র জানায়। রেলওয়ে সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের জন্য ৮০০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। </span></div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">রেলওয়ের আরেকটি প্রকল্প ছিল ধীরাশ্রম (টঙ্গী) আইসিডি উন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রকল্পটিও বাস্তবায়নের কথা ছিল বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক এ খাতেও প্রতিশ্রুত অর্থ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প নেয়া হয় বিশ্বব্যাংকের অর্থ সাহায্যে। ৮৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য বিশ্বব্যাংক ৮শ’ কোটি টাকাও দেয়। পরবর্তী সময়ে শুরুতেই দুর্নীতি দেখে বিশ্বব্যাংক এ টাকা ফিরিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, এ প্রকল্পের জন্য ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয় পরামর্শকের পেছনে। এ অর্থ বিশ্বব্যাংকের দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">বিশ্বব্যাংক অর্থ প্রত্যাহার করে নেয়ায় সরকার নিজস্ব ৯০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ হাতে নেয়। কাজ শেষ করার জন্য ৩০ মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়। এর মধ্যে ৬ মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু কাজের তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। এমনকি চার অংশে বিভক্ত এই কাজের তিনটি অংশের কাজে হাতই দেয়া হয়নি। রায়মনি থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ২৭ দশমিক ৩২৯ কিলোমিটার অংশে ৩টি সেতু, ৩৫টি বক্স কালভার্ট, ২টি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের কথা। কয়েকটি স্থানে পাইলিং কাজ হচ্ছে ধীর গতিতে। কোথাও কোনো মালামাল নেয়া হয়নি। জয়দেবপুর থেকে রাজেন্দ্রপুর অংশে ১২ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার কাজে এখনও হাত দেয়নি ঠিকাদার। সালনা রেলওয়ে ওভারব্রিজ, ২৬টি বক্স কালভার্ট নির্মাণের কাজ জরুরি হলেও সার্ভের কাজই এখনও শেষ করা হয়নি। যন্ত্রপাতি ও মালামাল নেয়া হয়নি। গাছ অপসারণের কাজেও হাত দেয়া হয়নি। অথচ সওজ কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারকে অর্থের ৬০ শতাংশ অগ্রিম পরিশোধ করে দিয়েছে। রাজেন্দ্রপুর থেকে মাওনা অংশে ১৭ দশমিক ৬০ কিলোমিটারের কাজও শুরু হয়নি। তারা এখনও বেইজ ক্যাম্প স্থাপন, সড়ক সার্ভে ও গাছ অপসারণের কাজ করেনি। একমাত্র মাওনা থেকে রায়মনি পর্যন্ত ২৯ দশমিক ৬০ কিলোমিটার অংশের কাজ শুরু করা হযেছে। চারটি অংশে বিভক্ত এই কাজে নিয়োজিত চারজন ঠিকাদারের প্রত্যেককে ষাট শতাংশ অর্থ অগ্রিম দেয়ার পরও কাজের হতাশাজনক অগ্রগতিতে মন্ত্রণালয় থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করে সওজ কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার ও সওজের ইঞ্জিনিয়ারদের যোগসাজশেই কাজে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা ও দেশের অন্যান্য স্থানের সড়ক যোগাযোগ সহজতর ও উন্নত করার জন্যই প্রকল্পটি নেয়া হয়। প্রকল্পটির গুরুত্ব বিবেচনায় বিশ্বব্যাংক অর্থায়নে এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু এ প্রকল্পের টেন্ডার নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারের একটি প্রভাবশালী মহলকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে এ কাজ বাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়ায় বিশ্বব্যাংক তাদের অর্থ ফিরিয়ে নেয় বলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">এদিকে বহুল আলোচিত পদ্মাসেতু নির্মাণ নিয়েও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে সরকারের। সম্প্রতি যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন অর্থমন্ত্রীকে লিখা তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ আনেন। আবার বিশ্বব্যাংক প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিক স্বচ্ছতা দাবি করেছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ায় এ পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে প্রতিশ্রুত প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা দিতে বিশ্বব্যাংক অপারগতা প্রকাশ করেছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত হওয়া সাপেক্ষেই তারা এ খাতে ঋণ দেয়ার কথা বলেছে। এর ফলে বিভিন্ন অঞ্চল ও জেলার আওতায় সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে ৩০টিরও বেশি প্রকল্পে অর্থ ছাড় করাই সম্ভব হয়নি।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">এদিকে অর্থের অভাবে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সড়ক উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা এবং এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযুক্তির জন্য জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করাসহ ২৫টি প্রকল্প রয়েছে এ মহাপরিকল্পনায়। বার বার উপস্থাপন করা হলেও এসব প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহ দেখাচ্ছে না বিশ্বব্যাংকসহ অন্য উন্নয়ন সহযোগীরা। এদিকে মহাপরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্পও ফাইলবন্দি হয়ে আছে। এ কারণে ২৬ জুন ঘটা করে উদ্বোধন করা হলেও সুলতানা কামাল সেতু দিয়ে অবাধে চলাচল করতে পারছে না পর্যাপ্ত যানবাহন।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সূত্রে জানা গেছে, ১৭টি জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করাসহ ২৫টি প্রকল্পের পরিকল্পনা হাতে নেয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। সওজ তার ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২৫০ প্রকল্পের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ ২৫ প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে এ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর থেকেই সরকার প্রকল্পগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে অর্থায়নের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে যাচ্ছে। জানা গেছে, বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশে সড়ক ও সেতু প্রকল্পে অর্থ সাহায্য দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন ফোরামের বৈঠকে এসব প্রকল্পে অর্থ চাওয়া হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ কারণে এসব প্রকল্প নিয়ে বিপাকে রয়েছে কর্তৃপক্ষ।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, ১৭ প্রকল্পের মধ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও বহদ্দারহাট-তৃতীয় কর্ণফুলী সংযোগ সড়ক চার লেন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এছাড়া নবীনগর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অন্যগুলোর মাঠপর্যায়ে উন্নয়ন প্রকল্প ছক (ডিপিপি) তৈরির কাজ শেষ হওয়ার পথে। অনেক প্রকল্পে আবার সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রাথমিক প্রস্তাবনা তৈরির কাজ চলছে। মূল্যায়নের জন্য এগুলো যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">জানা গেছে, ১৭ জাতীয় মহাসড়কের মধ্যে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা, গাজীপুর-আজমতপুর-ইটাখলা, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড ও ফরিদপুর-বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের ডিপিপি তৈরির কাজ মাঠপর্যায়ে শুরু হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই ডিপিপি তৈরি হবে ময়মনসিংহ-জামালপুর-শেরপুর, দৌলতদিয়া-মাগুরা-খুলনা, হাটিকামরুল-রংপুর, খুলনা-মংলা সড়কের। টঙ্গী-জয়দেবপুর, হাটিকামরুল-বনপাড়া-রাজশাহী, কাঁচপুর-সিলেট-তামাবিল, বনপাড়া-ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ-যশোর সড়কেরও ডিপিপি তৈরির প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সওজের একটি সূত্র জানায়, এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতেই এসব জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ৪ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ-এশীয় অঞ্চলের সহ-সভাপতি ইসাবেল গুয়েরেরো অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে করে বাংলাদেশের সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করে এই খাতে তারা আর বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নয় বলে জানিয়ে দেন। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div style="text-align: justify;">তবে বিশ্বব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের নৌ খাতের উন্নয়নে সহায়তা দিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ করার পর অর্থমন্ত্রী বলেন, এসব দুর্নীতির সঙ্গে বিশ্বব্যাংকও জড়িত। কারণ তারা এসব কাজ অনুমোদন করেছে। এরপরও বিশ্বব্যাংককে এই খাতে অর্থায়ন করার আহ্বান জানান তিনি।</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="text-align: justify;margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/07/09/91921">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/07/09/91921</a></div></li></ul></div></span></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-27862494748254615402011-06-29T09:02:00.000-07:002011-06-29T09:03:56.041-07:00ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে চরম দলীয়করণ<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjzBzn4RHB4tcUCkvH0xgoeEjDZDcZ6uqvU2sTrc7fgUq-HQOlOUYYLLk0rxq-u2hkPXLwPLqkrxTYLE9hDWauucCJt2zysIb-2HNgeGIJ4sHelQNsv6tYHyVkX-VfEdNkxZl8VGsLFRnwz/s1600/P1_dhaka-biswabiddaloye-shi.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 205px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjzBzn4RHB4tcUCkvH0xgoeEjDZDcZ6uqvU2sTrc7fgUq-HQOlOUYYLLk0rxq-u2hkPXLwPLqkrxTYLE9hDWauucCJt2zysIb-2HNgeGIJ4sHelQNsv6tYHyVkX-VfEdNkxZl8VGsLFRnwz/s400/P1_dhaka-biswabiddaloye-shi.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5623673074213539186" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "></h1></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); ">আসাদুজ্জামান সাগর</div></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত আড়াই বছরে ১৯০ জন শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব নিয়োগের বেশিরভাগই হয়েছে দলীয় বিবেচনায়। আর এটা করতে গিয়ে প্রকৃত মেধাবীদের ‘বঞ্চিত’ করা হয়েছে। প্রাধান্য পেয়েছেন তুলনামূলক কম মেধাবীরা। এমন ঘটনাও রয়েছে—অনার্স-মাস্টার্সসহ শিক্ষাজীবনের সব পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীপ্রাপ্ত প্রার্থী থাকার পরও দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৩২তম স্থান, বিএফএ-এমএফএ পাস প্রার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী হওয়ার বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী-এমপি, স্পিকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পুত্র-কন্যা, জামাই ও আত্মীয়দের নিয়োগ দেয়া হয়। এসব নিয়োগে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ’৭৩-এর আদেশ পর্যন্তও লঙ্ঘিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট, শিক্ষক সমিতি-ডিনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটের রাজনীতিতে এগিয়ে থাকতেই নিয়োগে এমন স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণ করা হয়েছে। এ কারণে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষক নয়, ভোটার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">জানা গেছে, নিয়োগে বিভিন্ন নেতিবাচক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নানা সময়ে সিলেকশন বোর্ডের সদস্য, ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য, বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশেষজ্ঞ সদস্যরা এর প্রতিবাদ করেছেন—দিয়েছেন ‘নোট অব ডিসেন্ট’। বঞ্চিত অথচ মেধাবী ও যোগ্য একাধিক প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিকার চেয়েছেন। দুই বঞ্চিত প্রার্থী ন্যায়বিচার পেতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা পর্যন্ত ঠুকে দিয়েছেন। শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনকে স্মারকলিপি, মানববন্ধন, প্রচারপত্র বিলি এবং প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে কৈফিয়ত তলব করার ঘটনাও রয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">এদিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সেরা মেধাবীদের বঞ্চিত করায় প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘ মেয়াদে একাডেমিক ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশিষ্টজনরা। নাম প্রকাশ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর ইমেরিটাস বলেন, এর ফলে দেশ ও জাতি একদা দিকনির্দেশনাহীন হয়ে পড়বে। বুদ্ধিবৃত্তির জগতে সৃষ্টি হবে দেউলিয়াপনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও লোকপ্রশাসনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আকা ফিরোজ আহমদ বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একসময় ভারসাম্যহীন হয়ে পড়তে পারে। তখন গোটা জাতিরাষ্ট্রই ধ্বংসের সীমানায় দাঁড়াবে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">নিয়োগে অনিয়ম আর দলীয়করণের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রোভিসি এবং প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক নিয়োগে সিলেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, এ সবই গতানুগতিক অভিযোগ। মন্ত্রী, এমপি, শিক্ষক বা অন্য কারও বাবার পরিচয় কখনোই নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা-অযোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারে না। একজন যদি যোগ্য হয় আর তাকে বাবার বা দলীয় পরিচয়ের কারণে বাদ দেয়া হয় তাহলে সেটা হবে অন্যায় এবং মৌলিক মানবাধিকার পরিপন্থী। নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত মেধা আর যোগ্যতার বিবেচনা করা হয়। বেশিরভাগ নিয়োগই এই মৌলিক শর্ত মেনে করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছেন। ভোটের রাজনীতিকে সামনে রেখে ভোটার নিয়োগের অভিযোগ নিতান্তই গতানুতিক। বরং এই অভিযোগটিই দলীয় বিবেচনাপ্রসূত।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের এই ১৯০ শিক্ষক নিয়োগে নানা নিয়ম-অনিয়মের ব্যাপারে আমার দেশের পক্ষ থেকে নিজস্ব অনুসন্ধান চালানো হয়। এছাড়া এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য, বিভাগের চেয়ারম্যান, সিলেকশন কমিটির বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের অভিযোগও পাওয়া গেছে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">চারুকলা অনুষদ : বর্তমান প্রশাসনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে চরম দলীয়করণ ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৭ বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৭ প্রভাষকের ১৫ জনই তুলনামূলক কম যোগ্য, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নেতাকর্মী এবং বিশেষ বিশেষ অঞ্চলের। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতির দফতর এ অভিযোগ আমলে নিয়েছে। বঙ্গভবনের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সম্প্রতি দু’দফা কৈফিয়ত তলব করেছে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এ অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগে ২ জন প্রভাষক পদে আবেদন করেছিলেন ১০ প্রার্থী। তাদের মধ্যে নিয়োগ কমিটির তালিকায় প্রথম ২ জন মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ও মো. আতিকুল ইসলামের অনার্স-মাস্টার্সসহ তিনটিতে প্রথম শ্রেণী ছিল। তাদের বাদ দিয়ে নেয়া হয়েছে তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ নম্বরে থাকা নাসিমুল কবির ও নাসিমা হক মিতুকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তারা এসএসসি ও এইচএসসিতে দ্বিতীয় শ্রেণী এবং পাস কোর্সে ডিগ্রি এবং প্রিলিমিনারি মাস্টার্স পাস। অবশ্য ডিগ্রি ও মাস্টার্সে তাদের প্রথম শ্রেণী রয়েছে। বিভাগের শিক্ষক ও নিয়োগ প্রার্থীদের অভিযোগ, অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণী পাওয়া প্রার্থী থাকার পরও ডিগ্রি পাস প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে জঘন্য ঘটনা। ওই নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে তিনটিতে প্রথম শ্রেণী পাওয়া এবং ১৯টি পদক পাওয়া প্রার্থী মাহমুদুল হাসান হাইকোর্টে রিট করেছেন। আগামী ১০ আগস্ট এর আদেশ হবে বলে তিনি জানান। এদিকে ওই নিয়োগের বিরোধিতা করে ২৯ জুলাই সিন্ডিকেটের চার সদস্য আপত্তিপত্র দিয়েছেন।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগে ৩ প্রভাষক ও ১ সহকারী অধ্যাপক নিয়োগে প্রার্থীদের যোগ্যতা ও মেধার মূল্যায়ন হয়নি। গুরুত্ব পেয়েছে দলীয় পরিচয়। সিলেকশন কমিটির তালিকার ৩৫ জনের মধ্যে ১ থেকে ৬ নম্বর পর্যন্ত প্রার্থীর এসএসসি, এসএইচসি, অনার্স ও মাস্টার্স—৪টিতেই প্রথম শ্রেণী ছিল। তালিকার ৪ ও ৫ নম্বরে থাকা প্রার্থী সবগুলোতে প্রথম শ্রেণী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ছিলেন। কিন্তু তালিকাবঞ্চিত করে ক্রমিকের ৭ নম্বরের প্রার্থী সহিদ কাজী, ৮ নম্বরে থাকা প্রার্থী আবদুস সাত্তার এবং ৩৩ নম্বরের প্রার্থী দুলাল চন্দ্র গাইনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তালিকার ৩৩ নম্বরে থাকা প্রার্থী দুলাল চন্দ্র গাইনের শিক্ষাজীবনের তিনটিতে দ্বিতীয় শ্রেণী। শুধু মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণী রয়েছে। দুলাল চন্দ্র গাইন ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এ অনুষদের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ৭ নম্বরে থাকা প্রার্থী সহিদ কাজী এবং ৮ নম্বরে থাকা প্রার্থী আবদুস সাত্তারের শিক্ষাজীবনে তিনটি প্রথম শ্রেণী রয়েছে। জানা যায়, দুলাল চন্দ্র গাইন বর্তমান সরকারের সময় কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই ময়মনসিংহের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ পান। নিয়োগ কমিটির প্রার্থীদের তালিকায় দুলাল চন্দ্র গাইন আবেদনের সময় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অভিজ্ঞতার কথা গোপন করেন। তাছাড়া অন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হলে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রার্থী চাকরি করেন তার অনুমতির প্রয়োজন হয়। তিনি সে অনুমতিও নেননি। ২০১০ সালের ২৯ জুলাই সিন্ডিকেট সভায় ওই নিয়োগের বিরোধিতা করে চার সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক লুত্ফর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক মঈনুল ইসলাম ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেন। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">এছাড়া এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগে এক প্রার্থীকে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত করে অন্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়। ওই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ ফারুক হাইকোর্টে রিট করেছেন। বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">প্রিন্ট মেকিং বিভাগে ২ জন প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৭ যোগ্য প্রার্থীকে একইভাবে বঞ্চিত করা হয়। এসএসসি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত ৪টিতে প্রথম শ্রেণী পাওয়া ২ প্রার্থী এবং ৩টি প্রথম শ্রেণী পাওয়া ৬ জনের মধ্যে সবগুলোতে প্রথম শ্রেণী পাওয়া আসমিতা আলম শাম্মীকে নেয়া হলেও বাকি যোগ্যদের বাদ দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় জন নেয়া হয়েছে ৩টি দ্বিতীয় শ্রেণী পাওয়া প্রার্থী নাজির হোসেন খানকে। তিনি চারুকলা অনুষদের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ওই নিয়োগের সময় সিলেকশন কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল হক এ নিয়োগের চরম বিরোধিতা করেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু দলীয় বিবেচনায় নাজির হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ নিয়োগের বিরোধিতা করে বিভাগের চেয়ারম্যান ও আমি সভা ত্যাগ করেছিলাম।’</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের নিয়োগ নিয়েও সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩ জনের মধ্যে চারটি প্রথম শ্রেণী পাওয়া ভদ্রেশু রিটাকে নেয়া হয়। বঞ্চিত করা হয়েছে দুই যোগ্য প্রার্থীকে। প্রার্থী বিপ্লব কুমার মজুমদারের ৪টি প্রথম শ্রেণী থাকলেও তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। সেখানে নেয়া হয়েছে তিনটিতে প্রথম শ্রেণী পাওয়া সীমা ইসলাম এবং দুটিতে দ্বিতীয় শ্রেণী পাওয়া হারুন-অর-রশীদকে। সীমা ইসলাম ছাত্রলীগ রোকেয়া হল শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সিলেকশন বোর্ডে সীমা ইসলামের প্রার্থী বিবরণীতে লেখা ছিল, তিনি অসত্য তথ্য ব্যবহার করেছেন। এ নিয়োগের চরম বিরোধিতা করে সিন্ডিকেট সদস্য তাজমেরী এসএ ইসলাম বলেন, যোগ্য প্রার্থীদের নেয়ার জন্য সুপারিশ করা হলেও তা আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে সিন্ডিকেটের চার সদস্য আপত্তিপত্র দিয়েছিলাম। কিন্তু সিন্ডিকেট সভাপতি ও ভিসি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ওই নিয়োগ দিয়েছেন। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">প্রাচ্যকলা বিভাগে বিজ্ঞাপনের শর্ত লঙ্ঘন করে যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে হিন্দু প্রার্থী কান্তি দেব অধিকারী ও গোপাল চন্দ্র ত্রিবেদীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছেন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক মাসুদা খাতুন জুঁই। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">কারুশিল্প বিভাগে এক মেধাবীকে বঞ্চিত করে ফারহানা ও জাহাঙ্গীরকে নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের চেয়ে বঞ্চিত তরুণ নামে প্রার্থী অপেক্ষাকৃত মেধাবী ছিলেন। মৃিশল্প বিভাগে ২ প্রভাষক নিয়োগে মেধার পাশাপাশি দলীয় বিবেচনার বিষয়টি তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের কৈফিয়ত তলব : গত বছর ১১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে প্রভাষক পদে নিয়োগে অনিয়ম’ শিরনামপত্রে অভিযোগের কৈফিয়ত তলব করা হয়। ওই তলবের পর তিন মাস পার হলেও মঞ্জুরি কমিশন ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয় কোনো জবাব না পেয়ে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি ফের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে কৈফিয়ত তলব করেছে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">কলা অনুষদ : কলা অনুষদের ১৩ বিভাগে ৩৮ প্রভাষক ও ৩ সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা বিভাগে ৪, পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজে ২, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে ৫, আরবিতে ৫, ইতিহাসে ২, ফারসি ভাষা ও সাহিত্যে ১, ইংরেজিতে ২, সঙ্গীতে ২, ভাষাবিজ্ঞানে ৩, বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতিতে ১, ইসলামিক স্টাডিজে ২, দর্শনে ৫ এবং নাট্যকলায় ৪ জন। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে নিয়োগ পাওয়া ৩ প্রভাষকের মধ্যে খন্দকার খায়রুন্নাহার নামে জনৈক প্রার্থীর নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রেও যোগ্যদের বঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজে জগন্নাথ বড়ুয়াকে বঞ্চিত করে নীরু বড়ুয়াকে নেয়া হয়েছে। নীরু বড়ুয়া ওই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিমান চন্দ্র বড়ুয়ার স্ত্রী। যার অনার্সে মাত্র ৪৬ শতাংশ নম্বর রয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে মামুনুর রশীদ, আবু সাঈদের মতো বেশ ক’জন প্রথম শ্রেণীতে প্রথম প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও তাদের বাদ দিয়ে অনার্সে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৩২তম স্থান পাওয়া মো. আবদুর রহিমকে নেয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি আবার সহকারী অধ্যাপক পদে প্রমোশনও পেয়েছেন। ১৯৯৬ সালে তিনি অনার্সে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৩২তম এবং ১৯৯৭ সালে মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণী পেয়েছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, শুধু দলীয় পরিচয় না থাকায় মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীরা বাদ পড়েছেন। ওই নিয়োগের প্রতিবাদে সিলেকশন বোর্ডে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছিলেন।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ইতিহাস বিভাগে ফলাফলের দিক থেকে বেলাল হোসেন ও নাসির উদ্দিন এই ২ জনকে বঞ্চিত করে রেজাউল করিমকে নিয়োগ দেয়া হয়। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ইংরেজি বিভাগে এক প্রভাষক ও এক সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হওয়া সত্ত্বেও ইংরেজি বিভাগে ড. সামসাদ মর্তুজাকে সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">আরবি বিভাগে নিয়োগ পাওয়া ৫ শিক্ষকের মধ্যে ৩ জনকে মেধা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসরণ করে নিয়োগ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম ও বেলাল হোসাইন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় একই সময়ে মাদ্রাসা থেকেও ফাজিল ও কামিলে অধ্যয়ন ও পরীক্ষা দেন। আইন অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত অবস্থায় অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে বা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন না। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">এক মেধাবীকে বঞ্চিত করে বাংলা বিভাগে ৪ প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়। দর্শন বিভাগে ৫ প্রভাষক এবং ১ সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে মন্দিরা নামে এক হিন্দুসহ ৩ জনকে দলীয় বিবেচনায় নেয়া হয়। এছাড়া ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ২, নাট্যকলায় ৪, ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নে ১ এবং সংগীত বিভাগে ২ জনকে মেধা ও দলীয় উভয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ : এ অনুষদের তিন বিভাগে ১৩ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। ৫ যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৭ প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অজুহাত দিয়ে এমএল পলাশ অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে ১৮তম, মাস্টার্সে ১৯তমকে নিয়োগ দেয়া হয়। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">অনার্সে ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম এবং অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান প্রাপ্ত ফারজানা ফেরদৌস, জাকির হোসেন, সাহারুজ্জামান, তাফসীর উদ্দিন সুমন, নাসিডকে বঞ্চিত করে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে ৩ প্রভাষক দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দলীয় এ বিবেচনায় ভাগ্য নির্ধারণ করে প্রভাষক হন মিঠুন সরকার, তাসলিমা ফেরদৌস ও সুমাইয়া ফারহানা কবির। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে ৫ম ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণীতে ২য় ইব্রাহিমকে বাদ দিয়ে ৩ প্রভাষক নেয়া হয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">জীববিজ্ঞান অনুষদ : এ অনুষদের ৬টি বিভাগে ১৬ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে ২য়, মাস্টার্সে ১ম স্থান প্রাপ্ত প্রার্থীকে বঞ্চিত করে মত্স্য বিজ্ঞান বিভাগে দলীয় বিবেচনায় ৩ জনকে প্রভাষক নিয়োগ নেয়া হয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগে ৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনার্সে চতুর্থ এবং মাস্টার্সে প্রথমস্থান অধিকারী প্রার্থীকে বঞ্চিত করে অনার্সে ১৭তম ও মাস্টার্সে চতুর্থতম সনিয়া তামান্নাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ নিয়োগের বিরোধিতা করে সিলেকশন কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য অধ্যাপক লায়লা নুর ইসলাম আপত্তিপত্র দেন। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">জিন প্রকৌশল ও জীব-প্রযুক্তি বিভাগে ৩টি প্রভাষক পদে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজনের ক্ষেত্রে পুরোপুরি মেধার অনুসরণ হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">মনোবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণী প্রাপ্ত ছন্দা কর্মকারকে বঞ্চিত করে পুরোপুরি দলীয় বিবেচনায় ২ প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়। অনুজীববিজ্ঞানে ২ শিক্ষককে দলীয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। প্রাণীবিদ্যায় ৩ জনকে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হলেও তারা যোগ্যতা সম্পন্ন ছিল। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদ : এ অনুষদের দুটি বিভাগে ৫ জন শিক্ষক নিয়োগ পান। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ২ জনকে প্রভাষক বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়। এক যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে ভূতত্ত্ব বিভাগে একটি হল শাখার ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৩ প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">বিজ্ঞান অনুষদ : এ অনুষদের ৬ বিভাগে ১৬ প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ দেয়া হয়। পদার্থ বিজ্ঞানে ৪; গণিতে ৩; পরিসংখ্যানে ৫; তাত্ত্বিক পদার্থে ২; বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ১ এবং রসায়নে ১ প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">পদার্থ বিজ্ঞানে ২ প্রভাষক ও ২ সহকারী অধ্যাপককে সম্পূর্ণ দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়। অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে ১ম, মাস্টার্সে ৩য় রুহুল আমিন; অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে ৩য়, মাস্টার্সে ৪র্থকে বাদ দিয়ে নেয়া হয়েছে অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে ৮ম, মাস্টার্সে ৬ষ্ঠ স্থান প্রাপ্ত কাজী হানিয়াম এবং অনার্সে ৩য়, মাস্টার্সে ৪র্থ রতন চন্দ্র ঘোষকে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">এছাড়া বিজ্ঞাপনের শর্ত লঙ্ঘন করে সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে স্বপন কুমার ঘোষকে। বিজ্ঞাপনের শর্তে সহযোগী অধ্যাপক পদে যোগ্যতা হিসেবে সাত বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা চাওয়া হলেও ঘোষের একদিনেরও শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ছিল না। এক্ষেত্রে বিভাগের অভ্যন্তরীণ প্রার্থী সাদত হোসেন, সাহাবুল আলম শর্ত পূরণ করলেও তাদের বিজ্ঞাপিত পদের অতিরিক্ত নেয়া হয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">গণিত বিভাগে এক যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে ৩ প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়। অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম মুহিবুজ্জামানকে বঞ্চিত করে সোহানা জাহানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ফার্মেসি অনুষদ : এ অনুষদের দু’টি বিভাগে ৮ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগে দু’জনকে বঞ্চিত করে ৫ প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়। অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে ২য়, মাস্টার্সে ১ম আবদুল্লাহ আল মারুফ এবং অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে ৩য়, মাস্টার্সে ২য় ইসরাত জাহানকে বাদ দিয়ে নেয়া হয়েছে অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে ১১তম, মাস্টার্সে ২য় আব্দুল মুহিত এবং অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে ৮ম, মাস্টার্সে ৬ষ্ঠ আহসানুল আকবরকে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগে অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে ৪র্থ, মাস্টার্সে ১ম মো. গিয়াস উদ্দিন এবং অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে ৫ম, মাস্টার্সে ১ম সাদিয়া আফরিনকে বঞ্চিত করে ৩ প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ : এ অনুষদের ৬ বিভাগে ২১ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অর্থনীতিতে ৬, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ৪, নৃবিজ্ঞানে ৫, উইমেন জেন্ডার স্টাডিজে ৩, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে ২ প্রভাষক এবং লোক প্রশাসনে ১ সহকারী অধ্যাপক।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">অর্থনীতি বিভাগে ৬ প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়। এরমধ্যে অর্চি মধুবীমা বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর আতিউর রহমানের মেয়ে। অর্চি মধুবীমা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পেলেও শেষ পর্যন্ত যোগদান করেননি বলে জানা গেছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">লোক প্রশাসন বিভাগে নুসরাত জাহান চৌধুরীকে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও অন্য যোগ্য প্রার্থীরা বাদ পড়েছেন। এর প্রতিবাদে সিলেকশন বোর্ডে নোট অব ডিসেন্ট দেন বিভাগের চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য। বঞ্চিত হন তার চেয়ে যোগ্য প্রার্থী শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের প্রভাষক সাইফুদ্দিন আহমদ ও সাবের আহমেদ চৌধুরী। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">নৃবিজ্ঞান বিভাগে ৫ প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সিলেকশন কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, নিয়োগপ্রাপ্ত সৈয়দ আরমান হোসেন, ফারিবা আলমগীর ও জোবাইদা নাসরীনের চেয়ে ৩/৪ জন অধিক মেধাবী প্রার্থী ছিল। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও জাহাঙ্গীনগর থেকে পাস করা ও সাবেক এনজিও কর্মী জোবাইদা নাসরীনকে নেয়া হয়। ওই নিয়োগের বিরোধিতা করেছেন সিলেকশন কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ও শিক্ষকরা।। প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে খাতির থাকায় তিনি এ নিয়োগ পান। নিয়োগের পর তিনি বিভাগে এতোই প্রভাব বিস্তার করছেন যে, সিনিয়র শিক্ষকরা পর্যন্ত অস্বস্তিতে রয়েছেন।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ : এই অনুষদের ৮ বিভাগে ৩৫ প্রভাষক ও ২ সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে মার্কেটিং-এ ২ সহকারী অধ্যাপক, ম্যানেজমেন্টে প্রভাষক ৩, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে ৬, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে ৪, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমে ৬, ফাইনান্সে ৯ এবং ব্যাংকিং-এ ৪ প্রভাষক নিয়োগ পেয়েছেন। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">মার্কেটিং বিভাগে ২ সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ কোটায় আতাউর রহমানকে নিয়োগের শর্তই লঙ্ঘন করা হয়। নিয়োগের শর্তে চার বছর মেয়াদি বিবিএ এবং এমবিএ চাওয়া হলেও আতাউর রহমান ছিলেন বিকম ও এমকম পাস। বিকমে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণীতে ২৪তম স্থানে ছিলেন। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ৩ প্রভাষক ও ১ সহকারী অধ্যাপককে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে সহকারী অধ্যাপক পদে ফুলব্রাইট তাহমিনা খানমকে সুপারসিট করে সুমন দাসকে নেয়া হয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে জাতীয় সংসদের বর্তমান স্পিকার অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের আত্মীয় বদরুজ্জামানসহ ৬ প্রভাষককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকি ৫ জন হলেন সালমা আক্তার, নুসরাত জাহান, মোহাম্মদ রুহুল আমিন, সন্তোষ কুমার দেব ও মো. কামরুল হাসানকে মেধার পাশাপাশি দলীয় বিবেচনায় ভাগ্য নির্ধারণ করেছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬ জনের মধ্যে একজনকে চরমভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। অনার্সে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৪ এবং মাস্টার্সে ৩. ৯৬ পাওয়া বঞ্চিত প্রার্থী ইশতার মহল প্রতিকার চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বিচার দিয়েছে। তার বিচার আবেদনের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে ৪ প্রভাষকের ৩ জন দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছেন। এর মধ্যে আশীষ তালুকদার হিন্দু, কেএম সালাউদ্দিন ছাত্রজীবনে একটি হল শাখার ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। মো. আকরাম হোসেনও দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পান। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে ৩, ফিন্যান্সে ৯ এবং ব্যাকিং-এ ৩ প্রভাষকের ক্ষেত্রে মেধার সঙ্গে দলীয় বিবেচনা নিয়োগপ্রাপ্তদের ভাগ্য নির্ধারণ করেছে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট : শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ১১ জনকেই দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গোপালগঞ্জ এলাকার বলে নিজেকে পরিচয় দেয়া মোহাম্মদ আশরাফ সাদেক, কুমিল্লার একটি কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার হায়দার, প্রয়াত অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের আত্মীয় পরিচয়ে সুমেরা আহসান, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে ইনস্টিটিউট থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা মাহাবুব রহমান পুরোপুরি দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছেন। এছাড়া শিক্ষাজীবনে ৪টিতে প্রথম শ্রেণী প্রাপ্ত শিল্পী হালদার ও বদরুল আলমকে বাদ দিয়ে অনার্সে দ্বিতীয় শ্রেণী প্রাপ্ত তাপস কুমার বিশ্বাস, অনার্সে দ্বিতীয় শ্রেণী প্রাপ্ত দেবদাস হালদারকে নিয়োগ দেয়া হয়। বিজ্ঞানে কম্পিউটার সায়েন্সের একটি পদে নিয়োগের কথা থাকলেও তা না নিয়ে বিজ্ঞান, গণিত ও প্রযুক্তি পদের ১টি করে পদের জায়গায় ২ জন নেয়া হয়। এরা হলেন শারমিন কবীর ও তামান্না সুলতানা। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের অভিযোগ, বোর্ড অব গভর্নিং (বিওজি) বডি থেকে ভিন্নমতাবলম্বী শিক্ষকদের সরিয়ে দিয়ে দলীয়ভাবে তা গঠন করে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট : সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটে ৩ প্রভাষক এবং ১ সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম এবং গোল্ড মেডেল পাওয়া মুস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন প্রার্থীকে বঞ্চিত করে প্রভাষক পদে মইনউদ্দিন মোল্লা, অনুরাধা বর্ধন ও আশরাফুল ইসলাম এবং সহকারী অধ্যাপক সাহানা নাসরীনকে নেয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন, মইনউদ্দিন ও অনুরাধাকে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের মাস্টার্সের ফলাফল দু্রত প্রকাশ করতে শিক্ষকদের চাপ প্রয়োগ করে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদসহ কয়েকজন প্রভাবশালী শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করিয়ে নেন। সাহানা নাসরীন পরিচালকের ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন। শিক্ষকদের অভিযোগ, সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটে দলীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে বোর্ড অব গভর্নর (বিজি) বডিকে পুরো দলীয়ভাবে গঠন করা হয়। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">এছাড়া ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটে ৪, তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে ২ প্রভাষক নিয়োগে মেধার সঙ্গে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ : নিয়োগে অনিয়ম, দলীয়করণ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত প্রশাসনের প্রো-ভিসি ও সিলেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি তাতে শিক্ষক নিয়োগে মেধার চেয়ে দলীয় বিবেচনাই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় ছিল বলে প্রতীয়মান হয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সিলেকশন কমিটি করা হয়েছে, তা কট্টর দলীয় সদস্যের সমন্বয়ে করা হয়েছে। অনিয়ম বন্ধে সক্রিয় ও কার্যকর প্রতিবাদ না হওয়ায় এ অনিয়ম হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার প্রশাসনের সময় দলীয়করণের অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক হায়দার বলেন, দলীয় বিবেচনায় একটা নিয়োগও হয়নি। আমরা নিয়োগ দিয়েছি মেধার ভিত্তিতে। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে যদি প্রার্থীর কোনো দলীয় মতাদর্শ থাকে, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">এ বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন বলেন, অযোগ্যদের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগের একমাত্র কারণ ভোটের রাজনীতি। পরিকল্পিতভাবে নিয়োগের আগে প্রার্থীদের রাজনৈতিক পরিচয় খোঁজা হয় এবং নিয়োগ পরবর্তীতে ৯০ শতাংশকে দলের কট্রোলে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রশাসন মেধাবীদের প্রতি অবিচার করে তাদের আশা ও স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। তিনি অতীত ইতিহাস স্মরণ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন ’৭০-এর দশকে ফিরে গেছেন। ’৭৩-এ প্রচুর দলীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। গত প্রশাসনের সময় দলীয়করণের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, অতীতে অনিয়ম হয়ে থাকলে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="text-align: justify;">ভিসি’র বক্তব্য : নিয়োগে অনিয়ম ও দলীয়করণের অভিযোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও সিলেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান নবায়নের ক্ষেত্র। এই নবায়ন মেধাবী, নবীন ও তরুণ গবেষকরাই করবে। বিশ্বে ও সব বিশ্ববিদ্যালয়েই একই সংস্কৃতি। আর এ দর্শনকে সামনে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ও বিধি-বিধান অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রশাসনের আড়াই বছরে যেসব নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই হয়েছে।</div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-81974306246499839832011-06-29T08:30:00.000-07:002011-06-29T08:32:57.797-07:00মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ দেয়া ১৯০ জনই ভুয়া<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhw-UsaNcMM5NqaIKoZ7e0C8E4ixXCWybIez9SSa-bV0pzjf3l2IpcQHWjp5Mv2-kW_iMo1_yjafXhPkHpv0b4dAD6DtYV9Atat3GM3S7R8tyLNUnz1snGDxhU5Pxb_SMnzDU7cQw8n4gwF/s1600/P3_mujibnagare.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 82px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhw-UsaNcMM5NqaIKoZ7e0C8E4ixXCWybIez9SSa-bV0pzjf3l2IpcQHWjp5Mv2-kW_iMo1_yjafXhPkHpv0b4dAD6DtYV9Atat3GM3S7R8tyLNUnz1snGDxhU5Pxb_SMnzDU7cQw8n4gwF/s400/P3_mujibnagare.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5623665041659599730" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div></span><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">শামসুস সালেহীন</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সাব-রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেয়া ১৯০ জনই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। তারা মুক্তিযোদ্ধার জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নিয়েছেন। ১৯৭১ সালে ১৯০ জনের অনেকেই ছিলেন দুধের শিশু। তখন তাদের বেশিরভাগই ছিলেন মায়ের কোলে। মুজিবনগর কর্মচারী কোটায় সাব-রেজিস্ট্রার পদে চাকরি পাওয়া ১৯ জনকে এরই মধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। আরও ১১ জনকে সাসপেন্ড করার লক্ষ্যে তাদের নাম পাঠানো হয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতামতের জন্য। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">উচ্চ আদালতের রায়ে ২০০৯ সালে ১৯০ জনকে মুজিবনগর কর্মচারী কোটায় চাকরি পাওয়া কর্মকর্তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বয়স ছিল ৩ থেকে ৭ বছর। চাকরি দেয়ার সময় তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে বলা হয়েছে, মুজিবনগর কর্মচারীরা কেউ কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে পানি খাইয়েছেন, এক ক্যাম্প থেকে আরেক ক্যাম্পে খবর পৌঁছানো ইত্যাদি নানান কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন ছিলেন তিন বছরের শিশু। সে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের পানি খাওয়ালেন অথবা খবর পৌঁছালেন এই নিয়ে সংশ্লিষ্টরা বিস্মিত হয়েছেন। ওই সময়ের এমন শিশু অনেক রয়েছেন, যারা মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী পরিচয়ে মুক্তিযোদ্ধার কোটায় চাকরি পেয়েছেন। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সংশ্লিষ্টদের মতে, মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মামলায় যে যার মতো নাম বসিয়ে উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সাব-রেজিস্ট্রার আমার দেশকে জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা নয় এমন ১৯০ জনের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা করে মোট ৫৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এদের মধ্যে আছেন নকলনবিস, দলিল লেখক, হোমিও চিকিত্সক, পল্লী চিকিত্সক, শিক্ষক, মুদি দোকানি ইত্যাদি পেশার মানুষ। মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী পরিচয়ে সাব-রেজিস্ট্রার পদে আত্তীকরণকৃতদের মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নিবন্ধন অধিদফতরের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিআর) মুন্সী নজরুল ইসলামের নিজ জেলা নড়াইল ও বরিশালের। অন্য জেলার মাত্র দু’একজন রয়েছেন। গত ১৯ মে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি ও অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কমিটির সভা হয়। সভায় মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ১৯০ জন সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে নিয়োগের অভিযোগ তোলা হয়। এটা বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তি করতে বলে সংসদীয় কমিটি ২০০৯ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করেছে বলে সূত্র জানায়। সভায় আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী পরিচয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়া সাব-রেজিস্ট্রারদের ৩ জনকে প্রথম সাসপেন্ড করা হয়। তারা হলেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার আবুল বাশার, যার জন্ম তারিখ ১৯৬৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তার চাকরিতে যোগদানের তারিখ ২০০৯ সালের ৯ ডিসেম্বর। বরগুনার পাথরঘাটার সাব-রেজিস্ট্রার নুরুল হকের জন্ম তারিখ ১৯৬৮ সালের ১৫ জুন। তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ২০০৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর। ভোলা জেলার রাধাবল্লভের সাব-রেজিস্ট্রার বাদল কুমার বিশ্বাসের জন্ম ১৯৬৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর। তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ২০০৯ সালের ৯ ডিসেম্বর। ভূমি রেজিস্ট্র্রেশন বিভাগেও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো অনেক সাব-রেজিস্ট্র্রার অবসরে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবার চাকরিতে ফিরেছেন। দুই বছর চাকরির মেয়াদ বাড়ার সুযোগে তারা ভালো সাব-রেজিস্ট্র্রি অফিসে পোস্টিং নিয়ে ঘুষসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ দেখিয়ে তারা চাকরির মেয়াদ দু’বছর বাড়িয়ে নেন। পাশাপাশি অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা এটাকে সরকারের একপেশে সিদ্ধান্ত বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন, এটা প্রশাসনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনে এক সময়ের উচ্চমান সহকারী পরবর্তীতে মুজিবনগর স্টাফ কোটায় সাব-রেজিস্ট্রার পদে যোগদানকারী আই,জি,আর, (চলতি দায়িত্ব) মুন্সী নজরুল ইসলাম। তার আপন ছোটভাই প্রায় তিন বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে গেছেন। অথচ আই,জি,আর পদে জুডিশিয়াল সার্ভিস থেকে জেলা জজ বা যুগ্ম সচিব পদের কর্মকর্তারাই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। মুন্সী নজরুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় দু’বছর চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে আই,জি,আর-এর পদ দখল করে আছেন। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করে আদালতের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করেছেন মাসদার হোসেন। তিনি আইজিআর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দুই মাস। ২০০৭ সালের ১২ এপ্রিল থেকে একই বছরের ৩ জুন পর্যন্ত আইজিআর-এর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে আইজিআর-এর চলতি দায়িত্ব পালন করছেন মুন্সী নজরুল ইসলাম। তার ভাতিজা বর্তমানে কর্মরত ঢাকার সদর সাব-রেজিস্ট্রার মুন্সী রুহুল ইসলাম। তারা চাচা-ভাতিজা দু’জনেই মুজিবনগর সরকারের উদ্বৃত্ত হিসেবে চাকরি নিয়েছেন। ভাতিজা মুন্সী রুহুল ইসলামের জন্ম হয় ১৯৫৯ সালের ৩০ নভেম্বর। অর্থাত্ ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ পর্যন্ত তার বয়স ১১ বছর ৩ মাস ২৬ দিন। চাকরিতে চাচা আইজিআর মুন্সী নজরুল ইসলাম সাব-রেজিস্ট্র্রার পদে যোগ দেন ১৯৭৮ সালের ১০ অক্টোবর। পাশাপাশি ঢাকা সদরে মুন্সী রুহুল ইসলাম সাব-রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেন ১৯৯৭ সালের ২৩ জুলাই। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন মেয়াদে নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক (আইজিআর) পদে দায়িত্ব পালন করেন ২৭ জন। সাব-রেজিস্ট্রার মাত্র দু’জন আইজিআর (মহাপরিদর্শক, নিবন্ধন অধিদফতর) পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তদের একজন এ,ওয়াই,এ,ম, আনোয়ারুল হক এবং বর্তমানে এই পদে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন মুন্সী নজরুল ইসলাম। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে সাব-রেজিস্ট্রার পদে ২০০৯ সালে ১৯০ জন ছাড়া আরও ৮০ জন সাব-রেজিস্ট্রার দেশের বিভিন্নম্ন সাব-রেজিস্ট্র্রি অফিসে কাজ করছেন। তাদের অনেকেই অবসরে চলে গেছেন। যাদের বয়স মুক্তিযুদ্ধের সময় ৭ থেকে ১০ বছর ছিল। ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ দু’টি সাব-রেজিস্ট্র্রি অফিসে রয়েছেন, তাদের একজন বর্তমান আইজিআরের আপন ভাতিজা মুন্সী রুহুল ইসলাম। অপরজন হলেন তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্র্রার আবুল কালাম আজাদ। তার জন্ম তারিখ ১৯৬০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি এই পদে যোগ দিয়েছেন ১৯৯১ সালের ২ মার্চ। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তারা দু’জনই মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ছিলেন না বা মুক্তিযুদ্ধে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। অথচ তারা মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করেছেন কর্মস্থলে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ বা সহায়তার নামে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের অধিকাংশই ভুয়া। জাল সনদ ও কাগজপত্র দাখিল করে এবং প্রকৃত তথ্য গোপন করে তারা সাব-রেজিস্ট্রার পদে চাকরি পেয়েছেন। তাদের অধিকাংশেরই মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স ছিল ৩ থেকে ১১ বছর। এ ব্যাপারে নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) মুন্সী নজরুল ইসলাম আমার দেশকে জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না</span><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/06/07/85828">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/06/07/85828</a><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="text-align: justify; ">।</div></span></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-67998508998795805752011-06-29T07:44:00.000-07:002011-06-29T07:45:45.677-07:00শীতলক্ষ্যা নদীর মাটি কেটে বিক্রি করছেন প্রভাবশালীরা<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQZNTsGwa7q2E_dIe3ie6dhamJDy7O-_IIAzBzmS1zCJN6dKgGoGFwOssQxbI4TmLI0vYnR2r7XT6njRbogXWk10ML6wmMPYekdupNBwTmUmODMQZNOB3cNOM1CB6luDI7yvhcVLOWCuNn/s1600/ab_shitlokkha-nadir-mati.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 181px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQZNTsGwa7q2E_dIe3ie6dhamJDy7O-_IIAzBzmS1zCJN6dKgGoGFwOssQxbI4TmLI0vYnR2r7XT6njRbogXWk10ML6wmMPYekdupNBwTmUmODMQZNOB3cNOM1CB6luDI7yvhcVLOWCuNn/s400/ab_shitlokkha-nadir-mati.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5623652927727098994" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); ">সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি</div></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা ও বিআইডব্লিউটিএ’র এক কর্মকর্তা শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন। কয়েকদিন ধরে তারা সিদ্ধিরগঞ্জের আটি মৌজার সোহরাব অয়েল মিল ও মনোয়ারা জুট মিলের পাশে, সাইলো এবং আদমজী ইপিজেডের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানায়, মাটিগুলো বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">এদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র ঊর্ধ্বতন উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর দেয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জনৈক শাহজাহান প্রধান বাদল ওরফে শাহজালাল বাদল, নুরুজ্জামান জজ, ডা. শহীদুল্লাহ, জাহাঙ্গীর হোসেন, এম এইচ মনির, খোকন দেবনাথ ও বাসেদ মিয়া আটি মৌজা দখল করে বালুর ব্যবসা করে আসছেন। চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু আটি মৌজায় সরেজমিন গিয়ে কোনো ধরনের বালু ব্যবসার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। উপরন্তু আটি মৌজায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। একইভাবে সাইলো গোডাউন ও আদমজী ইপিজেডের পূর্বপাশের মাটি কেটে ট্রলার দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। সরেজমিন আটি এলাকায় গিয়ে ট্রাক ও ট্রলারে মাটি কেটে নিতে দেখা গেছে। মাটি কাটায় নিযুক্ত লেবার এবং প্রভাবশালীদের নিযুক্ত বিপ্লব নামের এক যুবক জানায়, বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা আলমগীর কবির, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া ও প্রচার সম্পাদক তাজিম বাবু এই মাটি কাটাচ্ছেন। প্রতি ট্রাক মাটি দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। গত ক’দিন ধরে মাটি কাটার ফলে বড় ধরনের ডোবার সৃষ্টি হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীর ওই অংশে। এদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র চিঠিতে যে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (বন্দর) আলমগীর কবির আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অংশীদারিভিত্তিতে শীতলক্ষ্যার মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু শীতলক্ষ্যা নদীর মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার অবৈধ প্রস্তাব আমরা প্রত্যাখ্যান করায় আলমগীর তার অফিসার সাইফুল ইসলামকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, কোনো সত্যতা পাওয়া না যাওয়ায় ওই মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়নি। শীতলক্ষ্যা নদীর মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার ব্যাপারে আলাপ করলে বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (বন্দর) আলমগীর কবির জানান, আমি ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়ে মাটি কাটার ব্যাপারে তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করে ব্যবস্থা নেব। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">অপরদিকে এলাকাবাসী জানায়, অপরিকল্পিতভাবে শীতলক্ষ্যার তীরের মাটি কাটায় ছোট-বড় ডোবা সৃষ্টি হলে বর্ষা মৌসুমে শীতলক্ষ্যার তীর ভেঙে আস্তে আস্তে মাটিগুলো শীতলক্ষ্যা নদীর মাঝপথে গিয়ে পড়বে। এতে শীতলক্ষ্যা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে। এমনকি নৌযানগুলো চলতে গিয়ে বাধার সৃষ্টি হতে পারে। প্রভাবশালীদের নিযুক্ত যুবক বিপ্লবের কাছে মাটি কাটার অনুমতি রয়েছে কি-না জানতে চাইলে সে জানায়, লিখিত কোনো অনুমতি নেই। তবে মাটি কাটার জন্য ডিসি অফিস থেকে মৌখিক অনুমতি নেয়া হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="text-align: justify;">।</div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/06/04/85299">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/06/04/85299</a></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-36249255870948882232011-05-31T11:01:00.000-07:002011-05-31T11:03:54.300-07:00সরকারের সঙ্গে ব্যবসা : বিদ্যুত্ এক মন্ত্রীর রাস্তা সেতু অন্যজনের<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhNvYgAI1_gddPwNilc8Ykld-dTO0FqUHxlM5rZv-BwDlgoXxxm86VH0LKUXLc-HDLTYnJnIYDUZUiVM2soJ9EuwcR0ryjRc8Lme4T7qto2f5QMhCf6lwpOhGRDGvAVYjRTipRbD_IAXSTq/s1600/P1_Lead_46.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 230px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhNvYgAI1_gddPwNilc8Ykld-dTO0FqUHxlM5rZv-BwDlgoXxxm86VH0LKUXLc-HDLTYnJnIYDUZUiVM2soJ9EuwcR0ryjRc8Lme4T7qto2f5QMhCf6lwpOhGRDGvAVYjRTipRbD_IAXSTq/s400/P1_Lead_46.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5612942526744150802" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); ">এম আবদুল্লাহ</div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/05/15/81632"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(0, 0, 0); -webkit-text-decorations-in-effect: none; ">বর্তমান সরকারের দুই প্রভাবশালী মন্ত্রী নিজেদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করছেন। বিদ্যুত্ খাতের প্রকল্পে একচ্ছত্র আধিপত্য এক মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠানের আর দেশের যোগাযোগ খাত তথা সড়ক, সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের কাজ আরেক মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠানের দখলে। দুই মন্ত্রীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বর্তমান সরকারের আমলে ২২শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি বিদ্যুত্ কেন্দ্রের কাজ পেয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বর্তমান সরকারের সময়ে গৃহীত বড় বড় প্রকল্পের কাজ বাগিয়ে নিতে ওই দুই মন্ত্রী তাদের প্রভাব কাজে লাগাচ্ছেন। দু’জনই ঠিকাদার থেকে মন্ত্রী হওয়ায় তাদের প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠানও মন্ত্রীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দরপত্র দাখিল করতে সাহসই পাচ্ছে না। </span></a></div><div><div style="text-align: justify;">মন্ত্রী হওয়ার পর দৃশ্যত কোম্পানির পদ ছাড়লেও অনুসন্ধানে জানা গেছে, মন্ত্রিত্বের পাশাপাশি এখনও ব্যবসা দেখভাল করছেন তারা। আর সরাসরি কোম্পানিতে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের স্ত্রী, কন্যা, ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা। অবশ্য অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান ও যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। পরিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দাবি করেছেন তারা।</div><div style="text-align: justify;">অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচ্য দুই মন্ত্রীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বর্তমান সরকারের সময়ে ২ হাজার ২শ’ মেগাওয়াটের বেশি ক্ষমতার বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ করায়ত্ত করেছে। এর মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান পেয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতার এবং যোগাযোগমন্ত্রীর স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ৫শ’ মেগাওয়াটের অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুত্ কেন্দ্রের কাজ। সূত্রমতে, বর্তমান সরকারের আমলে ৩টি বিদ্যুত্ কেন্দ্রের কাজ পেয়েছে যোগাযোগমন্ত্রীর প্রতিষ্ঠান। এ কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রচ্ছন্ন প্রভাব কাজ করেছে বলে পিডিবি সূত্র জানিয়েছে। চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট, সিলেট ১৫০ মেগাওয়াট ও ঘোড়াশাল ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ কেন্দ্রের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যোগাযোগমন্ত্রীর প্রতিষ্ঠান জড়িত।</div><div style="text-align: justify;">সদ্য ভিত্তি স্থাপনকৃত রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান ইটাল-থাই’র বাংলাদেশী এজেন্ট এখন কে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী গ্রুপ শিকদার গ্রুপের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে যে, ইটাল-থাই’র বাংলাদেশী এজেন্ট যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের কোম্পানি। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দরপত্রে অংশগ্রহণকারী শিকদার-কেসিসি জেভির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, অস্বচ্ছতার মাধ্যমে কারিগরিভাবে তাদের অযোগ্য দেখানো হয়েছে। কারিগরি প্রস্তাব পুনরায় মূল্যায়নের দাবি উপেক্ষা করে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার কাজটি দেয়া হয়। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করার দাবিও আমলে নেয়া হয়নি। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ ইটাল-থাইকে দেয়ার কারণে দেশের কয়েক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।</div><div style="text-align: justify;">অভিযোগ মূল্যায়ন কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই যোগাযোগমন্ত্রীর অধীনস্থ হওয়ায় যোগ্য প্রতিষ্ঠান অবিচারের শিকার হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলাকালে প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম-সচিব মো. আব্দুল কাদিরকে সরিয়ে এমএ ওয়াদুদকে বসানো নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। দরপত্র মূল্যায়নে বড় ধরনের কারসাজি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।</div><div style="text-align: justify;">সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর মন্ত্রী সিঙ্গাপুর হয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পথে ব্যাংককের নভোটেল-লোটাস হোটেলে ইটাল-থাই’র সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর ইটাল-থাই বাংলাদেশে মফিজ আহমেদ ভূঁইয়ার এজেন্সি বাতিল করে। ইটাল-থাই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে স্থানীয় উেসর বিড বন্ড দিয়েছে। এতেও বিদেশি এ কোম্পানির সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ রয়েছে বলে জানানো হয়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী। তিনি বলেন, তার কাজে অস্বচ্ছতা নেই। আর ইটাল-থাই’র সঙ্গে তিনি যুক্তও নন। </div><div style="text-align: justify;">যমুনা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিআরবিসি নামের কালো তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানিকে কাজ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। কিন্তু তার এই ইচ্ছায় বাদ সাধে মিডিয়া। ব্যাপক লেখালেখির পর সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে কাজ দেয়ার প্রস্তাবের সমালোচনা করে প্রথম দফায় তা বাতিল করে দেয়। পুনঃদরপত্রে যে কোম্পানিটিকে ৭৭ কোটি টাকা বেশি দরে কাজ দেয়া হয়েছে সেটিরও স্থানীয় প্রতিনিধিত্বে মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও যোগাযোগমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, নতুন করে কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠান সাকোর কোনো সম্পর্ক নেই।</div><div style="text-align: justify;">যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসন জানান, মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি ‘সৈয়দ আবুল হোসেন কোম্পানি’ সাকো (ঝঅঐঈঙ) থেকে পদত্যাগ করেছেন। কোম্পানির সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মন্ত্রীর নিজের নামের কোম্পানি এবং স্ত্রী ও কন্যারা সেই কোম্পানির কর্পোরেট পরিচালক থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করা কতটা যুুক্তিযুক্ত জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, তাতে কী হয়েছে? ওরা পরিচালক, ওরাতো সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করতেই পারে। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ বানোয়াট এবং যারা অভিযোগ করে তারা বাটপাড়—লিখে দেবেন। </div><div style="text-align: justify;">উল্লেখ্য, সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রী হওয়ার কয়েক মাস পর সাকোর বোর্ড অব ডাইরেক্টরস-এর চেয়ারম্যান হিসেবে নূরুল হক এফসিএ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। বোর্ডের কর্পোরেট ডাইরেক্টর হিসেবে আছেন মন্ত্রীপত্নী খাজা নার্গিস হোসেন এবং দুই কন্যা সৈয়দা রুবাইয়্যাত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন।</div><div style="text-align: justify;">সামিটের একাধিপত্য : এদিকে বর্তমান সরকার আমলের তিনটি বৃহত্ বিদ্যুত্ কেন্দ্রসহ মোট ৮টি বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ পেয়েছে সামিট। বিবিয়ানা-১, বিবিয়ানা-২ এবং মেঘনাঘাট-২— এ ৩টি বিদ্যুত্ কেন্দ্রের প্রতিটির উত্পাদন ক্ষমতা ৩৩০ থেকে ৪৫০ মেগাওয়াট। তিনটির কাজই পেয়েছে সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মার্কেন্টাইল করপোরেশন লিমিটেড। সঙ্গে নামকাওয়াস্তে রাখা হয়েছে মার্কিন কোম্পানি জিই এনার্জিকে। আইপিপি (ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার) নীতিমালা অনুযায়ী স্থাপিতব্য এই তিনটি কেন্দ্রের ক্ষেত্রেই সামিটের অংশীদারিত্ব ৮০ শতাংশ। আর আমেরিকান কোম্পানি জিই এনার্জি এলএলসির ২০ শতাংশ। সরকার ২২ বছর ধরে এই কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুত্ কিনবে। এই তিনটি বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনে ব্যয় হবে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। গত বৃহস্পতিবার বিদ্যুত্ কেন্দ্র তিনটির জন্য পিডিবি’র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রতিষ্ঠানটি।</div><div style="text-align: justify;">মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেয়ার এক বছর পর বিনা দরপত্রে কুইক রেন্টাল বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের হিড়িক পড়লে সামিট গ্রুপ নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের কাজে অযোগ্য ঘোষিত হয়। তারপরও পিডিবিকে দিয়ে তাদের প্রস্তাবের বৈধতা দিতে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়া হয়। পরে সামিট মদনগঞ্জে ১০২ মেগাওয়াট ‘কুইক রেন্টাল’-এর কাজ পেয়েছে। খুলনা পাওয়ার কেম্পানির ১১৫ মেগাওয়াট ও নোয়াপাড়ায় খানজাহান আলী পাওয়ারের ৪০ মেগাওয়াট ‘কুইক রেন্টাল’ও সামিটের। এছাড়াও সামিট ফার্নেস অয়েলে চালিত সৈয়দপুর ১০৪ ও শান্তাহার ৫২ মেগাওয়াট আইপিপির কাজ পেয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">সামিট গ্রুপ এর আগে মোট ৩২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করছিল। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুত্ সমিতির আশুলিয়া পাওয়ার প্লান্টে ৪৫ মেগাওয়াট, নরসিংদী পাওয়ার প্লান্টে ৩৫ মেগাওয়াট, কুমিল্লা পাওয়ার প্লান্টে ২৫ মেগাওয়াট, উল্লাপাড়ায় ১১ মেগাওয়াট, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানির আওতায় কুমিল্লার জাঙ্গালিয়ায় ৩৩ মেগাওয়াট এবং রূপগঞ্জে ৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন হচ্ছে। সামিট গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লি. (কেপিসিএল) খুলনায় বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপন করে ১৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করছে।</div><div style="text-align: justify;">অভিযোগ রয়েছে, বৃহত্ বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের অভিজ্ঞতা না থাকলেও বিনিয়ানা বিদ্যুত্ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে সামিট-জিই এনার্জি ক্ষমতার জোরে প্রাকযোগ্যতা অর্জন করে। পরে দাতা সংস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। নতুন করে বিবিয়ানা ৩৩০-৪৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রাকযোগ্যতার প্রস্তাব আহ্বান করা হলে ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল ৭টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান তাদের যোগ্যতার দলিলপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাকযোগ্য বিবেচনা করা হলেও ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দলিল (আরএফপি-রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল) কেনে। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মাত্র ২টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দাখিল করে। মূল্যায়নে পরিকল্পিতভাবে মালয়েশিয়ার ওয়াইটিএল পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল বারহাডকে নন-রেসপনসিভ ঘোষণা করা হয়। সামিট-জিই জেভিকে বিবিয়ানা বিদ্যুত্ কেন্দ্রের একমাত্র বৈধ প্রস্তাবদাতা করার পরিকল্পনা থেকেই এটা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কারণ, প্রধান উদ্যোক্তা (লিড স্পন্সর) হিসেবে সামিটের এ ধরনের বৃহত্ কেন্দ্র স্থাপনের পূর্বঅভিজ্ঞতাই নেই। </div><div style="text-align: justify;">বিবিয়ানা ৩৩০-৪৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুত্ কেন্দ্রের (দ্বিতীয় পর্যায়) জন্য গত বছরের ২ মে ১২টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান প্রাকযোগ্যতার দলিলপত্র দাখিল করে। ৮টি প্রতিষ্ঠান প্রাকযোগ্য প্রতিষ্ঠানের ৫টি দরপত্র দলিল (আরএফপি) কিনলেও ১৪ অক্টোবর মাত্র ৩টি দরপত্র জমা হয়। নানা কারসাজি ও ছলচাতুরীর মাধ্যমে এ কেন্দ্রের কাজও সামিটকে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">প্রচলিত নিয়মে বড় বিদ্যুত্ কেন্দ্রের ট্যারিফ ছোট বিদ্যুত্ কেন্দ্রের তুলনায় কম হয়। কম্বাইন্ড সাইকেলে ট্যারিফ কম হয়। এছাড়া বিদ্যুত্ ক্রয় চুক্তির মেয়াদ যত বেশি হবে দর তত কম হবে। কিন্তু সামিটের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টো। ১৫ বছর মেয়াদি জামালপুর ডুয়েল-ফুয়েল বিদ্যুত্ কেন্দ্রের মুতিয়ারা-পাওয়ারপ্যাক জেভির চেয়ে সামিটের ২২ বছর মেয়াদি বিবিয়ানা-১ ও ২ এবং মেঘনাঘাট-২ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুত্ কেন্দ্রের ট্যারিফ বেশি। বেশিসংখ্যক উদ্যোক্তার অংশগ্রহণে জামালপুরে প্রতিযোগিতামূলক দর পাওয়া গেছে। কিন্তু বিবিয়ানা-১ ও ২ এবং মেঘনাঘাট-২ বিদ্যুত্ কেন্দ্রে সামিটের তেমন কোনো প্রতিযোগী রাখা হয়নি। </div><div style="text-align: justify;">বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান সামিট গ্রুপে তার কোনো ডাইরেক্টরশিপ নেই দাবি করে বলেন, আমার কোনো ব্যবসা নেই, আমি শুধুই রাজনীতিক। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি মন্ত্রী হয়েছি বলে কি আমার ভাইয়েরা ব্যবসা করতে পারবে না? বিশ্ববিখ্যাত মা-বাবার সন্তান হিসেবে তারা সব ভাই এখনও একসঙ্গে আছেন এবং একান্নবর্তী পরিবার হিসেবে গর্ব করেন বলেও জানান তিনি। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী সামিটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করলেও একই সঙ্গে বার বার সামিট গ্রুপকে ‘আমাদের কোম্পানি’ উল্লেখ করে সরকারের সঙ্গে ব্যবসা ও একের পর এক বিদ্যুত্ কেন্দ্রের কাজ পাওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, সামিট কাজ পেয়েছে যোগ্যতাবলে। বৃহত্ বিদ্যুত্ কেন্দ্রের অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও শর্ত শিথিল করে সামিটকে কাজ দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কাজ না পেলে অভিজ্ঞতা হবে কিভাবে। সাংবাদিকদের কারণে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করতে পারে না, দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।</div></div><div><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/05/15/81632">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/05/15/81632</a> </div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-83217546873957461622011-05-31T09:36:00.000-07:002011-05-31T09:38:30.613-07:00সংবাদ সম্মেলনে টিআই চেয়ারম্যান : দুর্নীতির রিপোর্টের কারণে কেবল বাংলাদেশেই মামলা হয়েছে<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhi_fENZjZSRGZ5U7IkdXSNJLxdFC0KH-OaVGE861WYT7H49bPhO3inCp1oWUh5GgKff9-oKVhgjuNB6dtRIsdmzU4xVAFDT8e17ffJ4K2LaPBPrZXHfeZtI3bXrVliCginJQ0CZ7ccDEfb/s1600/P1_songbad-sommelone-ti-cha.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 288px; height: 272px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhi_fENZjZSRGZ5U7IkdXSNJLxdFC0KH-OaVGE861WYT7H49bPhO3inCp1oWUh5GgKff9-oKVhgjuNB6dtRIsdmzU4xVAFDT8e17ffJ4K2LaPBPrZXHfeZtI3bXrVliCginJQ0CZ7ccDEfb/s400/P1_songbad-sommelone-ti-cha.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5612920365526714098" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">স্টাফ রিপোর্টার</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান হিউগেট লাবেল বলেছেন, দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশের কারণে একমাত্র বাংলাদেশেই ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে না দিলে এটি কার্যকারিতা হারাবে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি কর্মকর্তাসহ কোনো বিশেষ শ্রেণী বা গোষ্ঠীকে আলাদা মাপকাঠিতে বিচার করা যাবে না। এটি করলে কমিশন কার্যকারিতা হারাবে।</div><div style="text-align: justify;">রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সফররত চেয়ারম্যান। কোনো একটি শ্রেণীকে বিশেষ সুবিধা দেয়া উচিত নয় বলে মনে করেন টিআই চেয়ারম্যান লাবেল। তিনি বলেন, অন্যদের তুলনায় কোনো একটি শ্রেণীকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে দেখতে পেলে মানুষ সরকার ও সংস্থার ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। </div><div style="text-align: justify;">বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেন টিআই চেয়ারম্যান। </div><div style="text-align: justify;">গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১১ বিল আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়। বিচারক, বিচার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি এবং সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করার আগে সরকারের অনুমতি নেয়ার বিধান বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বিলে। সংসদে অনুমোদন হলে এটি আইনে পরিণত হবে। </div><div style="text-align: justify;">দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কেউ মিথ্যা অভিযোগ করলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এই বিলে। আইনটি পাস হলে দুদকের নিম্নপর্যায়ের কর্মকর্তারা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না। </div><div style="text-align: justify;">জলবায়ু ফান্ডের দিকে টিআই’র নজরদারি থাকবে জানিয়ে এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে ওয়াচডগ হিসেবে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। </div><div style="text-align: justify;">টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনগত সংস্কার নিয়ে যে খেলা চলছে তা সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের পরিপন্থী। </div><div style="text-align: justify;">দেশে দুর্নীতির মাত্রা কমিয়ে আনতে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন এবং তা জনগণের সামনে তুলে ধরার দাবি জানান তিনি</div><div style="text-align: justify;">।</div></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-76771048317057246772011-05-31T09:35:00.001-07:002011-05-31T09:35:52.696-07:00শেয়ার কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের আড়ালের চেষ্টা করছে সরকার : এরশাদ<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">স্টাফ রিপোর্টার</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">ক্ষমতাসীন মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, সরকার শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। শেয়ারবাজার নিয়ে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রথমে প্রকাশ করার কথা বলার পরও এই রিপোর্ট প্রকাশে অহেতুক কালক্ষেপণ করা হয়েছে। জনগণের চাপের মুখে রিপোর্টটি প্রকাশ করে এখন বলা হচ্ছে, এটি অপূর্ণাঙ্গ। তাই নতুন করে তদন্ত হবে। তিনি বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ে এসব করার পরিণাম শুভ হবে না। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত ১ কোটি ভোটার আগামীতে আর মহাজোটকে ভোট দেবে না। গত রোববার রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক পার্টি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।</div><div style="text-align: justify;">এইচ এম এরশাদ বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভালো নয়। মানুষ নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে সবাই দিশেহারা। প্রতিটি জিনিসের দাম শতকরা ১৭ ভাগ বেড়েছে। এখনও সময় আছে, দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সরকারের ভিত নড়ে যাবে। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যে মানুষ যাতে দু’বেলা ভালোভাবে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে সেজন্য বেতন-ভাতা বাড়াতে হবে। মজুরি কমিশন গঠন করতে হবে। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। </div><div style="text-align: justify;">তিনি মহাজোটের শরিক দল হিসেবে জাতীয় পার্টির মূল্যায়ন এবং নিজের মামলা প্রত্যাহার সম্পর্কে বলেন, সরকার যদি জাতীয় পার্টিকে তাদের একাংশ মনে করে তাহলে অবশ্যই তারা আমাদের মূল্যায়ন করবে। মামলাও প্রত্যাহার করবে। সরকারের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমাকে মামলার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। দেশের ও দলের স্বার্থে প্রয়োজনে যে কোনো সময় আমি জেলে যেতে প্রস্তুত। আমার আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই—জাতীয় পার্টির মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই। </div><div style="text-align: justify;">সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানিয়ে এরশাদ বলেন, মানুষ এখনও জাতীয় পার্টির শাসনামলের কথা মনে রেখেছে। গত বিশ বছরে তারা একাধিক সরকার দেখেছে। কেউ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তাই আবার মানুষ দেশে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার দেখতে চায়। </div><div style="text-align: justify;">নারীনীতি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার আহ্বান জানিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকার বলছে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না। এসব না বলে সরকার পরিষ্কার করে বলে দিলেই পারে যে নারীনীতিতে কোরআন অনুযায়ী সম্পদের মালিকানার বিষয়টি ফয়সালা করা হবে। সরকার এসব না করে উল্টো পথে হাঁটছে। নানা ধরনের টালবাহানা করছে। মুক্তাঙ্গনে মিছিল-সমাবেশে বাধা দিচ্ছে। ১৪৪ ধারা জারি করছে। এসব করে লাভ হবে না। মুক্তাঙ্গন মুক্ত জায়গা। মুক্তাঙ্গন বন্ধ করে দিলে অধিকার আদায়ে জনগণের কথা বলার তো আর কোনো জায়গা থাকবে না। </div><div style="text-align: justify;">সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ এবং মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক পার্টির সভানেত্রী আনোয়ারা বেগম।</div></div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/05/03/79600">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/05/03/79600</a></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-89602738360894647012011-04-26T04:28:00.000-07:002011-04-26T04:30:50.850-07:00সখীপুরে বঙ্গবন্ধু ক্যাডেট কলেজের নামে জমি দখল<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjdMLAYrsqrgGmCuIPwcitwiqyfcflPK15GfAxBeO-njU-UOIipkR2rYN2gJsXKRrkJpfmkH4DZFkamwXOdBfX2fy3N0p02Cop2OR7EI0N_h0N40xUIqY2BjvxqIdARVbVxjlbZz0AlM-GZ/s1600/Lp_Bhangbandhu.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 360px; height: 306px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjdMLAYrsqrgGmCuIPwcitwiqyfcflPK15GfAxBeO-njU-UOIipkR2rYN2gJsXKRrkJpfmkH4DZFkamwXOdBfX2fy3N0p02Cop2OR7EI0N_h0N40xUIqY2BjvxqIdARVbVxjlbZz0AlM-GZ/s400/Lp_Bhangbandhu.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5599853233227623762" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">আনোয়ার কবির, সখীপুর (টাঙ্গাইল)</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/24/78348"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(0, 0, 0); -webkit-text-decorations-in-effect: none; ">সখীপুর উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম কালমেঘা। ওই গ্রামের ভেতর দিয়ে বাঁশবাড়ি পাকা রাস্তা ধরে যেতেই চোখে পড়ে ‘বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রেসিডেন্সিয়াল ক্যাডেট কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি’ লেখা একটি সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডের উপরের অংশে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি শব্দটিও জুড়ে দেয়া আছে। সাইনবোর্ড থেকে ১শ’ গজ উত্তর দিকে যেতেই দেখা হয় মন্টুর সঙ্গে। পরিচয় জিজ্ঞেস করতেই তিনি নিজেকে ওই প্রতিষ্ঠানের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানান। তিনি জানান, প্রজেক্টের ইনচার্জ হচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম। প্রতিষ্ঠানটি কে করছেন এর জবাবে তিনি এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ বলে দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, এর সঙ্গে বর্তমান সরকারের ১০ জন মন্ত্রী জড়িত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা সুব্রত রায় এর দেখাশোনা করছেন। তবে খান মোহাম্মদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলে জানান। সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে তিনি এ বিষয়ে আর কথা বলতে চাননি। চেয়ারম্যানের ফোন নম্বর চাইলে তিনি নম্বর দেয়া নিষেধ বলে জানান। তবে তিনি প্রজেক্টটি বৈধ দাবি করে চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে তার ফোন নম্বরসহ এর সব কাগজপত্র পরে পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানান। </span></a></div><div style="text-align: justify;">প্রজেক্টের ভেতর গিয়ে দেখা যায়, ১১ জন কর্মচারী রয়েছেন। তারা কেউ এ এলাকার নন। প্রকল্পটির ভেতরে অর্ধনির্মিত ৪টি টিনসেড বিল্ডিং, ১টি পুকুর, নামহীন একটি ভিত্তিপ্রস্তর রয়েছে। একটি ভবনের একাংশে মন্টু মিয়াসহ কর্মচারীরা থাকেন। ওই ভবনের ওপরে জাতীয় পতাকা উড়ছিল। একটু পরেই পতাকাটি নামিয়ে ফেলা হয়।</div><div style="text-align: justify;">জমির মালিক ও থানা পুলিশের একটি প্রতিবেদন এবং স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার ওয়াসিকহেলা গ্রামের খান মোহাম্মদ হোসেন বিগত জোট সরকারের আমলে ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অ্যান্ড ইউনির্ভাসিটি প্রতিষ্ঠার জন্য সখীপুর উপজেলার কালমেঘা গ্রামের আবু আহাম্মদ এবং তার দুই ছেলে আবদুল বারেক ও আবদুল মান্নানের ১৭ একর জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৫ সালের ২১ ডিসেম্বর কেএম হোসেন একর প্রতি ৭ লাখ টাকা হারে ওই তিন জমির মালিকের ১৭ একর জমি কিনবে এই মর্মে ১৫০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। শর্ত ছিল, তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি দলিল করে নেবেন এবং জমির মালিকরা ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকবেন। কিছুদিন পর কেএম হোসেন জমির মালিকদের জানান, আমেরিকা, ইরান, আবুধাবি, সৌদিআরবসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ থেকে ৫/৭শ’ কোটি টাকা অনুদান পাওয়া যাবে। তবে এর জন্য প্রতিষ্ঠানের ৩০% নির্মাণ কাজ দেখাতে হবে। তার কথামত ওই জমিতে ৪টি টিনসেড বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ ৪০% সম্পন্ন করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিল পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিল পরিশোধের চাপ দিলে তাদের চেক প্রদান করা হয়। চেকটি ডিজওনার হলে তারা মামলা করেন। ঢাকা জজকোর্টে এ সংক্রান্ত দুটি মামলা রয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">এক পর্যায়ে কেএম হোসেন নিজেকে বিএনপির প্রথম সারির নেতা দাবি করে জমির মালিকদের স্বাক্ষর করা স্ট্যাম্পে জমির টাকা পরিশোধ করার কথা লিখে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি দলিল করে দেয়ার হুমকি দেন। এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে কেএম হোসেন পিছু হটেন। পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানটির নাম বদল করে ইন্টারন্যাশনাল রেসিডেন্সিয়াল কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি নাম দেয়া হয়। বিচারপ্রতি হাবিবুর রহমান খানকে দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করানো হয়। জমি নিয়ে বিরোধের কারণে কেএম হোসেন পুনরায় প্রতিষ্ঠানটি করতে ব্যর্থ হন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরই কেএম হোসেন তৃতীয়বারের মতো প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রেসিডেন্সিয়াল ক্যাডেট কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটির নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছেন। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতা পরিচয় দিয়ে এই বলে হুমকি দিচ্ছেন যে, সাইনবোর্ড ভাঙলে জমির মালিক ও এলাকাবাসীকে জেল খাটানো হবে। </div><div style="text-align: justify;">পুলিশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কেএম হোসেন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন জড়িত রয়েছেন বলে এলাকার লোকজনকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। </div><div style="text-align: justify;">জমিটি নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে একটি মামলা চলছে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেএম হোসেন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছেন। প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন জমির মালিক আ. মান্নান ও আ. বারেককে। নিজের জমি বেহাত হওয়ার পরও এখন তারা প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। </div><div style="text-align: justify;">আ. মান্নান জানান, তাকে মেরে ফেলার জন্য কয়েকবার সন্ত্রাসী ভাড়া করে আনা হয় কিন্তু তিনি বুঝতে পেরে সরে পড়াতে বেঁচে গেছেন। বিভিন্ন সময় তাকে র্যাব দিয়ে ক্রসফায়ার করানোর ভয় দেখানো হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নাম করে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কেএম হোসেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবু হানিফ মিয়া বলেন, বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন নাম দেয়ায় মনে হচ্ছে প্রতিষ্ঠান নয়, জমি দখলই মূল উদ্দেশ্য। কালমেঘা গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রথম দিকে মনে হয়েছিল মহত্ উদ্দেশ্য নিয়েই প্রতিষ্ঠানটি করা হচ্ছে। আসলে কেএম হোসেনের উদ্দেশ্য ভালো নয়। মূলত বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে জমি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। </div><div style="text-align: justify;">জমির মালিক আবদুল মান্নান বলেন, প্রতিষ্ঠান করার নামে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময় আমাদের জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য বাড়িতে র্যাব-পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। কেএম হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তিনি থানায় ডায়েরি করেছেন বলেও জানান। </div><div style="text-align: justify;">ওসি মোজাম্মেল হক মামুন বলেন, কেএম হোসেন একজন ভণ্ড, প্রতারক। তিনি অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টা করছেন। মূলত বঙ্গবন্ধুর নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। </div><div style="text-align: justify;">স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান বলেন, বিএনপি সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করলে আমি পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রেসিডেন্সিয়াল ক্যাডেট কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি করায় বিষয়টি আমার কাছে গোলমেলে মনে হয়। এজন্য নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। আপনি ওই প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রস্তাব এসেছিল কিন্তু আমি সম্মতি দেইনি। </div><div style="text-align: justify;">ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান কেএম হোসেন বলেন, জমির টাকা পরিশোধ করা হলেও মিউটিশন জটিলতায় দলিল করা হয়নি। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি আমি সরকারকে উপহার দিয়েছি। তিনি আরও জানান, বিচারপতি হাবিবুর রহমান খান, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, স্থানীয় এমপি কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মির্জা আবদুল জলিল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব বিদ্যুত্ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট সজল আহমেদ এ প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা।</div></div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/24/78348">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/24/78348</a> </div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-82946996007896195272011-04-26T04:14:00.001-07:002011-04-26T04:14:53.631-07:00শ্রমিকের তালিকায় আ’লীগ নেতাদের নাম : কর্মসৃজন প্রকল্পের হাজার কোটি টাকা লুটপাট<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">ইলিয়াস খান</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">অতি দরিদ্রদের ‘কর্মসৃজন প্রকল্প’র এক হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। শ্রমিকদের স্থলে নিজেদের নাম ঢুকিয়ে, বেশি সংখ্যক শ্রমিকের জায়গায় হাতেগোনা কয়েকজন দিয়ে কাজ করিয়ে পকেটস্থ করা হচ্ছে এ অর্থ। কাজ না পেয়ে দরিদ্রদের অবস্থা আরও সঙ্গিন হয়ে পড়ছে।</div><div style="text-align: justify;">আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্প গ্রহণ করে। এজন্য প্রতি বছর এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০১০ সালের বরাদ্দকৃত টাকা লুটপাটের রেশ কাটতে না কাটতেই চলতি বছরের বরাদ্দ এক হাজার কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় এ প্রকল্পের কাজ। শুধু দলীয় লোকজন নয়, পকেট ভারী হচ্ছে সরকারি ও ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও । </div><div style="text-align: justify;">দেশের ৬৪ জেলার ১৩৩ উপজেলায় এ প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৫৫ হাজার। চলতি বছর বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ২০১০ সালে এ বিভাগে বরাদ্দ ছিল ১০০ কোটি টাকা। বরিশাল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা অফিস সূত্র জানায়, ২০১১ সালে এ জেলায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ১৮ কোটি ৪৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। ভোল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোলা জেলায় বরাদ্দ ৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এছাড়া বরগুনা জেলায় ৪ কোটি ৫০ লাখ, ঝালকাঠি জেলায় ৩ কোটি, পটুয়াখালী জেলায় ৩ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার এবং পিরোজপুর জেলায় ২ কোটি ৬২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এভাবে প্রকল্পভুক্ত সব জেলায়ই নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দ রয়েছে। সব মিলিয়ে সারাদেশে বরাদ্দের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা। </div><div style="text-align: justify;">তালিকায় আছে মাঠে নেই : নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিক সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাজ করে মজুরি পাবেন দৈনিক ১৫০ টাকা। কাজ করবেন ৪০ দিন। নিজের নামে ব্যাংকে একাউন্ট থাকবে। ওই একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন শ্রমিকরা। তবে সরেজমিন মাঠ পর্যায়ে যে চিত্র পাওয়া গেছে তাতে শ্রমিক নেই বললেই চলে। যদিও হাজিরা</div><div style="text-align: justify;">খাতায় শ্রমিকের কোনো অভাব নেই। বরিশাল জেলার সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে কাজ শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল থেকে। সম্প্রতি কাজ দেখার জন্য সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নে গেলে দেখা যায় ভয়াবহ চিত্র। সকাল সাড়ে ৯টায় ৩নং ওয়ার্ডে গিয়ে ২৮ শ্রমিকের মধ্যে পাওয়া যায় ৯ জনকে। বাকিরা প্যান্ট পরে ঘুরছেন। কেউ নেতা কেউবা আবার আওয়ামী পরিবারের সদস্য হওয়ার সুবাদে কার্ডধারী। ওয়ার্ডের জালাল সরদারের তিন ছেলে যথাক্রমে আলামিন সরদার, জাহিদ সরদার, জামাল সরদার, মুজাহার খানের ছেলে শামিম খান, ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য তারিকুল ইসলাম, গনি হাওলাদারের ছেলে আমিনুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী ও তার স্ত্রী মরিয়ম, হোসেন গাজী, আ. হক, হোসেন চাপরাশি, সোহরাব চাপরাশির ছেলে কাশেম চাপরাশি, আমির আলী—এদের সবার নাম তালিকায় আছে অথচ তারা মাঠে নেই। ২৮ জনের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি কার্ডধারী ভুয়া। হাজিরা খাতায় সবার উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। গত বছরে এ ইউনিয়নে মোট বরাদ্দ ছিল ২১৮টি কার্ড। এ বছর আরও ৭৬টি কার্ড বাড়ানো হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">কড়াপুর ইউনিয়নে মোট বরাদ্দ ৬৬৫টি কার্ড। সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৯টি ওয়ার্ড ঘুরে পাওয়া গেছে মোট ১১৯ শ্রমিক। সকাল ৯.১০ মিনিটের সময় যাওয়া হয় ২নং ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডে শ্রমিক থাকার কথা ৮৬ জন। বাস্তবে পাওয়া যায় ২৪ জন। সেখানে উপস্থিত ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি কায়কোবাদ রাসেল স্বীকার করলেন তাদের দুর্বলতার বিষয়টিও। তিনি জানান, তালিকায় আমাদের কিছু লোকের নাম আছে সেটা তো দোষের কিছু নয়। এরপর যাওয়া হয় ১নং ওয়ার্ডে। কাজের তদারকিতে আছেন আ’লীগ নেতা আ. গনি। এখানে ৭৬ শ্রমিকের মধ্যে পাওয়া গেল মাত্র ১৪ জনকে। হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে অপারগতা প্রকাশ করেন আ. গনি। ৮নং ওয়ার্ডে গিয়ে চোখে পরে ভয়াবহ চিত্র। সেখানে শ্রমিকদের তালিকায় যারা আছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খোকন, সম্পাদক ফজলুল হক, যুবলীগের সভাপতি কামাল সরদার, সম্পাদক মো. রফিক, যুবলীগ নেতা মন্নান খাঁ, মনিরের নাম শ্রমিকের তালিকায়। এ ওয়ার্ডে মাঠে কাজ করছেন ১২ জন। অন্যান্য ওয়ার্ডে গিয়েও দেখা গেছে একই চিত্র। ২নং ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ২৪ জন ছাড়া কোনো ওয়ার্ডেই ১৪ জনের বেশি শ্রমিক পাওয়া যায়নি। কাশীপুর ইউনিয়নের চিত্রও এর ব্যতিক্রম নয়। ৩নং ওয়ার্ডে গিয়ে পাওয়া যায় মাত্র ১১ শ্রমিক। ৬নং ওয়ার্ডে ২৪ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ১৯ জন। অথচ এই ইউনিয়নে বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ৫০০ কার্ড।</div><div style="text-align: justify;">গণ্যমান্যরা সবাই আওয়ামী লীগের : কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে এবারও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দলীয় বিবেচনায়। কোথাও আওয়ামী লীগের বাইরে গণ্যমান্য ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরিশালসহ সব জায়গার পরিস্থিতি একই রকম। সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তি মো. আমিনুল ইসলাম টিপু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক। অপর গণ্যমান্য মো. আনসার আলী হাওলাদার জেলা কৃষক লীগ নেতা, সমাজসেবী হিসেবে আছেন তাছলিমা বেগম। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমানের স্ত্রী। ইমাম মাওলানা মো. মাহফুজ ওলামা লীগ নেতা। জাগুয়া ইউনিয়নে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তালিকায় যারা আছেন তারা হলেন স্কুল শিক্ষক রুস্তম আলী ফরাজী ইউয়িন আওয়ামী লীগের সভাপতি, মো. মনিরুজ্জামান শ্রমিক লীগের সহসভাপতি, মো. নাজমুল হোসেন মনি যুবলীগ সভাপতি। সমাজসেবী মোসা. রেহেনা ইয়াসমিন মহিলা লীগ নেত্রী, ইমাম মাওলানা আ. করিম তালুকদার ওলামা লীগ নেতা। চাঁদপুরা ইউনিয়নে স্কুল শিক্ষক জিএম ফারুক আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, গণ্যমান্য মীর বাহাদুর হোসেন কামাল যুবলীগ সভাপতি, মো. সানোয়ার পারভেজ আওয়ামী লীগের সদস্য, সমাজসেবী মাহামুদা বেগম আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলামের স্ত্রী এবং ইমাম মাওলানা আনিসুর রহমান ওলামা লীগ সভাপতি। চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষক মো. মকবুল আহম্মেদ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি, সমাজসেবী মোসা. সালমা আক্তার আওয়ামী লীগ সম্পাদক আসাদুজ্জামান লিটনের স্ত্রী, ইমাম সামসুল হক ওলামা লীগ নেতা এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান, ইউনুচ সেরনিয়াবাত গণ্যমান্য ব্যক্তির তালিকায় আছেন। কাশীপুর ইউনিয়নে স্কুল শিক্ষক আবু আহমেদ আল মামুন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, গণ্যমান্য মো. আনিসুল ইসলাম তোতা আওয়ামী লীগের সম্পাদক, আবুল হোসেন নেতা, সমাজসেবী জেসমিন আক্তার মনি মহিলা লীগ নেত্রী। এভাবে প্রত্যেক ইউনিয়নে যে ৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি হয়েছে তাতে স্থান পেয়েছেন দলীয় নেতাকর্মী কিংবা তাদের স্ত্রীরা। উল্লেখ্য, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে স্কুল শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের থাকার কথা। </div><div style="text-align: justify;">চেয়ারম্যান মেম্বাররা ঠুঁটোজগন্নাথ : এবারে কর্মসৃজন কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটিতে চেয়ারম্যান মেম্বারদের কোথাও সদস্য পর্যন্ত রাখা হয়নি। ৯ সদস্যের কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও তালিকায় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ঘর ফাঁকা। ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কাজ অথচ তাতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না চেয়ারম্যান, মেম্বাররা। এ বিষয় জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম বরিশাল বিভাগের সভাপতি মো. হোসেন সিকদার বলেন, দুর্নীতি লুটপাট পাকাপোক্তভাবে করার জন্যই আমাদের দূরে রাখা হয়েছে। নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়েও এলাকার কাজে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই— এমনটা শুধু দুঃখজনকই নয় লজ্জারও বটে। </div><div style="text-align: justify;">ব্যাংক একাউন্টও আ’লীগ নেতাদের নামে : সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিকের নামে ১০ টাকার বিনিময়ে ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। শ্রমিকরা ইচ্ছা করলে প্রতি মাসে কিংবা সপ্তাহ পরপর তাদের টাকা তুলতে পারবেন। কিন্তু দলীয়করণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সেই একাউন্টও খোলা হয়েছে আ’লীগ নেতাদের নামে। সত্যতা যাচাইয়ে গতকাল ফোন দেয়া হয় সোনালী ব্যাংক রায়পাশা কড়াপুর শাখায়। ওই ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য যে হিসাব খোলা হয়েছে (নং-২০০০১০২৭) তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির নেতাদের নামে। এমনটা স্বীকার করে ওই ব্যাংকের ম্যানেজার মোতালেব হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা নেতাদের বুঝিয়ে বলেছি। তারা যদি প্রত্যেক শ্রমিকের নামে একাউন্ট না করেন তাহলে টাকা দিয়ে আমরা বিপদে পড়তে রাজি নই। কারণ নিয়ম রয়েছে কেবল শ্রমিকরাই টাকা উঠাতে পারবেন। এখন যদি নেতারা একাউন্ট খোলেন তাহলে তো বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।</div><div style="text-align: justify;">সরকারি ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের লুটপাট : প্রত্যেক শ্রমিকের নামে ব্যাংকে একাউন্ট করার কথা থাকলেও তা নেই। একাউন্ট খোলা হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের নামে। বরাদ্দকৃত অর্থ এরাই তুলে থাকেন। এ টাকা তুলতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিতে হয়। এজন্য তাদের ঘুষ দিতে হয়। একইভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান একজন সরকারি কর্মকর্তা। কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে বেশি শ্রমিকের বরাদ্দ পাস করতে এসব কর্মকর্তার সহযোগিতা নিতে হয়। এজন্য তাদের দিতে হয় বড় অংকের টাকা। একটি সূত্র জানায়, উপজেলা প্রশাসনের অধিকাংশ কর্মকর্তা এ টাকার ভাগ পেয়ে থাকেন। এভাবেই দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগ আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি ও ব্যাংক কর্মকর্তারা লুটপাট করছেন।</div></div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/22/78015">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/22/78015</a></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-25487657292525148362011-04-26T03:34:00.001-07:002011-04-26T03:35:58.418-07:00দুদক এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সটেনশন<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj0MGVyfZ8AQLB_wL1AE_NUOSpdzk-XrvuDYQEuDrl5RvxDtHh_F9QZ9nEVVT6EQqcLDNjLXaH4cCc032QyYlSqMiqOtqqzfEn16wD5CO-IoOknQYbTN2bMuySMF-HUFHYrbR1vKzpgEh5-/s1600/P1_dudok-ekhon-prodhanmontr.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 180px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj0MGVyfZ8AQLB_wL1AE_NUOSpdzk-XrvuDYQEuDrl5RvxDtHh_F9QZ9nEVVT6EQqcLDNjLXaH4cCc032QyYlSqMiqOtqqzfEn16wD5CO-IoOknQYbTN2bMuySMF-HUFHYrbR1vKzpgEh5-/s400/P1_dudok-ekhon-prodhanmontr.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5599839115199693714" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); ">এম এ নোমান</div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/18/77368"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(0, 0, 0); -webkit-text-decorations-in-effect: none; ">দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার স্বাধীনসত্তা হারিয়ে এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সটেনশনে পরিণত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও অপর দুই সদস্য এক সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েই কর্মরত ছিলেন। এই কর্মকর্তারা সে সময় বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। মামলা দায়ের, অভিযোগ অনুসন্ধান ও সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠানোর ক্ষেত্রে দুদক নিজস্ব এখতিয়ার প্রয়োগের পরিবর্তে এখন সরকারের শীর্ষমহলের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবেই কাজ করছে। দুদকের যে আইনটি সম্প্রতি সংশোধন করে সংসদে পেশ করা হয়েছে তা পাস হলে প্রতিষ্ঠানটি একেবারেই একটি তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। দুদক সম্পর্কে ব্যাপক অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে এ চিত্রই পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান স্বয়ং দুদক সম্পর্কে বলেছিলেন, এটি একটি দন্তহীন বাঘ, এখন এর নখগুলোও কেটে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুদক তার নিজস্ব এখতিয়ার প্রয়োগ করে কোনো সময়েই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি। তারা বলেন, সেনাসমর্থিত ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) হাসান মশহুদের নেতৃত্বে দুদক রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের হয়রানির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। বর্তমানেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারাই সরকারের শীর্ষমহলের নির্দেশনার আলোকেই দুদকের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরোধীদলীয় নেতাদের হয়রানি এবং ক্ষেত্রবিশেষ চমক সৃষ্টি ছাড়া সত্যিকার অর্থে দুর্নীতি দমনে দুদক কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। বিনা টেন্ডারে শত শত কোটি টাকার সরকারি কাজ দলীয় লোকদের দেয়া এবং জালিয়াতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায় দুদকের নীরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। আইন যাই হোক দুদকের বর্তমান আজ্ঞাবাহী জনবল দিয়ে দুর্নীতি দমন হবে না বলেও মনে করেন তারা। </span></a></div><div><div style="text-align: justify;">প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সটেনশন : দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম রহমান ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে তাকে ওই পদে নিযুক্ত করা হয়। লে. জেনারেল (অব.) হাসান মশহুদের বিদায়ের পর বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব গোলাম রহমানকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া দুদকের দুই সদস্য বিদায় নেয়ার পর গত মাসে মো. বদিউজ্জামান ও মো. শাহাবুদ্দিনকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মো. বদিউজ্জামানকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি টানা এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরোর মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন শেষে সরকারের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। সদ্যনিযুক্ত দুদকের অপর সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনকে বর্তমান সরকার ‘আওয়ামী লীগ ও সংখ্যালঘুদের ওপর বিএনপিসহ চারদলীয় জোট কর্তৃক পরিচালিত জুলুম-নির্যাতনের ঘটনা’ তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ নির্দেশে ২০০১ সালে বিএনপিসহ চারদলীয় জোট সরকার সারাদেশে আওয়ামী লীগ এবং হিন্দু সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ এনে ওই ঘটনা তদন্তে তাকে দিয়ে এক সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। এ কমিটি বিএনপির দশ হাজার নেতাকর্মীকে দায়ী করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পেশ করেছে। </div><div style="text-align: justify;">চেয়ারম্যানসহ তিন সদস্যবিশিষ্ট দুদকের সবাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">সরকারের তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠান : আইনে দুদক একটি স্বাধীন সংস্থা হলেও স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা দুদকের কোনো সময়েই ছিল না বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দুদক বরাবরই ক্ষমতাসীনদের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবেই এর যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাধ্য। বর্তমান দুদক আইন সংশোধন করে এটিকে সরকারের একটি তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকার আগে প্রত্যক্ষভাবে দুদককে নিয়ন্ত্রণ করলেও এখন প্রত্যক্ষভাবেই এর নিয়ন্ত্রণ সরকার গ্রহণ করতে যাচ্ছে। বর্তমানে সংসদীয় কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের অবস্থায় থাকা দুদক (সংশোধনী) আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন ও সংযোজন করে বিচারক, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমতি গ্রহণ আবশ্যক করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুদকের দায়ের করা যে কোনো মামলা তদন্তের জন্য দুদকের একচ্ছত্র ক্ষমতা খর্ব করে পুলিশ ও সরকারের অন্যান্য সংস্থার হাতে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও দুদকের সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে সরকার। দুদকের সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনায় সচিবই মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। সচিব যদি সরকার নিয়োগ দেয়, তাহলে এর কার্যক্রমও সরকারই নিয়ন্ত্রণ করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া দুদকের ২০০৪ সালের আইনের ২০ (১) ধারায় বলা হয়েছিল, ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন ও এর তফসিলে বর্ণিত অপরাধসমূহ কেবলমাত্র কমিশন কর্তৃক তদন্তযোগ্য হবে। একই ধারার ২ উপধারায় বলা হয়েছে যে, অপরাধসমূহ তদন্তের জন্য কমিশন, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এর অধস্তন কোনো কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করতে পারবে। এ ধারাটি সংশোধন করে প্রস্তাবিত সংশোধনীতে তদন্তের বিষয়ে একই ধারার (২) উপ-ধারায় বলা হয়েছে যে, উপধারা (১)-এ যা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত অপরাধসমূহ তদন্তের জন্য কমিশন, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এর অধস্তন কোনো কর্মকর্তা, পুলিশ বা অন্য কোনো সংস্থাকে ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবে। (৩) উপ-ধারায় বলা হয়েছে যে, উপ-ধারা (১) ও (২)-এ যা কিছুই থাকুক না কেন, কমিশনের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে এ আইন ও তফসিলে উল্লিখিত কোনো অপরাধের অভিযোগ উত্থাপিত হলে তার তদন্তের জন্য কমিশন, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা কেবল পুলিশ বা অন্য কোনো সংস্থাকে ক্ষমতা অর্পণ করবে। ২০০৪ সালের আইনে দুদককে অপরাধ কর্মকাণ্ডের জন্য দেশের সব নাগরিকের বিরুদ্ধে একই পদ্ধতিতে মামলা করার এখতিয়ার দেয়া হয়েছিল। ‘আইন সবার জন্য সমান’ বলা হলেও দুদকের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ৩২ ধারার পর ৩২ক নামে একটি পৃথক ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ আইনের অধীন জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৯৭-এর বিধান আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ ধারায় বলা হয়েছে—যখন দণ্ডবিধির ১৯ ধারার অর্থানুসারে কোনো জজ অথবা কোনো ম্যাজিস্ট্রেট অথবা সরকার কর্তৃক সরকারের অনুমোদন ব্যতীত অপসারণযোগ্য নয়—এ ধরনের কোনো সরকারি কর্মচারী তার দায়িত্ব পালনকালে অথবা দায়িত্ব পালনে আসীন বলে বিবেচিত হওয়াকালে কোনো অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে অভিযুক্ত হয়ে থাকেন, তখন সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতীত কোনো আদালত ওইরূপ অপরাধ আমলে আনবেন না। একই ধারার ২ নং উপধারায় বলা হয়েছে—ওই জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকারি কর্মচারী অপরাধ বা অপরাধসমূহের অভিযোগ কার দ্বারা বা কীভাবে করা হবে, সরকার তা নির্ধারণ করতে পারবে এবং কোন আদালতে বিচার হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দিতে পারবে। দুদক আইন সংশোধনের ব্যাপারে প্রবল আপত্তি জানিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি) চেয়ারম্যান এম হাফিজউদ্দিন খান আমার দেশকে বলেন, এটা হলে দুদকের স্বাধীন সত্তা বলে যা ছিল, সেটা সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হবে। বর্তমান সরকারের সময় দলীয় লোকদের কোটি টাকার কাজ দেয়া, রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের নামে শত শত কোটি টাকার কাজ পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে দেয়া এবং শেয়ার জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে দুদকের নীরবতার বিষয়ে টিআইবি চেয়ারম্যান বলেন, সদিচ্ছা থাকলে দুদক এসব বিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারত। মূলত আইন, অবকাঠামোগত অসুবিধা ও জনবল সঙ্কট, সর্বোপরি স্বাধীন সত্তা না থাকায় দুদক স্বাধীনভাবে কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে দুদকের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে হলে বিদ্যমান আইন শক্তিশালী করার সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীন মানসিকতাসম্পন্ন লোকবলেরও প্রয়োজন হবে। </div><div style="text-align: justify;">বিরোধী রাজনীতিকদের হয়রানির হাতিয়ার : দুদক মূলত বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গোটা দু’বছরই দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের দেয়া তালিকা অনুযায়ী দেশের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। দুদক স্বাধীন হলেও এর সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালক পর্যায়ের সব কর্মকর্তাই সরকার কর্তৃক নিযুক্ত। কাজেই সরকারের আজ্ঞাবহ হয়েই মামলা দায়ের এবং এর তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে দুদক। বর্তমান সরকারের সময় এসেও দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে সফল হতে পারেনি। দুদক চেয়ারম্যানের পদ থেকে লে. জেনারেল হাসান মশহুদের পদত্যাগের পর চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক সচিব গোলাম রহমান। এর পরপরই সরকার দুদক আইনও সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। </div><div style="text-align: justify;">বর্তমান সরকারের দু’বছরেও দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি বলে জানান দুদকেরই একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে যে ক’টি মামলা হয়েছে, তার সবগুলোই বিরোধী দল ও মতের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। অথচ বর্তমান সরকারের সময়ে টেন্ডার নীতিমালা পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের সরকারি কাজগুলো কোনো অভিজ্ঞতা ও জামানত ছাড়াই সরকারি দলের নেতাকর্মীদের দেয়া হচ্ছে। পিপিআর পরিবর্তন করা হয়েছে এবং কোনো টেন্ডার ছাড়াই রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করার কাজ দেয়া হচ্ছে। এগুলো সবই সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা পেয়েছেন। এতে করে দেশব্যাপী দুর্নীতির বিষবৃক্ষ ছড়িয়ে পড়লেও দুদক মামলা করা তো দূরের কথা, অনুসন্ধান করারও সাহস দেখাতে পারছে না। অপরদিকে বিরোধী দল ও মতের লোকদের নামে এ সরকারের সময়ই দুদক শতাধিক মামলা দায়ের করেছে। </div><div style="text-align: justify;">ভূমিকা নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞরা বিস্মিত : দুদকের ভূমিকার বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আমার দেশকে বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের দমনের ক্ষেত্রে দুদক সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত দু’বছরে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত যে ক’টি মামলা হয়েছে, তার সবগুলোই বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের নামে। অথচ ওয়ান-ইলেভেন সরকারের হর্তাকর্তাদের বিষয়ে দুদক একবারেই নীরব। এছাড়াও গত দু’বছরেই দেশে দুর্নীতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। দু’লাখ টাকার স্থলে আট কোটি টাকার সরকারি কাজ বিনা টেন্ডারে দলীয় লোকদের দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শত শত কোটি টাকার পাওয়ার প্লান্টের কাজ বিনা টেন্ডারে দেয়া হচ্ছে। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জালিয়াতি হয়েছে এবার শেয়ারবাজারে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। অথচ এসব বিষয়ে দুদক নীরব থেকে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে জাতিকে জানিয়ে দিয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন এবং ক্ষেত্রবিশেষে চমক সৃষ্টি ছাড়া দুদক দুর্নীতি দমনে কোনো কাজই করেনি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বর্তমানে দুদকে যেসব লোক নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের দ্বারা আর যাই হোক, দুর্নীতি দমন হবে না। </div><div style="text-align: justify;">দুদকের বক্তব্য : দুদক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে—এ অভিযোগ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান আমার দেশকে বলেন, আইনে আমাদেরকে যতটুকু ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, ততটুকুই প্রয়োগ করে আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি। সরকারের কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আমরা এখনও পর্যন্ত আমলে নেইনি। আইন সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, মূল আইনে বলা হয়েছে দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হবে। কাজেই আমরা আশা করছি সরকার এমন কিছু করবে না যাতে এ প্রতিষ্ঠানটির স্বাধীনতা খর্ব হয়। এটা হলে দেশে ও বিদেশে সরকারেরই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্ব পালন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি শুধু আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই নয়, এর পরের সরকারের সময়ও আমি একই দায়িত্ব পালন করেছি। গত দু’বছরে শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামেই মামলা ও তদন্ত হচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি নিয়ে কোনো মামলা না হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, দুদকে জমা হওয়া অভিযোগগুলোই তদন্ত ও অনুসন্ধান করে যৌথভাবে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়। এখানে সরকারি দল কিংবা বিরোধী দল দেখা হয় না। দুদক সদস্য মো. বদিউজ্জামান বলেন, ২০০১ সালের পর থেকে আমি সরকারের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। দুদক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় এক মাস অতিবাহিত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বাধানিষেধ পাইনি। আশা করছি আইন অনুযায়ী স্বাধীনভাবেই কাজ করতে পারব। অপর সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা অনুসন্ধানের জন্য হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সে নির্দেশনা মেনেই আমি দায়িত্ব পালন করেছি। দুদক আইন সংশোধনীর বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ চায় দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করুক। কাজেই সরকারের এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না, যাতে দুদকের স্বাধীনতা খর্ব হয়।</div></div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/18/77368">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/18/77368</a> </div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7718588693616015737.post-86233587662369384542011-04-26T02:55:00.000-07:002011-04-26T02:56:48.602-07:00ওএমএসে’র চাল কালোবাজারে : ক্ষমতাসীনরা হাতিয়ে নিচ্ছে ভর্তুকির কোটি কোটি টাকা<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjLjZQHXG-IEdIRj8m6FxCAnF81H8McmOUgoBe3NpyOs_0w29V1gSfQ1mE81pUOZcfM029ZcPJ-WXE_3dWuhUnS8dRJrS-l0vSZ26lpinTZQp8k6WLnfaw6NYF3oEHNHKN5_5XoijBGgcgm/s1600/P1_oms-ere-chal.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 229px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjLjZQHXG-IEdIRj8m6FxCAnF81H8McmOUgoBe3NpyOs_0w29V1gSfQ1mE81pUOZcfM029ZcPJ-WXE_3dWuhUnS8dRJrS-l0vSZ26lpinTZQp8k6WLnfaw6NYF3oEHNHKN5_5XoijBGgcgm/s400/P1_oms-ere-chal.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5599829025295917410" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); ">কাজী জেবেল</div><div><div style="text-align: justify;">নেত্রকোনার মদন উপজেলায় স্থানীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানের গুদাম থেকে খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) প্রায় দুই হাজার বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এসব চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা হয় বলে র্যাব জানায়। তিনি ওই এলাকার ওএমএসের ডিলার। এ ঘটনায় সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলার নিকলীতে ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রির দায়ে পূর্বগ্রাম বাজারহাটি গ্রামের ডিলার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আল আমিনকে গত ৮ এপ্রিল জরিমানা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের বোয়ালমাখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ সেলিমকে চাল কালোবাজারের বিক্রির দায়ে গত ৭ এপ্রিল জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এভাবে প্রায় প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় খোলাবাজারে বিক্রির জন্য বরাদ্দকৃত চাল কালোবাজারে বিক্রির সময় ধরা পড়ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলছে। তারা প্রভাবশালী হওয়াতে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তাদের মতে, প্রতিদিন কম হলেও শতকরা ১০ ভাগ চাল কালোবাজারে চলে যাচ্ছে। অর্থাত্ দৈনিক এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার কেজি চাল কালোবাজারে যাচ্ছে। এর সিংহভাগ ধরা পড়ে না। যা ধরা পড়ছে তা প্রকৃত পরিমাণের অনেক কম। এসব চাল স্থানীয় বাজারে বেশি দামে বিক্রি হয়। এতে দরিদ্র মানুষের জন্য ওএমএস চালে সরকারের শত শত কোটি টাকা ভর্তুকির অনেকটাই আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেটে যাচ্ছে। এসব কাজে খাদ্য অধিদফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলেন, অবস্থা এমন হয়েছে যে লাভের গুড় পিঁপড়া খাচ্ছে।</div><div style="text-align: justify;">খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক কালোবাজারে চাল বিক্রির কথা স্বীকার করে গতকাল আমার দেশকে বলেন, ওএমএস ও ফেয়ার প্রাইসের জন্য বরাদ্দকৃত চাল কালোবাজারে বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের এক ধরনের খারাপ প্রবণতা। বাজারে চালের দাম কমে যাওয়ায় ডিলাররা নির্ধারিত চাল প্রতিদিন বিক্রি করতে পারছেন না। উদ্ধৃত চাল অনেকে কালোবাজারে বিক্রি করছেন। এসব রোধ করতে আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত কমিটি তদারকি করছে। এসব কমিটিতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতাকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর পরও কালোবাজারি পুরোপুরি বন্ধ করা কঠিন। আমরা সাধ্যমত কালোবাজারি ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছি। এ বিষয়ে লোকাল কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ওএমএস ও ফেয়ার প্রাইস কার্ডের মাধ্যমে আগামীতেও কম দামে চাল দেয়া হবে। এখন যারা সরকারি নিয়ম ভেঙে চাল বিক্রি করছে তাদের বাদ দিয়ে তখন নতুন ডিলার নিয়োগ দেয়া হবে।</div><div style="text-align: justify;">খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আহমেদ হোসেন খান গতকাল আমার দেশকে বলেন, খোলাবাজারে চাল বিক্রির পরিমাণ কমে যাওয়ায় কালোবাজারে চাল বিক্রির প্রবণতা বাড়ছে। আমরা কালোবাজারি বন্ধে কঠোরভাবে মনিটরিং করছি। </div><div style="text-align: justify;">সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চালের দামের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে খাদ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরী এবং চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে খোলাবাজারে কম দামে চাল বিক্রি শুরু করে। জনপ্রতি ৫ কেজি হারে এ চাল দেয়া হয়। প্রতি কেজি চাল ২৪ টাকা। একই দামে ফেয়ার প্রাইস কার্ডের মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় ৬৭ লাখ পরিবারকে চাল দেয়া হচ্ছে। ওএমএস কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন গড়ে ১২ হাজার টন চাল বিক্রির জন্য ডিলারদের দেয়া হয়। গত ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ওএমএসের মাধ্যমে ৪ লাখ ৮৮ হাজার টন এবং ফেয়ার প্রাইস কার্ডের মাধ্যমে ২৩ হাজার টন চাল বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও ২২ হাজার ৭০০ টন গম বিক্রি হয়েছে। ৬৬২টি খোলা ট্রাক ও ৭ হাজার ৬০০ জন ডিলার ওএমএসের চাল বিক্রি করেন। এক হিসাবে দেখা গেছে, আগে সংগ্রহ করা এসব চালের অর্থনৈতিক মূল্য প্রতি কেজি ২৭ দশমিক ৮০ টাকা। ডিলারদের দেয়া হচ্ছে ২২ দশমিক ৫০ টাকায়। ডিলাররা ১ দশমিক ৫০ টাকা লাভে তা ২৪ টাকায় বিক্রি করছেন, অর্থাত্ প্রতি কেজিতে সরকার ভর্তুকি দিয়েছে ৫ দশমিক ৩০ টাকা। তবে সম্প্রতি সংগৃহীত প্রতি টন চালের দাম পড়েছে ৫০৮ দশমিক ৪০ ডলার। অর্থাত্ প্রতি কেজির দাম কম-বেশি ৩৬ টাকা। এসব চাল বাজারে ছাড়া হলে প্রতি কেজিতে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩ দশমিক ৫০ টাকা।</div><div style="text-align: justify;">তৃণমূল পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওএমএস চাল বিক্রির জন্য নিয়োগকৃত ডিলারদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। ক্ষমতাসীন দলে থাকার সুবাদে অনেক অসাধু ডিলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাল ন্যায্যমূল্যে বিক্রি না করে কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করছেন। ২৪ টাকা দরের চাল এলাকাভেদে ৩০-৩২ টাকা দরে বিক্রি করেন তারা। এতে স্বল্পআয়ের মানুষ ন্যায্যমূল্যের চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের বেশি দামে বাজার থেকে চাল কিনতে হচ্ছে। অপরদিকে ক্ষমতাবান এসব ব্যক্তি দলীয় পরিচয় কাজে লাগিয়ে লাভবান হচ্ছেন। এক্ষেত্রে খাদ্য অধিদফতরের অনেক কর্মকর্তা তাদের সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেক ডিলার স্থানীয়ভাবে এত প্রভাবশালী যে স্থানীয় কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে সাহস পান না। নাম গোপন রাখার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান, তারা প্রশাসনের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে রাখেন। এ কারণে বাড়তি ঝামেলার আশঙ্কায় সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকার পরও কর্মকর্তারা অভিযানে অংশ নিতে অনাগ্রহ দেখান। এছাড়া কালোবাজারের চাল বিক্রির সময় যাতে ধরা না পড়ে সেজন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করের ডিলাররা। তারা খাদ্য অধিদফতরের সিলসংবলিত বস্তা পাল্টিয়ে সাধারণ বস্তায় চাল পরিবহন করে। অনেকে সরকারি গুদাম থেকে চাল নিয়ে দালালদের মাধ্যমে সরাসরি বাজারজাত করে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পরা কয়েকটি ঘটনায় এসব চিত্র দেখা গেছে। কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা আল আমিন এলএসডি খাদ্যগুদাম থেকে ৬ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করার পরই এক মেট্রিক টন চাল দালালদের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মজুত পরীক্ষা করে এক মেট্রিক টন চল কম পান। খুলনার খালিশপুরে হাউজিং বাজারের একটি দোকান থেকে ৯২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। দেশের অনেক জায়গা থেকে বিভিন্ন অবস্থায় শত শত বস্তা চাল কালোবাজারের সময় উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ঢাকা মহানগরীর ৫৬ ডিলারের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। সারা দেশে কতটি ডিলার বাতিল এবং কতজনকে জরিমানা বা আটক করা হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেননি খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা</div><div style="text-align: justify;">।</div></div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/11/76381">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/11/76381</a></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0